Saturday, August 29, 2015
উইন্ডোজ ফোনের সেরা দশটি অ্যাপ
১)Blink:উইন্ডোজ ফোনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ এটি।যারা মোবাইল দিয়ে স্পোর্টস ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসেন তাদের জন্য এটি বেস্ট।এটি দিয়ে আপনি এক সেকেন্ডে ১৬ টি ফ্রেম ক্যাপচার করতে পারবেন।
২)Adobe Reader:কোনো পিডিএফ ফাইল পড়ার জন্য সব প্ল্যাটফর্মেই অ্যাডোব রিডার এর যথেষ্ঠ সুনাম আছে।
৩)Files:মেমোরি কার্ড ও ফোনের কনটেন্ট গুলো গুছিয়ে রাখার জন্য বিল্টইন ভাবে Storage Sense নামে একটি অ্যাপ পাবেন।কিন্তু প্রয়োজনীয়তার দিক দিয়ে বিল্ট ইন এই অ্যাপ এর চেয়ে অনেক উপরে আছে 'Files' অ্যাপটি।
৪)Modern Translate:বাঙ্গালীদের জন্য উইন্ডোজ প্ল্যাটফর্মের অন্যতম বড় সমস্যা হচ্ছে এখানে আপনি খুব একটা ডিকশনারি পাবেন না।যে কয়টা পাবেন সেগুলোও আপনার প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম নয়।এ অবস্থায় আপনি হয়তো গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিতে চাইবেন,কিন্তু আপনার জন্য আরেকটি দুঃসংবাদ।তা হলো উইন্ডোজ স্টোরে আপনি গুগল ট্রান্সলেট এর অফিসিয়াল অ্যাপস পাবেন না।এজন্য আপনি 'Modern Translate' অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারেন যা পুরোপুরি ' Google Translate' এর মতোই ব্যবহার করতে পারবেন।
৫)Playtube 2015:ইউটিউবের ভিডিও ডাউনলোড করার জন্য এ্যন্ড্রয়েড এর জনপ্রিয় অ্যাপ হলো টিউবমেট।উইন্ডোজেও আপনি টিউবমেট এর অনেকগুলো অ্যাপ পাবেন কিন্তু সবগুলোই ফেইক।এগুলো দিয়ে ভিডিওগুলো মেমরিতে ডাউনলোড করতে পারবেন না।কোনো ভিডিও মেমরিতে ডাউনলোডের জন্য আপনি 'PlayTube 2015' ব্যবহার করতে পারেন।
৬)Shazam:সঙ্গীতপ্রেমীদের জন্য দুর্দান্ত একটি অ্যাপ।অন্য কেউ কোনো গান বাজাচ্ছে,গানটি খুব ভালো লেগে গেলো।এখন আপনিও আপনার ফোনে গানটি বাজাতে চান অথবা গানটির লিরিক্স চান কিন্তু গানের নাম জানেন না।এক্ষেত্রে অ্যাপটি ওপেন করুন।আর পেয়ে যান গানসহ গানটির সব ডিটেইলস।
৭)UC Browser:শান্তিতে নেট ব্রাউজিং করার জন্য ভালো একটা ব্রাউজার লাগে।উইন্ডোজে আপনি UC Browser ছাড়া মনতুষ্ট করার জন্য আর কিছুই পাবেন না।
৮)Movie Maker 8.1:যারা মোবাইল দিয়ে শর্টফিল্ম বানাতে ভালোবাসেন এটি তাদের জন্য।এটি ডাউনলোড করতে গেলে আপনাকে টাকা খরচ করতে হবে।ফ্রি অ্যাপগুলোর মধ্যে আপনি 'Movie Creator Beta' ব্যবহার করতে পারেন।
৯)Pics Art:ভালো একটা ছবি তুলে সবার প্রথমে যেটা চাই তা হলো ছবিটা ইডিট করতে হবে।অ্যান্ড্রয়েডে হলে আপনি ৪-৫ টা ইডিটর ডাউনলোড করতেন এবং সম্মিলিতভাবে একটা ছবি ইডিট করতেন।উইন্ডোজে কিন্তু আপনি এ সুবিধাটা পাবেন না।কেননা উইন্ডোজের অধিকাংশ ফটো ইডিটর অ্যাপই ভুয়া।এক্ষেত্রে পিকস আর্ট আপনাকে সর্বোত্তম সুবিধাটা দিবে।
১০)OneDrive:বর্তমান যুগে ক্লাউড স্টোরেজ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি বন্ধু।ব্যক্তিগত তথ্য হালনাগাদের জন্য এটির প্রয়োজন বলে শেষ করা যাবে না।এটিতে একাউন্ট খুললেই আপনি ফ্রি ১৫ জিবি স্টোরেজ পাবেন।
Thursday, August 27, 2015
Windowa vs Ubuntu (OR Linux)
আজকে আপনাদের জন্য উবুন্টু ও উইন্ডোজের মধ্যকার কিছু পার্থক্য নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। এগুলো বিচার বিবেচনা করে আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিবেন আপনি কোনটি গ্রহণ করবেন।
উইন্ডোজঃ
১। সহজলভ্য নয়। বংলাদেশী হিসেবে আসল উইন্ডোজের দাম ১৩,৫০০ (সাড়ে তের হাজার) টাকা। তবে মাত্র ৫০ টাকায়ও পাইরেসী করা উইন্ডোজ ওএস পাওয়া যায়। কিন্তু এতে কিছু কিছু ফাইল অনুপস্থিত থাকে।
২। যে কেউ সহজেই অন্যকারও কম্পিউটারের ক্ষতি করতে পারে। যেমনঃ ভাইরাস প্রবেশ করাতে পারে। ম্যালওয়্যার আছে এমন সফটওয়্যার ডাউনলোড দিতে পারে। হ্যাক করতে পারে। এছাড়াও এমন কিছু কাজ করতে পারে যা প্রকৃতপক্ষে কম্পিউটারের মালিকের অনুমতি ছাড়া করা অনুচিত।
৩। প্রচুর পরিমাণে ভাইরাস তৈরি করে। বিশেষ করে সর্টকাট ভাইরাস। এছাড়াও যেকোনো ভাবে সহজেই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। এমনও কিছু ভাইরাস আছে যা এন্টি ভাইরাস দ্বারাও সহজে ধ্বংস হয়না।
৪। পুরানো কম্পিউটার বা পুরাতন নোটবুক বা পুরাতন ল্যাপটপে খুব ধীরগতি সম্পন্ন এবং অনেক সময় চলেনা। এছাড়াও উইন্ডোজের পুরানো ভার্সন গুলো ধীরগতিসম্পন্ন (যেমনঃ এক্স পি ইত্যাদি)।
৫। আপডেট দিতে টাকার প্রয়োজন হয়।
৬। কোনো নির্দিষ্ট জায়গায় সকল সফটওয়্যার পাওয়া যায়না।
৭। প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার সমূহ (যেমনঃ অফিস,অডিও-ভিডিও প্লেয়ার ইত্যাদি) আলাদা ভাবে ইন্সটল দিতে হয়।
৮। নিজের ইচ্ছামত অপারেটিং সিস্টেমকে চালানো যায়না। অর্থাৎ মাইক্রোসফট যেভাবে চায় সেভাবেই চালাতে হয় তাও আবার হাজার হাজার টাকা খরচ করে।
৯। সবচেয়ে বড় কথা উইন্ডোজ শুধুমাত্র টাকার জোরে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে।
২। যে কেউ সহজেই অন্যকারও কম্পিউটারের ক্ষতি করতে পারে। যেমনঃ ভাইরাস প্রবেশ করাতে পারে। ম্যালওয়্যার আছে এমন সফটওয়্যার ডাউনলোড দিতে পারে। হ্যাক করতে পারে। এছাড়াও এমন কিছু কাজ করতে পারে যা প্রকৃতপক্ষে কম্পিউটারের মালিকের অনুমতি ছাড়া করা অনুচিত।
৩। প্রচুর পরিমাণে ভাইরাস তৈরি করে। বিশেষ করে সর্টকাট ভাইরাস। এছাড়াও যেকোনো ভাবে সহজেই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। এমনও কিছু ভাইরাস আছে যা এন্টি ভাইরাস দ্বারাও সহজে ধ্বংস হয়না।
৪। পুরানো কম্পিউটার বা পুরাতন নোটবুক বা পুরাতন ল্যাপটপে খুব ধীরগতি সম্পন্ন এবং অনেক সময় চলেনা। এছাড়াও উইন্ডোজের পুরানো ভার্সন গুলো ধীরগতিসম্পন্ন (যেমনঃ এক্স পি ইত্যাদি)।
৫। আপডেট দিতে টাকার প্রয়োজন হয়।
৬। কোনো নির্দিষ্ট জায়গায় সকল সফটওয়্যার পাওয়া যায়না।
৭। প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার সমূহ (যেমনঃ অফিস,অডিও-ভিডিও প্লেয়ার ইত্যাদি) আলাদা ভাবে ইন্সটল দিতে হয়।
৮। নিজের ইচ্ছামত অপারেটিং সিস্টেমকে চালানো যায়না। অর্থাৎ মাইক্রোসফট যেভাবে চায় সেভাবেই চালাতে হয় তাও আবার হাজার হাজার টাকা খরচ করে।
৯। সবচেয়ে বড় কথা উইন্ডোজ শুধুমাত্র টাকার জোরে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে।
উবুন্টুঃ
১। আসল উবুন্টু ওএস পাবেন একদম সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
২। সম্পূর্ণ রূপে নিরাপদ। কেউ আপনার কম্পিউটারের ক্ষতি করতে পারবেনা। হ্যাক হবার সম্ভাবনা নেই। ম্যালওয়্যারের ঝামেলা নেই। আপনার অনুমতি ছাড়া কোনো সফটওয়্যার ইন্সটল করা যাবেনা।
৩। ভাইরাস তৈরি হয়না। কোনো প্রকার ভাইরাস প্রবেশ করতে পারেনা। এমনকি অ্যান্টি ভাইরাসের কোনো প্রয়োজন হয়না।
৪। যেকোনো কম্পিউটার, নোটবুক, ল্যাপটপে খুব ভালোভাবে চলতে পারে। উইন্ডোজের পুরাতন ভার্সন গুলো থেকে দ্রুততম। এছাড়াও বর্তমান ভার্সন গুলোর তুলনায় তুলনামূলকভাবে দ্রুততর।
৫। আপডেট দেওয়াও সম্পূর্ণ বিনামূল্য।
৬। উবুন্টু সফটওয়্যার ম্যানেজারে উবুন্টুর সকল সফটওয়্যার পাবেন যেমনটা অ্যান্ড্রয়েডের জন্য প্লে স্টোরে পাওয়া যায়। এছাড়াও আরও কিছু সফটওয়্যার আছে যেখানে উবুন্টুর সকল সফটওয়্যার পাওয়া যায়।
৭। প্রয়োজনীয় সকল সফটওয়্যার ইন্সটল করা থাকে। আলাদা ভাবে ইন্সটল করতে হয়না।
৮। নিজের ইচ্ছামত অপারেটিং সিস্টেমের কোডিং করে চালাতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সকল প্রকার প্রোগ্রামিং সম্পর্কে জানতে হবে ও অভিজ্ঞ হতে হবে।
৯। টাকার জোরে নয় বরং নিজেদের সেবার মাধ্যমে মানুষের মন জয় করছে।
২। সম্পূর্ণ রূপে নিরাপদ। কেউ আপনার কম্পিউটারের ক্ষতি করতে পারবেনা। হ্যাক হবার সম্ভাবনা নেই। ম্যালওয়্যারের ঝামেলা নেই। আপনার অনুমতি ছাড়া কোনো সফটওয়্যার ইন্সটল করা যাবেনা।
৩। ভাইরাস তৈরি হয়না। কোনো প্রকার ভাইরাস প্রবেশ করতে পারেনা। এমনকি অ্যান্টি ভাইরাসের কোনো প্রয়োজন হয়না।
৪। যেকোনো কম্পিউটার, নোটবুক, ল্যাপটপে খুব ভালোভাবে চলতে পারে। উইন্ডোজের পুরাতন ভার্সন গুলো থেকে দ্রুততম। এছাড়াও বর্তমান ভার্সন গুলোর তুলনায় তুলনামূলকভাবে দ্রুততর।
৫। আপডেট দেওয়াও সম্পূর্ণ বিনামূল্য।
৬। উবুন্টু সফটওয়্যার ম্যানেজারে উবুন্টুর সকল সফটওয়্যার পাবেন যেমনটা অ্যান্ড্রয়েডের জন্য প্লে স্টোরে পাওয়া যায়। এছাড়াও আরও কিছু সফটওয়্যার আছে যেখানে উবুন্টুর সকল সফটওয়্যার পাওয়া যায়।
৭। প্রয়োজনীয় সকল সফটওয়্যার ইন্সটল করা থাকে। আলাদা ভাবে ইন্সটল করতে হয়না।
৮। নিজের ইচ্ছামত অপারেটিং সিস্টেমের কোডিং করে চালাতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সকল প্রকার প্রোগ্রামিং সম্পর্কে জানতে হবে ও অভিজ্ঞ হতে হবে।
৯। টাকার জোরে নয় বরং নিজেদের সেবার মাধ্যমে মানুষের মন জয় করছে।
আশা করি এতক্ষনে বুঝে ফেলেছেন আপনার জন্য কোন আপারেটিং সিস্টেমটি গ্রহণযোগ্য।
একটা কথা মনে রাখবেন হুট করে উবুন্টুতে আসলেই আপনি জানতে পারবেন তা কিন্তু নয়। এজন্য অন্তত একমাস এর সাথে লেগে থাকতে হবে। তবেই আপনি সম্পূর্ণ ভাবে এর মজা নিতে পারবেন।
একটা কথা মনে রাখবেন হুট করে উবুন্টুতে আসলেই আপনি জানতে পারবেন তা কিন্তু নয়। এজন্য অন্তত একমাস এর সাথে লেগে থাকতে হবে। তবেই আপনি সম্পূর্ণ ভাবে এর মজা নিতে পারবেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ তুলনা টি ইন্টারনেট অবলম্বনে দেয়া হয়েছে, এটা একান্তই আমার নিজস্ব মতমত নয়।
বাংলা এক ছোট্ট ব্লগ আছে আমার সেখানে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়।
কিভাবে ব্লগার পেইড থিমের লক ফুটার ক্রেডিট লিঙ্ক রিমুভ করবেন !
কিভাবে ব্লগার পেইড থিমের লক ফুটার ক্রেডিট লিঙ্ক রিমুভ করবেন! হ্যাঁ বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের দেখাব এই কাজটি কি ভাবে করবেন। তবে আজকের কাজটা টাইটেল এর থেকে একটু আলাদা হবে আমি বলেছি রিমুভ করবেন কিভাবে! কিন্তু লক ফুটার লিঙ্ক রিমুভ করা মোটেও সহজ কাজনা তাছাড়া এক এক টেম্পলেট বা থিমের এক এক প্রক্রিয়া থাকে। তবে আজকে আমি আপনাদের যেটা দেখাব সেটা ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে ডিজাইন বাই এই লিখা এবং সেই সাইট লিঙ্ক কে খুব সহজে হাইড করে রাখতে পারবেন কেউ দেখতে পাবেনা। আর এর জন্য আপনাকে কোন কোডিং থিম থেকে রিমুভ করতে হবেনা শুধু মাত্র নিচের ছোট টিপস টি দেখুন তাহলে কাজটি করতে পারবেন ।
তবে যারা নতুন এবং ফুটার ক্রেডিট লিঙ্ক কি বুঝতে পারছেন না। তাদের উদ্দেশ্য বলে রাখি আপনি যখুন নতুন থিম ডাউনলোড করে আপনার ব্লগে ব্যবহার করবেন দেখবেন কিছু থিমের সব নিচে যেটাকে ফুটার ব্লগে সেখানে ইংরেজিতে Design By থিমের নাম বা মালিক এর নাম থাকে। এখুন এই রকম অনেক থিম সাইট আছে যারা নিজদের এই নাম যাতে কোন ব্যবহার কারি মুছে ফেলতে না পারে সেই জন্য সেটাকে লক করে রাখেন। এখুন আপনি যদি সাধারন ভাবে সেই নাম বা লিঙ্ক রিমুভ করতে যান তাহলে অটো আপনার ব্লগ সেই ব্লগে ভিজিট হবে আশাকরি বুঝতে পেরেছেন । তাও না বুঝলে এই থিম সাইট থেকে একটি থিম ডাউনলোড করে থিম নাম টা রিমুভ করে দেখুন তাহলেই বুঝে যাবেন ।
তবে যারা নতুন এবং ফুটার ক্রেডিট লিঙ্ক কি বুঝতে পারছেন না। তাদের উদ্দেশ্য বলে রাখি আপনি যখুন নতুন থিম ডাউনলোড করে আপনার ব্লগে ব্যবহার করবেন দেখবেন কিছু থিমের সব নিচে যেটাকে ফুটার ব্লগে সেখানে ইংরেজিতে Design By থিমের নাম বা মালিক এর নাম থাকে। এখুন এই রকম অনেক থিম সাইট আছে যারা নিজদের এই নাম যাতে কোন ব্যবহার কারি মুছে ফেলতে না পারে সেই জন্য সেটাকে লক করে রাখেন। এখুন আপনি যদি সাধারন ভাবে সেই নাম বা লিঙ্ক রিমুভ করতে যান তাহলে অটো আপনার ব্লগ সেই ব্লগে ভিজিট হবে আশাকরি বুঝতে পেরেছেন । তাও না বুঝলে এই থিম সাইট থেকে একটি থিম ডাউনলোড করে থিম নাম টা রিমুভ করে দেখুন তাহলেই বুঝে যাবেন ।
কিভাবে ব্লগার পেইড থিমের লক ফুটার ক্রেডিট লিঙ্ক রিমুভ করবেন !
প্রথমে আপনার ব্লগার অ্যাকাউন্ট লগইন করুন এবং যে থিমের ফুটার লিঙ্ক রিমুভ বা হাইড করতে চান সেই থিম ইন্সটল করুন যদি আগে থেকেই ইন্সটল থাকে কোন কথাই নেই Template থেকে Edit HTML এ ক্লিক কে এডিট বক্সে প্রবেশ করুন ।
এবার আপনি CTRL+F প্রেস করে Copyright, credit বা designed ফুটার লিঙ্কে যে নাম আছে সেটা দিয়ে সার্চ করুন লিঙ্ক পেয়ে যাবেন ঠিক নিচের চিত্রের মত থাকবেন ।
উপরের ফটোতে দেখুন আপনার থিমেও অনেকটা একি রকম থাকবে এখুন আপনি যদি চান এই লিঙ্ক এবং নাম আপনার ব্লগে হাইড রাখবেন তাহলে নিচের কোডটি ঠিক যেভাবে বলছি সেই ভাবে বসিয়ে দিন ।
style="visibility: hidden"
উপরের লাইনটি ঠিক id='mycontent' এর পরে বসিয়ে দিন নিচের চিত্রের মত ব্যাস তাহলেই আপনার কাজ শেষ ।
Save Template এ ক্লিক করে বেরিয়ে আসুন এবং আপনার ব্লগে ভিজিট করুন দেখুন ডিজাইন বাই লিখাটা আর দেখতে পাবেন না এমন কি কোন লিঙ্ক সেখানে দেখতে পাবেন না। আশাকরি পোস্টটি আপনার পছন্দ হয়েছে যদি ভাল লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। ভাল লাগলে নিচে কমেন্ট করেও আমাকে জানাতে পারেন। ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।
Tuesday, August 25, 2015
Google play store এ log in সমস্যার সমাধান
বর্তমানে এন্ড্রয়েড মোবাইল আমাদের নিত্য জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাড়িয়েছে। কারন এর রয়েছে আকর্ষনীয় সব ফিচার সেই সাথে রয়েছে আগনিত সব দরকারি এপস। দিন দিন এন্ড্রয়েড ফোনের জনপ্রিয়তা আরো বাড়ছে। এই এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করতে গেলে আমরা কিছু সমস্যার সম্মুখিন হই। তার মধ্যে একটি এবং অনেক গুরুত্বপূর্ন একটি সমস্যা হল গুগল প্লে ষ্টোর বা জি মেইলে লগ ইন সমস্যা। এই সমস্যাটা সাধারনত হয় ফোন রিসেট দেওয়ার পর পুনরায় লগ ইন করার সময়।
এক্ষেত্রে লগ ইন করতে গেলে বিভিন্ন প্রকার এরর মেসেজ দেখায়। তো আজকে এই সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবঃ
১। গুগল প্লে ষ্টোর ডাটা ক্লিয়ার করাঃ এর জন্য নিচের ধাপ গুলি অনুসরন করুন
Settings > Apps > Google Play Store > Clear Data
২। গুগল প্লে ষ্টোর কেস ক্লিয়ার করাঃএর জন্য নিচের ধাপ গুলি অনুসরন করুন
Settings > Apps > Google Play Store > Clear Cache
৩। গুগল প্লে ষ্টোর আপডেট আন ইন্সটল করাঃ এর জন্য নিচের ধাপ গুলি অনুসরন করুন
Settings > Apps > Google Play Store > Uninstall Updates
৪। গুগল প্লে সার্ভিসের ডাটা, কেস এবং আপডেট ক্লিয়ার করাঃ এর জন্য নিচের ধাপ গুলি অনুসরন করুন
Settings > Apps > Google Play Services > Clear Data
Settings > Apps > Google Play Services > Clear Cache
Settings > Apps > Google Play Services > Uninstall Updates
৫। Factory Data Reset: উপরের ধাপ গুলিতে যদি কাজ না হয় তাহলে আপনি আপনার ফোন্টির Factory Data Reset করতে পারেন। কিন্তু এক্ষেত্রে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে Factory Data Reset এর ফলে আপনার ফোনের সকল ডাটা মুছে যাবে যেমনঃ SMS, Contact Number, Call Log. এ ক্ষেত্রে আপনি আপনার ফোনের এ সব তত্ব back up রাখতে পারেন বিভিন্ন পদ্ধতিতে। তো রিসেট দেওয়ার জন্য নিচের ধাপ গুলি অনুসরন করুন
Settings > Backup & reset> Factory data reset> Reset Phone
৬। hosts ফাইল ডিলিট করা (For rooted users only): অনেক সময় উপরের ধাপ গুলিতে কাজ নাও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি এক জন রুটেড ইউজার হোন তাহলে আপনার জন্য খুবই সহজ এবং ১০০% কার্যকরী একটি পদ্ধতি হল hosts ফাইল ডিলিট করা। এর জন্য রুট এক্সেস করতে পারে এ রকম একটি ফাইল ম্যনেজার লাগবে। এ রকম অনেক ফাইল ম্যনেজার রয়েছে যেমনঃ root explorer, root file manager, ES file explorer, X-plore etc ইত্যাদি। তো আজকে আমি X-plore ব্যবহার করব। এর জন্য নিচের ধাপ গুলি অনুসরন করুন
- প্রথমে X-plore এখান থেকে ডাউনলোড করুন এবং Install করুন
- X-plore ফাইল ম্যনেজার ওপেন করুন
- Root এ ক্লিক করুন
- etc-> /system/etc তে ক্লিক করুন
- hosts ফাইল ডিলিট করুন(কোন মেসেজ অথবা রুট পারমিট চাইলে OK করুন)
- X-plore ফাইল ম্যনেজার ক্লোজ করুন
- ফোনটি Restart করুন
- এবার প্লে ষ্টোরে কোন সমস্যা ছাড়াই লগ ইন করুন।
আল্লাহ হাফেজ।
Saturday, August 22, 2015
কম্পিউটার চালু হতে বেশি সময় লাগছে?
উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের একটা সমস্যা হলো, পুরান কম্পিউটারগুলো চালু হতে সময় বেশি লাগে। যন্ত্রাংশের সমস্যার কারণেও এমনটা হতে পারে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মূল কারণ হলো সে সব প্রোগ্রাম, যেগুলো কম্পিউটার চালুর (বুট) সময় সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করে। কম্পিউটারে খুব বেশি পরিমাণে সফটওয়্যার ইনস্টল করা থাকলে সেগুলো স্টার্টআপ তালিকায় ঢুকে পড়ে। এর মধ্যে অনেক অদরকারি সফটওয়্যারও চালু হয়। এটাই কম্পিউটার চালু হওয়ার সময়টাকে বাড়িয়ে দেয়। কোন কোন প্রোগ্রাম এ জন্য দায়ী, সেগুলো চিহ্নিত করতে পারলে সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়ে যায়। নিজে নিজে কাজটা করতে না পারলে সিক্লিনারের মতো সফটওয়্যারও ব্যবহার করতে পারেন।
উইন্ডোজ ৭: কি-বোর্ডের Windows Key+R চেপে বা স্টার্ট মেনু থেকে রান চালু করে msconfig লিখুন এবং এন্টার করুন। সিস্টেম কনফিগারেশন উইন্ডো এলে স্টার্টআপ ট্যাবে ক্লিক করুন। তালিকায় থাকা অ্যান্টিভাইরাস ছাড়া অন্য প্রোগ্রামগুলো থেকে টিক উঠিয়ে দিন। যে প্রোগ্রামটি খুব বেশি ব্যবহার করেন, সেটিতে টিক রেখে দিতে পারেন। এ জন্য তালিকাটা কয়েক মিনিট সময় নিয়ে ভালোভাবে দেখুন কোন সফটওয়্যারগুলো কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় না থাকলেই নয়। তারপর ওকে চেপে কম্পিউটার বন্ধ করে পুনরায় চালু করুন। দেখবেন আগের চেয়ে কম্পিউটার কিছুটা দ্রত চালু হচ্ছে।
উইন্ডোজ ৮: উইন্ডোজের নতুন এ সংস্করণে টাস্ক ম্যানেজার থেকে আরও সহজে স্টার্টআপ প্রোগ্রাম বাছাইয়ের কাজটা করা যায়। Ctrl + Alt + Delete একযোগে চেপে টাস্ক ম্যানেজার চালু করুন। স্টার্টআপ ট্যাবে ক্লিক করলে কম্পিউটার চালু হওয়ার সময়কার প্রোগ্রামগুলোর তালিকা দেখা যাবে। এখানে স্টার্টআপ ইমপ্যাক্ট নামে কলামটি খেয়াল করে দেখতে হবে। যেসব প্রোগ্রামের পাশে High লেখা দেখা যাচ্ছে সেগুলো কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় গতি ধীর করে ফেলে। অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি রেখে বাকিগুলোতে মাউসের ডান ক্লিক করে Disable করে দিন। নিষ্ক্রিয় হওয়া এসব প্রোগ্রাম পরে আবার চালু করা যাবে।
উইন্ডোজ ৭: কি-বোর্ডের Windows Key+R চেপে বা স্টার্ট মেনু থেকে রান চালু করে msconfig লিখুন এবং এন্টার করুন। সিস্টেম কনফিগারেশন উইন্ডো এলে স্টার্টআপ ট্যাবে ক্লিক করুন। তালিকায় থাকা অ্যান্টিভাইরাস ছাড়া অন্য প্রোগ্রামগুলো থেকে টিক উঠিয়ে দিন। যে প্রোগ্রামটি খুব বেশি ব্যবহার করেন, সেটিতে টিক রেখে দিতে পারেন। এ জন্য তালিকাটা কয়েক মিনিট সময় নিয়ে ভালোভাবে দেখুন কোন সফটওয়্যারগুলো কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় না থাকলেই নয়। তারপর ওকে চেপে কম্পিউটার বন্ধ করে পুনরায় চালু করুন। দেখবেন আগের চেয়ে কম্পিউটার কিছুটা দ্রত চালু হচ্ছে।
উইন্ডোজ ৮: উইন্ডোজের নতুন এ সংস্করণে টাস্ক ম্যানেজার থেকে আরও সহজে স্টার্টআপ প্রোগ্রাম বাছাইয়ের কাজটা করা যায়। Ctrl + Alt + Delete একযোগে চেপে টাস্ক ম্যানেজার চালু করুন। স্টার্টআপ ট্যাবে ক্লিক করলে কম্পিউটার চালু হওয়ার সময়কার প্রোগ্রামগুলোর তালিকা দেখা যাবে। এখানে স্টার্টআপ ইমপ্যাক্ট নামে কলামটি খেয়াল করে দেখতে হবে। যেসব প্রোগ্রামের পাশে High লেখা দেখা যাচ্ছে সেগুলো কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় গতি ধীর করে ফেলে। অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি রেখে বাকিগুলোতে মাউসের ডান ক্লিক করে Disable করে দিন। নিষ্ক্রিয় হওয়া এসব প্রোগ্রাম পরে আবার চালু করা যাবে।
উইন্ডোজ দশে যদি স্টার্ট মেনু কাজ না করে
মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমে অনেক সময় স্টার্ট মেনু খোলা যায় না আবার ডিজিটাল সহকারী কর্টানা বা টাস্ক বারের সার্চকেও ব্যবহার করা যায় না। এমন সমস্যার সমাধান পাওয়া সম্ভব। এ জন্য যে কাজগুলো করা যেতে পারে—
সিস্টেম ফাইল চেকার
উইন্ডোজের start মেনুতে ডান ক্লিক করে Command Prompt-এ ক্লিক করুন। কমান্ড প্রম্পট চালু হলে এখানে sfc/scannow লিখে এন্টার করুন। ফাইল পরীক্ষা করতে কিছুক্ষণ সময় নেবে অপারেটিং সিস্টেম। স্ক্যান করে সিস্টেম ফাইলে কোনো সমস্যা থাকলে সেটি ঠিক করবে। স্ক্যান শেষ হলে কম্পিউটারকে বন্ধ করে আবার চালু করে নিন।উইন্ডোজ ইমেজ ফাইল মেরামত
যদি উইন্ডোজের ইমেজ অচল (আনসার্ভিসেবল) হয়ে যায়, তবে ডেপ্লয়মেন্ট ইমেজিং অ্যান্ড সার্ভিসিং ম্যানেজমেন্ট (ডিআইএসএম) টুল ব্যবহার করে এই সমস্যার সমাধান আনা যায়। এ জন্য কমান্ড লাইনে Dism/Online/Cleanup-Image/ScanHealth লিখে এন্টার করুন। কমান্ডটি চললে (রান) কয়েক মিনিট পর সিস্টেম ইমেজের কয়টি ফাইল নষ্ট হয়েছে সেটি খুঁজবে। আবার Dism/Online/Cleanup-Image/CheckHealth লিখে কমান্ড দিলে নষ্ট হওয়া ফাইলের বর্তমান অবস্থা দেখাবে। এটি সম্পন্ন হতে কিছুক্ষণ সময় নিতে পারে। এবার কমান্ড লাইনে Dism/Online/Cleanup-Image/RestoreHealth লিখে এন্টার করুন। এই কমান্ডটি উইন্ডোজ ইমেজের নষ্ট ফাইলের বদলে ভালো ফাইল বসিয়ে দেবে। স্ক্যান হতে কখনো বেশি সময় নিতে পারে, তাই শেষ হলে কম্পিউটার বন্ধ করে আবার চালু করে নিয়ে দেখুন সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
স্টার্ট মেনু পুরো পর্দায়
উইন্ডোজ দশে স্টার্ট মেনুকে পুরো পর্দায় দেখা যায়। যদি স্টার্ট মেনু স্বাভাবিকভাবে চালু না হয়, তবে পুরো (ফুল) পর্দায় সেটিকে সেট করে চালু করা যাবে। Win + I চেপে সেটিংস অ্যাপ চালু করুন। Personalization-এ ক্লিক করে আবার Start-এ ক্লিক করুন। Start behaviors-এর অধীনের Use full-screen Start when in the desktop এ ক্লিক করে On করুন। এখন স্টার্ট মেনুতে ক্লিক করলে সেটি পূর্ণ পর্দায় দেখাবে।
উইন্ডোজ দশে স্টার্ট মেনুকে পুরো পর্দায় দেখা যায়। যদি স্টার্ট মেনু স্বাভাবিকভাবে চালু না হয়, তবে পুরো (ফুল) পর্দায় সেটিকে সেট করে চালু করা যাবে। Win + I চেপে সেটিংস অ্যাপ চালু করুন। Personalization-এ ক্লিক করে আবার Start-এ ক্লিক করুন। Start behaviors-এর অধীনের Use full-screen Start when in the desktop এ ক্লিক করে On করুন। এখন স্টার্ট মেনুতে ক্লিক করলে সেটি পূর্ণ পর্দায় দেখাবে।
মো. রাকিবুল হাসান
Tuesday, August 18, 2015
সম্ভাবনাময় আইফোন এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট
২০০৭ সালে আইফোন (iPhone) প্রকাশের পর থেকে এর প্রতিষ্ঠাতা Apple Inc. মোবাইল ডিভাইসের ধারণাই পাল্টে দেয়। এর সাবলীল টাচ ইন্টারফেস, দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন এবং ২০০ টির অধিক প্যাটেন্টকৃত আকর্ষণীয় সব ফিচারের কল্যাণে সহজেই সবার মনোযোগ আকর্ষণে সক্ষম হয়। ফলাফল হিসেবে গত সাড়ে তিন বছরে এ পর্যন্ত প্রায় ৬ কোটি আইফোন বিক্রি হয়েছে। আইফোনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি একাই লাভবান হয় নি, পাশাপাশি প্রোগ্রামার আর ডিজাইনারদের জন্য তৈরি করে দিয়েছে iTunes App Store নামক এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের এক বিশাল বাজার। ২০০৮ সালে স্টোরটি চালু হবার পর আজ অবধি ২ লক্ষের উপর আইফোনের এপ্লিকেশন তৈরি হয়েছে। এই ভার্চুয়াল স্টোরটিতে বিভিন্ন ধরনের দরকারী, শিক্ষণীয়, মজাদার সফটওয়্যার আর আকর্ষণীয় গেম বিনামূল্যে বা প্রায় নামমাত্র মূল্যে পাওয়া যায়। ফলে এর ব্যবহারকারীদের কাছে এই সকল এপ্লিকেশনের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা।
স্টিভ ডেমেটার যুক্তরাষ্ট্রে সানফ্রান্সিসকোতে বসবাসরত একজন প্রোগ্রমার। তিনি মূল চাকুরীর বাইরে অতিরিক্ত প্রজেক্ট হিসেবে আইফোনের জন্য Trism নামক একটি পাজল গেম তৈরি করেছিলেন। আর এখন তিনি তার চাকুরী ছেড়ে দিয়েছেন। কারণ হচ্ছে ৪.৯৯ ডলার দামের এই ছোট গেমটি মাত্র দুই মাস বিক্রি করে তার তার আয় হয়েছে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার ডলার। স্টিভ বর্তমানে কয়েকজন ডেভেলপার এবং ডিজাইনার রেখে পুরো মাত্রায় আইফোনের জন্য গেম তৈরি করছেন।
রাতারাতি সাফল্য পাওয়া দৃষ্টান্ত হচ্ছে iShoot নামক আরেকটি গেম। এটি একটি ট্যাংক যুদ্ধের গেম। ডেভেলপার ইথান নিকোলাস জানান তিনি সান মাইক্রোসিস্টেমে চাকুরী করতেন। অবসর সময়ে শখের বশে গেমটি তৈরি করেছিলেন এবং রিলিজ করার পর গেমটিতে আর কোন আপডেট আনেননি। ২.৯৯ ডলার দামের গেমটি প্রকাশের পর মোটামুটি কয়েকবার বিক্রি হয়েছিল যা ইথানের দৃষ্টিতে ছিল স্বাভাবিক। ক্রিসমাসের বন্ধে গেমটির একটি ফ্রি ভার্সন ছাড়ার পরিকল্পনা করেন, আশা ছিল আইফোনের গেমারদের কাছে গেমটিকে পরিচয় করিয়ে দেয়া। এই সিদ্ধান্তটিই তার ভাগ্য পরিবর্তনে ম্যাজিকের মত কাজ দেয়। ফ্রি ভার্সনটি ছাড়ার দশ দিনের মধ্যে মূল গেমটি একদিনে প্রায় ১৭ হাজার বার বিক্রি হয়ে iTunes App Store এর শীর্ষে চলে আসে। প্রতিবার বিক্রির জন্য Apple কে ৩০% কমিশন দেবার পর একদিনে তার আয় দাঁড়ায় ৩৫ হাজার ডলারের উপর। একমাস পরে দেখা যায় গেমটি মোট ৩ লক্ষ বার বিক্রি হয়, যা থেকে তার আয় হয় ৬ লক্ষ ডলারের উপর। অন্যদিকে ফ্রি ভার্সনটি একই মাসে ২৪ লক্ষ বার ডাউনলোড হয়। ইথান জানান গেমটি তার তৈরি প্রথম আইফোন এপ্লিকেশন। এটি তৈরির পূর্বে আগে কখনও আইফোনের প্রোগ্রামিং ভাষা Objective-C তে কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। গেমটির আইডিয়া অত্যন্ত সাধারণ, নিজের ট্যাংককে প্রতিরক্ষা করা এবং শত্রুর ট্যাংককে ধ্বংস করা। ফ্রি ভার্সনটিতে ৬ ধরনের অস্ত্র রয়েছে, অন্যদিকে মূল ভার্সনে রয়েছে ২০ টি অস্ত্র। ইথান আরো জানান গেমটি তৈরির পর এর প্রচারের জন্য তিনি কোন টাকা খরচ করেননি, এমনকি কোন ব্লগে রিভিউ পর্যন্ত লিখেননি। তিনি এমন একটি গেম তৈরি করতে চেয়েছিলেন যা তিনি নিজে অবসর সময়ে খেলবেন। বর্তমানে ইথান নিকোলাস তার চাকুরী ছেড়ে দিয়েছেন, এবার তিনি গুরুত্বের সাথে আইফোনের জন্য গেম তৈরি শুরু করছেন।
প্রকৃতপক্ষে সবার হয়ত রাতারাতি কোটিপতি হবার সৌভাগ্য হবে না। তবে একথা সবাই স্বীকার করে যে আইফোনের এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টে রয়েছে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। বাংলাদেশেও অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা সফলতার সাথে আইফোন এপ্লিকেশন তৈরি করছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কোম্পানী Prolog Inc. Bangladesh। এ নিয়ে কথা বলেছিলাম প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সিনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এবং আইফোন টিম লিডার বেঞ্জামিন বাসারের সাথে। তিনি গত এক বছর যাবৎ প্রতিষ্ঠানটিতে আইফোনের জন্য বিভিন্ন এপ্লিকেশন তৈরি করছেন। বেঞ্জামিন বাশার পড়ালেখা করছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। আইফোন এপ্লিকেশন তৈরি নিয়ে তিনি আমাদের কাছে নিজের অভিজ্ঞতা তোলে ধরেন।
জাকারিয়া: আপনাদের প্রতিষ্ঠানে কোন কোন ধরনের কাজ হয়?
বেঞ্জামিন: আমাদের এখানে প্রায় সব ধরনের মোবাইল এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট হয়। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আইফোন, ব্লাকবেরী, এন্ড্রোয়েড, পাম এবং J2ME।
জাকারিয়া: আপনারা আইফোনের জন্য কোন কোন ধরনের এপ্লিকেশন তৈরি করে থাকেন?
বেঞ্জামিন: আমি যে সকল প্রজেক্টে কাজ করেছি তার মধ্য বেশিরভাগ হচ্ছে ইউটিলিটি সফটওয়্যার, সাথে কিছু গেমস রয়েছে। আমাদের গেমস এবং ইউটিলিটি সফটওয়্যারগুলো খুব জনপ্রিয়। তারমধ্যে কিছু স্ট্রিমিং সফটওয়্যারও রয়েছে। আমি সর্বশেষ যে সফটওয়্যার তৈরি করেছি সেটি একটি ভিডিও স্ট্রিমিং সফটওয়্যার। এটিও খুব জনপ্রিয় হয়েছে।
জাকারিয়া: এপ্লিকেশনগুলো তৈরি করতে কি রকম সময় লাগে?
বেঞ্জামিন: আমরা স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী এপ্লিকেশন তৈরি করে থাকি। স্বল্পমেয়াদী এপ্লিকেশনগুলো এক বা দুইজন প্রোগ্রামার ১৫ দিন থেকে এক মাসে তৈরি করে থাকে। আর দীর্ঘমেয়াদী প্রজেক্টে দুই থেকে তিন জন প্রোগ্রামার কাজ করে। এই ধরনের এপ্লিকেশনে ৬ মাস ধরে ডেভেলপমেন্ট এবং সাপোর্ট দেয়া হয়।
জাকারিয়া: আপনারা কি ফ্রি এপ্লিকেশন তৈরি করে?
বেঞ্জামিন: আমাদের স্ট্র্যাটেজি এরকম, আমরা প্রত্যেকটা এপ্লিকেশনের একটা ফ্রি বা লাইট ভার্সন এবং একটা Paid ভার্সন তৈরি করি। লাইট ভার্সনটা বিজ্ঞাপন নির্ভর হয়ে থাকে। গেমসের ক্ষেত্রে লাইট ভার্সনে লেভেলের পার্থক্য থাকে। এক্ষেত্রে একটা বা দুইটা লেভেল খেলা যায় আর মূল ভার্সনে দশ থেকে বিশটা লেভেল থাকে। ফ্রি ভার্সনগুলো প্রথমে বেশি বেশি ডাউনলোড হয়, তারপর আস্তে আস্তে মূল ভার্সন বিক্রি হতে থাকে।
জাকারিয়া: এপ্লিকেশন বিক্রির ক্ষেত্রে আপনাদের সর্বোচ্চ সাফল্য কতটুকু?
বেঞ্জামিন: আইফোনের হেলথকেয়ার বিভাগে আমাদের একটি এপ্লিকেশন তিনমাস শীর্ষ ৫০ মধ্যে ছিল। ডাউনলোডের সংখ্যা আমি এই মূহুর্তে সঠিকভাবে বলতে পারছি না, তবে আনুমানিকভাবে লাইট ভার্সনটা ১৫ হাজারের উপর, আর মূল ভার্সটা প্রায় দুই হাজারের উপর ডাউনলোড হয়েছে।
জাকারিয়া: আইফোনের এপ্লিকেশন তৈরির চাহিদা কিরকম বা বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের এ ক্ষেত্রে সম্ভাবনা কতটুকু?
বেঞ্জামিন: আপনি নিশ্চয় ফ্রিল্যান্সিং সাইটে দেখেছেন, আইফোন এবং আইপ্যাডের কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে oDesk.com এ আইফোনের ভাল কাজ পাওয়া যায়। আর আমি যতদূর জানি ঢাকায় তিন থেকে চারটা বড় বড় সফটওয়্যার ফার্ম রয়েছে যেখানে আইফোন এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট হয়।
জাকারিয়া: একজন নতুন প্রোগ্রামারে এই ধরনের কাজ শিখতে কিরকম সময় লাগতে পারে?
বেঞ্জামিন: C++ বা Java যদি ভাল জানা থাকে তাহলে তিন মাসের মধ্যেই এই ধরনের কাজে দক্ষ হওয়া সম্ভব।
জাকারিয়া: নতুনরা এ ধরনের কাজে কি কি ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে বলে আপনার মনে হয়?
বেঞ্জামিন: আইফোনের এপ্লিকেশন তৈরি করার পর এপলের রিভিউ টিম তা যাচাই-বাছাই করে দেখে। এক্ষেত্রে তারা খুবই নিখুত কাজ আশা করে। এপ্লিকেশনে কোন ভুল থাকলে বা কোন কারণে প্রোগ্রামটি ক্রাশ করলে তারা তা ধরে ফেলে। তাই সবসময় অপটিমাইজড কাজ করতে হবে, না হলে বারবার রিজেক্টেড হতে হয়। আর আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এপ্লিকেশনগুলোকে যথাযথভাবে মার্কেটিং করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের রিভিউ সাইট আছে যারা নতুন নতুন এপ্লিকেশনের রিভিউ করে। সেই সাইটগুলোতে ভাল রিভিউ লেখা হলে এপ্লিকেশনগুলো ভাল বিক্রি হয়।
জাকারিয়া: বিষয়গুলো জানানোর জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বেঞ্জামিন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
আইফোন এপ্লিকেশন প্লাটফরম
আইফোনের অপারেটিং সিস্টেম iPhone OS টি মূলত Mac OS X এর মোবাইল সংস্করণ। সিস্টেমটি iPod Touch, iPhone এবং iPad এ ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে একই এপ্লিকেশন তৈরি করে সামান্য পরিবর্তন এনে তিনটি ডিভাইসেই চালানো যায়। এপ্লিকেশনগুলো তিন ধরনের পদ্ধতিতে তৈরি করা যায় -
১) ওয়েব এপ্লিকেশন:
প্রথম দিকে iPhone OS 1.0 ভার্সনে সকল এপ্লিকেশনগুলো বাধ্যতামূলকভাবে ওয়েবভিত্তিক তৈরি করতে হতো এবং এগুলো মোবাইল সাফারী ওয়েব ব্রাউজারে চালাতে হতো। যেহেতু ব্রাউজারটি ফ্ল্যাশ বা সিলভারলাইট প্লাগইনস সাপোর্ট করে না তা ওই সব এপ্লিকেশনগুলো ছিল HTML, CSS এবং Javascript নির্ভর। এই পদ্ধতির এপ্লিকেশন তৈরি এখনও চালু আছে, বিশেষ করে যে সকল এপ্লিকেশন আইফোনের পাশাপাশি অন্যান্য মোবাইল ডিভাইসের জন্য তৈরি করতে হয়, সেক্ষেত্রে প্রত্যেকটি ডিভাইসের জন্য আলাদা আলাদা তৈরি না করে ওয়েব এপ্লিকেশন তৈরি করাই অধিক যুক্তিসংগত।
২) নেটিভ এপ্লিকেশন:
iPhone OS 2.0 প্রকাশের সাথে সাথে ডিভাইসটিতে iPhone SDK এবং App Store এর সূচনা হয়, ফলে ডেভেলপাররা Objective-C এবং Xcode এর সাহায্যে নেটিভ এপ্লিকেশন তৈরির সুযোগ পায়। নেটিভ এপ্লিকেশনগুলো ডিভাইসে সরাসরি ইন্সটল হয় এবং ডিভাইসের হার্ডওয়ার ব্যবহারের অনুমতি পায়। এই এপ্লিকেশনগুলো App Store এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ডিভাইসে পৌছে দেয়া যায়। আইফোনের বেশিরভাগ এপ্লিকেশনগুলো এই পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়।
৩) হাইব্রিড এপ্লিকেশন:
উপরের দুই পদ্ধতির সমন্বিতরূপ হচ্ছে হাইব্রিড এপ্লিকেশন। অর্থাৎ এপ্লিকেশনটি App Store এ প্রকাশ করা যাবে এবং তা ব্যবহারকারীর ডিভাইসে ইন্সটল হবে, কিন্তু প্রোগ্রামটি তৈরি হবে মূলত HTML, CSS এবং Javascript দিয়ে। বর্তমানে এই ধরনের এপ্লিকেশন তৈরির প্রবণতা বাড়ছে। এক্ষেত্রে অনেক ওপেনসোর্স লাইব্রেরী ও প্লাটফরম পাওয়া যায়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে QuickConnect, PhoneGap, AppCelerator এবং rhomobile।
শুরু করতে হবে যেভাবে
iPhone SDK দিয়ে এপ্লিকেশন তৈরি করতে যা যা প্রয়োজন সেগুলো হল -
স্টিভ ডেমেটার যুক্তরাষ্ট্রে সানফ্রান্সিসকোতে বসবাসরত একজন প্রোগ্রমার। তিনি মূল চাকুরীর বাইরে অতিরিক্ত প্রজেক্ট হিসেবে আইফোনের জন্য Trism নামক একটি পাজল গেম তৈরি করেছিলেন। আর এখন তিনি তার চাকুরী ছেড়ে দিয়েছেন। কারণ হচ্ছে ৪.৯৯ ডলার দামের এই ছোট গেমটি মাত্র দুই মাস বিক্রি করে তার তার আয় হয়েছে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার ডলার। স্টিভ বর্তমানে কয়েকজন ডেভেলপার এবং ডিজাইনার রেখে পুরো মাত্রায় আইফোনের জন্য গেম তৈরি করছেন।
রাতারাতি সাফল্য পাওয়া দৃষ্টান্ত হচ্ছে iShoot নামক আরেকটি গেম। এটি একটি ট্যাংক যুদ্ধের গেম। ডেভেলপার ইথান নিকোলাস জানান তিনি সান মাইক্রোসিস্টেমে চাকুরী করতেন। অবসর সময়ে শখের বশে গেমটি তৈরি করেছিলেন এবং রিলিজ করার পর গেমটিতে আর কোন আপডেট আনেননি। ২.৯৯ ডলার দামের গেমটি প্রকাশের পর মোটামুটি কয়েকবার বিক্রি হয়েছিল যা ইথানের দৃষ্টিতে ছিল স্বাভাবিক। ক্রিসমাসের বন্ধে গেমটির একটি ফ্রি ভার্সন ছাড়ার পরিকল্পনা করেন, আশা ছিল আইফোনের গেমারদের কাছে গেমটিকে পরিচয় করিয়ে দেয়া। এই সিদ্ধান্তটিই তার ভাগ্য পরিবর্তনে ম্যাজিকের মত কাজ দেয়। ফ্রি ভার্সনটি ছাড়ার দশ দিনের মধ্যে মূল গেমটি একদিনে প্রায় ১৭ হাজার বার বিক্রি হয়ে iTunes App Store এর শীর্ষে চলে আসে। প্রতিবার বিক্রির জন্য Apple কে ৩০% কমিশন দেবার পর একদিনে তার আয় দাঁড়ায় ৩৫ হাজার ডলারের উপর। একমাস পরে দেখা যায় গেমটি মোট ৩ লক্ষ বার বিক্রি হয়, যা থেকে তার আয় হয় ৬ লক্ষ ডলারের উপর। অন্যদিকে ফ্রি ভার্সনটি একই মাসে ২৪ লক্ষ বার ডাউনলোড হয়। ইথান জানান গেমটি তার তৈরি প্রথম আইফোন এপ্লিকেশন। এটি তৈরির পূর্বে আগে কখনও আইফোনের প্রোগ্রামিং ভাষা Objective-C তে কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। গেমটির আইডিয়া অত্যন্ত সাধারণ, নিজের ট্যাংককে প্রতিরক্ষা করা এবং শত্রুর ট্যাংককে ধ্বংস করা। ফ্রি ভার্সনটিতে ৬ ধরনের অস্ত্র রয়েছে, অন্যদিকে মূল ভার্সনে রয়েছে ২০ টি অস্ত্র। ইথান আরো জানান গেমটি তৈরির পর এর প্রচারের জন্য তিনি কোন টাকা খরচ করেননি, এমনকি কোন ব্লগে রিভিউ পর্যন্ত লিখেননি। তিনি এমন একটি গেম তৈরি করতে চেয়েছিলেন যা তিনি নিজে অবসর সময়ে খেলবেন। বর্তমানে ইথান নিকোলাস তার চাকুরী ছেড়ে দিয়েছেন, এবার তিনি গুরুত্বের সাথে আইফোনের জন্য গেম তৈরি শুরু করছেন।
প্রকৃতপক্ষে সবার হয়ত রাতারাতি কোটিপতি হবার সৌভাগ্য হবে না। তবে একথা সবাই স্বীকার করে যে আইফোনের এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টে রয়েছে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। বাংলাদেশেও অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা সফলতার সাথে আইফোন এপ্লিকেশন তৈরি করছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কোম্পানী Prolog Inc. Bangladesh। এ নিয়ে কথা বলেছিলাম প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সিনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এবং আইফোন টিম লিডার বেঞ্জামিন বাসারের সাথে। তিনি গত এক বছর যাবৎ প্রতিষ্ঠানটিতে আইফোনের জন্য বিভিন্ন এপ্লিকেশন তৈরি করছেন। বেঞ্জামিন বাশার পড়ালেখা করছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। আইফোন এপ্লিকেশন তৈরি নিয়ে তিনি আমাদের কাছে নিজের অভিজ্ঞতা তোলে ধরেন।
জাকারিয়া: আপনাদের প্রতিষ্ঠানে কোন কোন ধরনের কাজ হয়?
বেঞ্জামিন: আমাদের এখানে প্রায় সব ধরনের মোবাইল এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট হয়। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আইফোন, ব্লাকবেরী, এন্ড্রোয়েড, পাম এবং J2ME।
জাকারিয়া: আপনারা আইফোনের জন্য কোন কোন ধরনের এপ্লিকেশন তৈরি করে থাকেন?
বেঞ্জামিন: আমি যে সকল প্রজেক্টে কাজ করেছি তার মধ্য বেশিরভাগ হচ্ছে ইউটিলিটি সফটওয়্যার, সাথে কিছু গেমস রয়েছে। আমাদের গেমস এবং ইউটিলিটি সফটওয়্যারগুলো খুব জনপ্রিয়। তারমধ্যে কিছু স্ট্রিমিং সফটওয়্যারও রয়েছে। আমি সর্বশেষ যে সফটওয়্যার তৈরি করেছি সেটি একটি ভিডিও স্ট্রিমিং সফটওয়্যার। এটিও খুব জনপ্রিয় হয়েছে।
জাকারিয়া: এপ্লিকেশনগুলো তৈরি করতে কি রকম সময় লাগে?
বেঞ্জামিন: আমরা স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী এপ্লিকেশন তৈরি করে থাকি। স্বল্পমেয়াদী এপ্লিকেশনগুলো এক বা দুইজন প্রোগ্রামার ১৫ দিন থেকে এক মাসে তৈরি করে থাকে। আর দীর্ঘমেয়াদী প্রজেক্টে দুই থেকে তিন জন প্রোগ্রামার কাজ করে। এই ধরনের এপ্লিকেশনে ৬ মাস ধরে ডেভেলপমেন্ট এবং সাপোর্ট দেয়া হয়।
জাকারিয়া: আপনারা কি ফ্রি এপ্লিকেশন তৈরি করে?
বেঞ্জামিন: আমাদের স্ট্র্যাটেজি এরকম, আমরা প্রত্যেকটা এপ্লিকেশনের একটা ফ্রি বা লাইট ভার্সন এবং একটা Paid ভার্সন তৈরি করি। লাইট ভার্সনটা বিজ্ঞাপন নির্ভর হয়ে থাকে। গেমসের ক্ষেত্রে লাইট ভার্সনে লেভেলের পার্থক্য থাকে। এক্ষেত্রে একটা বা দুইটা লেভেল খেলা যায় আর মূল ভার্সনে দশ থেকে বিশটা লেভেল থাকে। ফ্রি ভার্সনগুলো প্রথমে বেশি বেশি ডাউনলোড হয়, তারপর আস্তে আস্তে মূল ভার্সন বিক্রি হতে থাকে।
জাকারিয়া: এপ্লিকেশন বিক্রির ক্ষেত্রে আপনাদের সর্বোচ্চ সাফল্য কতটুকু?
বেঞ্জামিন: আইফোনের হেলথকেয়ার বিভাগে আমাদের একটি এপ্লিকেশন তিনমাস শীর্ষ ৫০ মধ্যে ছিল। ডাউনলোডের সংখ্যা আমি এই মূহুর্তে সঠিকভাবে বলতে পারছি না, তবে আনুমানিকভাবে লাইট ভার্সনটা ১৫ হাজারের উপর, আর মূল ভার্সটা প্রায় দুই হাজারের উপর ডাউনলোড হয়েছে।
জাকারিয়া: আইফোনের এপ্লিকেশন তৈরির চাহিদা কিরকম বা বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের এ ক্ষেত্রে সম্ভাবনা কতটুকু?
বেঞ্জামিন: আপনি নিশ্চয় ফ্রিল্যান্সিং সাইটে দেখেছেন, আইফোন এবং আইপ্যাডের কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে oDesk.com এ আইফোনের ভাল কাজ পাওয়া যায়। আর আমি যতদূর জানি ঢাকায় তিন থেকে চারটা বড় বড় সফটওয়্যার ফার্ম রয়েছে যেখানে আইফোন এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট হয়।
জাকারিয়া: একজন নতুন প্রোগ্রামারে এই ধরনের কাজ শিখতে কিরকম সময় লাগতে পারে?
বেঞ্জামিন: C++ বা Java যদি ভাল জানা থাকে তাহলে তিন মাসের মধ্যেই এই ধরনের কাজে দক্ষ হওয়া সম্ভব।
জাকারিয়া: নতুনরা এ ধরনের কাজে কি কি ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে বলে আপনার মনে হয়?
বেঞ্জামিন: আইফোনের এপ্লিকেশন তৈরি করার পর এপলের রিভিউ টিম তা যাচাই-বাছাই করে দেখে। এক্ষেত্রে তারা খুবই নিখুত কাজ আশা করে। এপ্লিকেশনে কোন ভুল থাকলে বা কোন কারণে প্রোগ্রামটি ক্রাশ করলে তারা তা ধরে ফেলে। তাই সবসময় অপটিমাইজড কাজ করতে হবে, না হলে বারবার রিজেক্টেড হতে হয়। আর আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এপ্লিকেশনগুলোকে যথাযথভাবে মার্কেটিং করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের রিভিউ সাইট আছে যারা নতুন নতুন এপ্লিকেশনের রিভিউ করে। সেই সাইটগুলোতে ভাল রিভিউ লেখা হলে এপ্লিকেশনগুলো ভাল বিক্রি হয়।
জাকারিয়া: বিষয়গুলো জানানোর জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বেঞ্জামিন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
আইফোন এপ্লিকেশন প্লাটফরম
আইফোনের অপারেটিং সিস্টেম iPhone OS টি মূলত Mac OS X এর মোবাইল সংস্করণ। সিস্টেমটি iPod Touch, iPhone এবং iPad এ ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে একই এপ্লিকেশন তৈরি করে সামান্য পরিবর্তন এনে তিনটি ডিভাইসেই চালানো যায়। এপ্লিকেশনগুলো তিন ধরনের পদ্ধতিতে তৈরি করা যায় -
১) ওয়েব এপ্লিকেশন:
প্রথম দিকে iPhone OS 1.0 ভার্সনে সকল এপ্লিকেশনগুলো বাধ্যতামূলকভাবে ওয়েবভিত্তিক তৈরি করতে হতো এবং এগুলো মোবাইল সাফারী ওয়েব ব্রাউজারে চালাতে হতো। যেহেতু ব্রাউজারটি ফ্ল্যাশ বা সিলভারলাইট প্লাগইনস সাপোর্ট করে না তা ওই সব এপ্লিকেশনগুলো ছিল HTML, CSS এবং Javascript নির্ভর। এই পদ্ধতির এপ্লিকেশন তৈরি এখনও চালু আছে, বিশেষ করে যে সকল এপ্লিকেশন আইফোনের পাশাপাশি অন্যান্য মোবাইল ডিভাইসের জন্য তৈরি করতে হয়, সেক্ষেত্রে প্রত্যেকটি ডিভাইসের জন্য আলাদা আলাদা তৈরি না করে ওয়েব এপ্লিকেশন তৈরি করাই অধিক যুক্তিসংগত।
২) নেটিভ এপ্লিকেশন:
iPhone OS 2.0 প্রকাশের সাথে সাথে ডিভাইসটিতে iPhone SDK এবং App Store এর সূচনা হয়, ফলে ডেভেলপাররা Objective-C এবং Xcode এর সাহায্যে নেটিভ এপ্লিকেশন তৈরির সুযোগ পায়। নেটিভ এপ্লিকেশনগুলো ডিভাইসে সরাসরি ইন্সটল হয় এবং ডিভাইসের হার্ডওয়ার ব্যবহারের অনুমতি পায়। এই এপ্লিকেশনগুলো App Store এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ডিভাইসে পৌছে দেয়া যায়। আইফোনের বেশিরভাগ এপ্লিকেশনগুলো এই পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়।
৩) হাইব্রিড এপ্লিকেশন:
উপরের দুই পদ্ধতির সমন্বিতরূপ হচ্ছে হাইব্রিড এপ্লিকেশন। অর্থাৎ এপ্লিকেশনটি App Store এ প্রকাশ করা যাবে এবং তা ব্যবহারকারীর ডিভাইসে ইন্সটল হবে, কিন্তু প্রোগ্রামটি তৈরি হবে মূলত HTML, CSS এবং Javascript দিয়ে। বর্তমানে এই ধরনের এপ্লিকেশন তৈরির প্রবণতা বাড়ছে। এক্ষেত্রে অনেক ওপেনসোর্স লাইব্রেরী ও প্লাটফরম পাওয়া যায়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে QuickConnect, PhoneGap, AppCelerator এবং rhomobile।
শুরু করতে হবে যেভাবে
iPhone SDK দিয়ে এপ্লিকেশন তৈরি করতে যা যা প্রয়োজন সেগুলো হল -
- একটি ম্যাক কম্পিউটার যাতে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে Mac OS X Snow Leopard এর ১০.৬.২ বা তার পরবর্তী ভার্সন। তবে আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে দাম দিয়ে ম্যাক কম্পিউটার কেনার সামর্থ সবার হয়ত হবে না। সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে সাধারণ x86 হার্ডওয়্যারে OS X ইন্সটল করে কাজ চালানো যেতে পারে, যা সাধারণভাবে হ্যাকিন্টোশ নামে পরিচিত। অর্থাৎ একই কম্পিউটারে Windows বা Linux এর সাথে Dual Boot হিসেবে OS X ইন্সটল করা যায়। এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে http://wiki.osx86project.org ওয়েবসাইটে।
- সাথে প্রয়োজন পড়বে একটি Apple Developer একাউন্ট। এজন্যhttp://developer.apple.com সাইটে গিয়ে একাউন্ট তৈরি করা যাবে। রেজিষ্ট্রশন করতে কোন টাকা লাগবে না। এর মাধ্যমে iPhone Simulator দিয়ে এপ্লিকেশন যাচাই করা যাবে, তবে নিজের ডিভাইসে ইন্সটল করতে চাইলে অথবা iTunes App Store এ বিক্রি করতে চাইলে বাৎসরিক ৯৯ ডলার ফি দিতে হবে।
- এবার কাজ শুরু করার জন্য ডেভেলপার একাউন্টে লগইন করে iPhone SDK এবং Xcode ডাউনলোড করে নিতে হবে। Xcode হচ্ছে একাধিক টুলে সমন্বয়ে গঠিত একটি IDE।
আইফোনের এপ্লিকেশন শেখার জন্য সবচেয়ে ভাল রিসোর্স পাওয়া যাবে Apple Developer ওয়েবসাইট থেকে। এছাড়া বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এ নিয়ে নানা ধরনের টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। সম্প্রতি একটি ওয়েবসাইট চালু হয়েছে যাতে আইফোনের এপ্লিকেশন তৈরির প্রক্রিয়া ধারাবাহিকভাবে শেখানো হচ্ছে। ওয়েবসাইটের ঠিকানা হচ্ছে -http://mobile.tutsplus.com।
লেখক - মোঃ জাকারিয়া চৌধুরী
বিঃদ্রঃ - এই লেখাটি "মাসিক কম্পিউটার জগৎ" ম্যাগাজিনের "আগস্ট ২০১০" সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে।
ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের প্রকাশিত প্রায় সকল বইয়ের ডাউনলোড লিংক
উল্লেখযোগ্য রচনাবলী
উপন্যাস
■ মহব্বত আলীর
একদিন
একদিন
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী
■ অন্য জগত
■
■
কিশোর সাহিত্য
কিশোর উপন্যাস
■ দস্যি ক'জন-(২০০৪)
কিশোর গল্প
শিশুতোষ
ভ্রমণ ও স্মৃতিচারণ
বিজ্ঞান ও গনিত বিষয়ক
■ থিওরি অফ রিলেটিভিটি-(২০০৮)