আউটসোর্সিং এ থ্রিডি কাজের রয়েছে ব্যাপক সম্ভাবনা। যত দিন যাচ্ছে ভিডিও গেমস এবং থ্রিডি এনিমেটেড মুভিগুলো আরো বাস্তবসম্মত হয়ে উঠছে, যা খুব সহজেই সব বয়সের মানুষের মন জয় করে নিচ্ছে। এই শিল্পে খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন থ্রিডি কাজের চাহিদা তৈরি হচ্ছে। গেমস বা মুভি ছাড়াও স্থাপত্যে থ্রিডি কাজের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। প্রায় সকল জনপ্রিয় আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেসে থ্রিডি এনিমেশন, থ্রিডি মডেলেং, থ্রিডি রেন্ডারিং ইত্যাদি কাজ পাওয়া যায়। আয়ের দিক থেকে এই ধরনের কাজগুলোতে অন্যান্য আউটসোর্সিং ক্ষেত্র থেকে বেশি মূল্য পাওয়া যায়। যে সকল সফটওয়্যার দিয়ে থ্রিডি কাজ করা হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে - Maya, 3Ds Max, Cinema 4D, ZBrush, Blender, Poser ইত্যাদি।
বাংলাদেশের থ্রিডি ডিজাইনাররাও আউটসোর্সিং এ খুব দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। থ্রিডি কাজে সফলতা পেয়েছেন এরকম একজন ফ্রিল্যান্সার হচ্ছেনমোঃ এহসানুল ইসলাম। তিনি সিলেটে বসবাস করেন। গত ১০ বছর থেকে থ্রিডি ভিত্তিক নানা ধরনের কাজ করছেন। প্রথমদিকে মূলত দেশী ক্লায়েন্টদের কাজ করতেন। বর্তমানে নিয়মিতভাবে আউটসোর্সিং এর কাজগুলো করছেন। ছোটবেলা থেকেই থ্রিডি গেমের প্রতি আকর্ষণ ছিল মোঃ এহসানুল ইসলামের, সেই থেকে থ্রিডি কাজ করার প্রতি আগ্রহ জন্মে। ১৯৯৮ সালের দিকে থ্রিডি ম্যাক্স শেখা শুরু করেন। সেসময় ইন্টারনেট সহজলভ্য ছিল না, শুরুটা করেছিলে বই পড়েই। পরবর্তীতে ইন্টারনেট থেকেই মূল দক্ষতা অর্জন করেন। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি কাজ করেছেন থ্রিডি মডেলিং, এনিমেশন, ক্যারেক্টার এনিমেশন, ফ্লুয়িড সিমুল্যাশন, রিজিড বডি ডাইনামিক্স, ল্যান্ডস্ক্যাপিং এর উপর। বর্তমানে আর্কিটেকচারাল ভিজুয়ালাইজেশন অর্থাৎ ইন্টেরিয়র, এক্সটেরিয়র মডেলিং এবং ভিজুয়ালাইজেশনের কাজ করতেই স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করেন। থ্রিডি কাজে নিজের সফলতা এবং এই কাজের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছিলাম এহসানুল ইসলামের সাথে।
জাকারিয়া: আপনি কত দিন থেকে আউটসোর্সিং এর কাজ করছেন?
এহসান: থ্রিডির কাজ অনেক দিন থেকে করলেও আউটসোর্সিং এর কাজগুলো মূলত ২-৩ বছর ধরেই করছি।
জাকারিয়া: আপনি কিভাবে কাজ পেয়ে থাকেন?
এহসান: দেশে আমি মূলত আর্কিটেকচারাল কন্সাল্টেন্সি ফার্ম আর ডেভেলপারদের কাছ থেকে কাজ পাই। আমাদের দেশেও বর্তমানে এই ফিল্ডে অনেক কাজ আছে। ইন্টারনেটে প্রায় সকল জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যেমন freelancer.com, odesk.com ইত্যাদি সাইটে এই ধরনের কাজ পাওয়া যায়। তবে এসব সাইট থেকে নতুনদের জন্য প্রথম দিকে কাজ পাওয়াটা তুলনামূলকভাবে কঠিন। গ্রাফিক্সের কাজ আরেকভাবে পাওয়ার উপায় রয়েছে যা আমাদের দেশের বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সাররা হয়ত খেয়াল করেন না। এটি হচ্ছে নামিদামী কোন সাইটে নিজের কাজের একটি ভাল পোর্টফোলিও তৈরি করে রাখা। এরকম একটি জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে cgsociety.org। আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে নিজের কাজগুলো বিভিন্ন ফোরামে নিয়মিত পোস্ট করা। এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে ক্লায়েন্টরা নিজে থেকেই কাজের প্রস্তাব জানায়। cgsociety.org সাইটে আমার একটি পোর্টফলিও আছে এবং এই সাইট থেকে আমি সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইউরোপের কয়েকজন নিয়মিত ক্লায়েন্ট পেয়েছি। তাছাড়া http://jobs.cgarchitect.com সাইট থেকেও আমি আউটসোর্সিং এর কাজ পেয়ে থাকি।
বাংলাদেশের থ্রিডি ডিজাইনাররাও আউটসোর্সিং এ খুব দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। থ্রিডি কাজে সফলতা পেয়েছেন এরকম একজন ফ্রিল্যান্সার হচ্ছেনমোঃ এহসানুল ইসলাম। তিনি সিলেটে বসবাস করেন। গত ১০ বছর থেকে থ্রিডি ভিত্তিক নানা ধরনের কাজ করছেন। প্রথমদিকে মূলত দেশী ক্লায়েন্টদের কাজ করতেন। বর্তমানে নিয়মিতভাবে আউটসোর্সিং এর কাজগুলো করছেন। ছোটবেলা থেকেই থ্রিডি গেমের প্রতি আকর্ষণ ছিল মোঃ এহসানুল ইসলামের, সেই থেকে থ্রিডি কাজ করার প্রতি আগ্রহ জন্মে। ১৯৯৮ সালের দিকে থ্রিডি ম্যাক্স শেখা শুরু করেন। সেসময় ইন্টারনেট সহজলভ্য ছিল না, শুরুটা করেছিলে বই পড়েই। পরবর্তীতে ইন্টারনেট থেকেই মূল দক্ষতা অর্জন করেন। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি কাজ করেছেন থ্রিডি মডেলিং, এনিমেশন, ক্যারেক্টার এনিমেশন, ফ্লুয়িড সিমুল্যাশন, রিজিড বডি ডাইনামিক্স, ল্যান্ডস্ক্যাপিং এর উপর। বর্তমানে আর্কিটেকচারাল ভিজুয়ালাইজেশন অর্থাৎ ইন্টেরিয়র, এক্সটেরিয়র মডেলিং এবং ভিজুয়ালাইজেশনের কাজ করতেই স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করেন। থ্রিডি কাজে নিজের সফলতা এবং এই কাজের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছিলাম এহসানুল ইসলামের সাথে।
জাকারিয়া: আপনি কত দিন থেকে আউটসোর্সিং এর কাজ করছেন?
এহসান: থ্রিডির কাজ অনেক দিন থেকে করলেও আউটসোর্সিং এর কাজগুলো মূলত ২-৩ বছর ধরেই করছি।
জাকারিয়া: আপনি কিভাবে কাজ পেয়ে থাকেন?
এহসান: দেশে আমি মূলত আর্কিটেকচারাল কন্সাল্টেন্সি ফার্ম আর ডেভেলপারদের কাছ থেকে কাজ পাই। আমাদের দেশেও বর্তমানে এই ফিল্ডে অনেক কাজ আছে। ইন্টারনেটে প্রায় সকল জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যেমন freelancer.com, odesk.com ইত্যাদি সাইটে এই ধরনের কাজ পাওয়া যায়। তবে এসব সাইট থেকে নতুনদের জন্য প্রথম দিকে কাজ পাওয়াটা তুলনামূলকভাবে কঠিন। গ্রাফিক্সের কাজ আরেকভাবে পাওয়ার উপায় রয়েছে যা আমাদের দেশের বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সাররা হয়ত খেয়াল করেন না। এটি হচ্ছে নামিদামী কোন সাইটে নিজের কাজের একটি ভাল পোর্টফোলিও তৈরি করে রাখা। এরকম একটি জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে cgsociety.org। আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে নিজের কাজগুলো বিভিন্ন ফোরামে নিয়মিত পোস্ট করা। এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে ক্লায়েন্টরা নিজে থেকেই কাজের প্রস্তাব জানায়। cgsociety.org সাইটে আমার একটি পোর্টফলিও আছে এবং এই সাইট থেকে আমি সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইউরোপের কয়েকজন নিয়মিত ক্লায়েন্ট পেয়েছি। তাছাড়া http://jobs.cgarchitect.com সাইট থেকেও আমি আউটসোর্সিং এর কাজ পেয়ে থাকি।
চিত্র: মোঃ এহসানুল ইসলামের কয়েকটি কাজের নমুনা
জাকারিয়া: একটি প্রজেক্টে গড়ে কত মূল্য পাওয়া যায়? কোন পদ্ধতিতে টাকা পেয়ে থাকেন? এহসান: প্রত্যেকটা প্রজেক্টে গড়ে ৬০০ থেকে ৮০০ ডলার পাওয়া যায়। আর্কিটেকচারাল ভিজুয়ালাইজেশনের কাজ থেকে এনিমেশনের কাজে এর থেকেও অনেক বেশি অর্থ পাওয়া যায়। পেপাল না থাকার কারণে আমাদের দেশের ফ্রিল্যান্সারদের অনেক অসুবিধার সম্মুখিন হতে হয়। তবে আমি বেশিরভাগ পেমেন্টগুলো “ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন” মানি ট্রান্সফারের মাধ্যমে পেয়ে থাকি।
জাকারিয়া: একটি কাজ করতে আপনার কতদিন সময় লাগে?
এহসান: এটা আসলে অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। অনেক সময় ক্লায়ান্টকে প্রাথমিক কাজ দেখানোর পর কিছু পরিবর্তন করতে হয়। তবে গড়ে ৩ থেকে ১০ দিন সময় লাগে। এনিমেশনের কাজে আরও বেশি সময় লাগে।
জাকারিয়া: কাজ করতে কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখিন কি হোন?
এহসান: প্রধানত ইন্টারনেটের স্পিডই বড় সমস্যা। আমাদের দেশের ইন্টারনেটের আপলোড স্পিড এত কম যে অনেক সময় ক্লায়েন্টকে রিয়েল টাইম প্রেজেন্টেশন দেয়া যায় না। ইন্টারনেটের চার্জও আমাদের দেশে অনেক বেশি। তাছাড়া লোডশেডিং এর জন্যেও আমার কয়েকবার ডেডলাইন মিস হয়েছে। মানি ট্রান্সফার এর সমস্যাটাও অনেকের জন্য বড় হয়ে দেখা দেয়।
জাকারিয়া: নতুনরা কিভাবে এই ধরনের কাজগুলো শিখতে পারে?
এহসান: শেখার জন্য ইন্টারনেটে প্রাপ্ত টিউটোরিয়াগুলো সবচেয়ে ভাল। বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আজকাল ভিডিও টিউটোরিয়াল অনলাইনে পাওয়া যায়। থ্রিডি ম্যাক্স এর সাথে দেয়া ভিডিও টিউটোরিয়ালগুলো থেকে প্রাথমিক সম্পর্কে জানতে হবে। এছাড়াও আজকাল ‘3D Total Training’ , ‘Digital Tutors’, ‘CG Academy Tutorials, ‘Gnomon Workshop’ ইত্যাদি সিরিজের বিখ্যাত টিউটোরিয়াল পাওয়া যায় আমাদের দেশেই। ঢাকার ইস্টার্ন প্লাজায় এসব টিউটোরিয়ালের ডিভিডি পাবেন।
জাকারিয়া: নতুনদের জন্য আপনার পরামর্শগুলো কি কি?
এহসান: ভাল করে কাজ শিখুন। ইন্টারনেটে সব বিষয়ের উপরই অনেক টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়, সেগুলো দেখে নিন। বিভিন্ন জনপ্রিয় ফোরামে আপনার কাজগুলো পোস্ট করুন। দেখুন অন্যরা কি মন্তব্য দেয় এবং কাজকে সেভাবে পরিবর্তন করে নিন। অন্যান্য প্রফেশনাল আর্টিস্টরদের সাথে নিজেকে তুলনা করুন, তাদের কাজের কাছাকাছি আউটপুট দেয়ার চেষ্টা করুন। দেখবেন একসময় আপনার কাজও বিশ্বমানের হয়ে গেছে। আর ইংরেজিতে কিছুটা দক্ষতা থাকলে কাজ পেতে তা সবসময় সহায়তা করবে।
জাকারিয়া: থ্রিডি কাজে আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনাগুলো কি?
এহসান: বর্তমানে একাই এই কাজগুলো করি। নিজের বাসায় অনেককে ব্যাক্তিগতভাবে প্রশিক্ষনও দেই। কাজের পরিমাণ বাড়লে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ করার ইচ্ছা আছে। আর ভবিষ্যতে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করারও ইচ্ছা রয়েছে।
মোঃ এহসানুল হকের সাথে যোগাযোগের ইমেইল ঠিকানা হচ্ছে ehsan.cgfx@gmail.comএবং পোর্টফোলিও হচ্ছে http://freelancercg.cgsociety.org/gallery।
লেখক - মোঃ জাকারিয়া চৌধুরী
বিঃদ্রঃ - এই লেখাটি "মাসিক কম্পিউটার জগৎ" ম্যাগাজিনের "মে ২০১১ ইং" সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে।