Bdhuge | Technology Journey.
  • Home
  • Business
    • Internet
    • Market
    • Stock
  • Parent Category
    • Child Category 1
      • Sub Child Category 1
      • Sub Child Category 2
      • Sub Child Category 3
    • Child Category 2
    • Child Category 3
    • Child Category 4
  • Featured
  • Health
    • Childcare
    • Doctors
  • Home
  • Business
    • Internet
    • Market
    • Stock
  • Downloads
    • Dvd
    • Games
    • Software
      • Office
  • Parent Category
    • Child Category 1
      • Sub Child Category 1
      • Sub Child Category 2
      • Sub Child Category 3
    • Child Category 2
    • Child Category 3
    • Child Category 4
  • Featured
  • Health
    • Childcare
    • Doctors
  • Uncategorized
Showing posts with label সাক্ষাৎকার. Show all posts
Showing posts with label সাক্ষাৎকার. Show all posts

Tuesday, August 18, 2015

সম্ভাবনাময় আইফোন এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট

 10:45 PM     সাক্ষাৎকার     No comments   

২০০৭ সালে আইফোন (iPhone) প্রকাশের পর থেকে এর প্রতিষ্ঠাতা Apple Inc. মোবাইল ডিভাইসের ধারণাই পাল্টে দেয়। এর সাবলীল টাচ ইন্টারফেস, দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন এবং ২০০ টির অধিক প্যাটেন্টকৃত আকর্ষণীয় সব ফিচারের কল্যাণে সহজেই সবার মনোযোগ আকর্ষণে সক্ষম হয়। ফলাফল হিসেবে গত সাড়ে তিন বছরে এ পর্যন্ত প্রায় ৬ কোটি আইফোন বিক্রি হয়েছে। আইফোনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি একাই লাভবান হয় নি, পাশাপাশি প্রোগ্রামার আর ডিজাইনারদের জন্য তৈরি করে দিয়েছে iTunes App Store নামক এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের এক বিশাল বাজার। ২০০৮ সালে স্টোরটি চালু হবার পর আজ অবধি ২ লক্ষের উপর আইফোনের এপ্লিকেশন তৈরি হয়েছে। এই ভার্চুয়াল স্টোরটিতে বিভিন্ন ধরনের দরকারী, শিক্ষণীয়, মজাদার সফটওয়্যার আর আকর্ষণীয় গেম বিনামূল্যে বা প্রায় নামমাত্র মূল্যে পাওয়া যায়। ফলে এর ব্যবহারকারীদের কাছে এই সকল এপ্লিকেশনের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা।

স্টিভ ডেমেটার যুক্তরাষ্ট্রে সানফ্রান্সিসকোতে বসবাসরত একজন প্রোগ্রমার। তিনি মূল চাকুরীর বাইরে অতিরিক্ত প্রজেক্ট হিসেবে আইফোনের জন্য Trism নামক একটি পাজল গেম তৈরি করেছিলেন। আর এখন তিনি তার চাকুরী ছেড়ে দিয়েছেন। কারণ হচ্ছে ৪.৯৯ ডলার দামের এই ছোট গেমটি মাত্র দুই মাস বিক্রি করে তার তার আয় হয়েছে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার ডলার। স্টিভ বর্তমানে কয়েকজন ডেভেলপার এবং ডিজাইনার রেখে পুরো মাত্রায় আইফোনের জন্য গেম তৈরি করছেন।

রাতারাতি সাফল্য পাওয়া দৃষ্টান্ত হচ্ছে iShoot নামক আরেকটি গেম। এটি একটি ট্যাংক যুদ্ধের গেম। ডেভেলপার ইথান নিকোলাস জানান তিনি সান মাইক্রোসিস্টেমে চাকুরী করতেন। অবসর সময়ে শখের বশে গেমটি তৈরি করেছিলেন এবং রিলিজ করার পর গেমটিতে আর কোন আপডেট আনেননি। ২.৯৯ ডলার দামের গেমটি প্রকাশের পর মোটামুটি কয়েকবার বিক্রি হয়েছিল যা ইথানের দৃষ্টিতে ছিল স্বাভাবিক। ক্রিসমাসের বন্ধে গেমটির একটি ফ্রি ভার্সন ছাড়ার পরিকল্পনা করেন, আশা ছিল আইফোনের গেমারদের কাছে গেমটিকে পরিচয় করিয়ে দেয়া। এই সিদ্ধান্তটিই তার ভাগ্য পরিবর্তনে ম্যাজিকের মত কাজ দেয়। ফ্রি ভার্সনটি ছাড়ার দশ দিনের মধ্যে মূল গেমটি একদিনে প্রায় ১৭ হাজার বার বিক্রি হয়ে iTunes App Store এর শীর্ষে চলে আসে। প্রতিবার বিক্রির জন্য Apple কে ৩০% কমিশন দেবার পর একদিনে তার আয় দাঁড়ায় ৩৫ হাজার ডলারের উপর। একমাস পরে দেখা যায় গেমটি মোট ৩ লক্ষ বার বিক্রি হয়, যা থেকে তার আয় হয় ৬ লক্ষ ডলারের উপর। অন্যদিকে ফ্রিসম্ভাবনাময় আইফোন এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট ভার্সনটি একই মাসে ২৪ লক্ষ বার ডাউনলোড হয়। ইথান জানান গেমটি তার তৈরি প্রথম আইফোন এপ্লিকেশন। এটি তৈরির পূর্বে আগে কখনও আইফোনের প্রোগ্রামিং ভাষা Objective-C তে কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। গেমটির আইডিয়া অত্যন্ত সাধারণ, নিজের ট্যাংককে প্রতিরক্ষা করা এবং শত্রুর ট্যাংককে ধ্বংস করা। ফ্রি ভার্সনটিতে ৬ ধরনের অস্ত্র রয়েছে, অন্যদিকে মূল ভার্সনে রয়েছে ২০ টি অস্ত্র। ইথান আরো জানান গেমটি তৈরির পর এর প্রচারের জন্য তিনি কোন টাকা খরচ করেননি, এমনকি কোন ব্লগে রিভিউ পর্যন্ত লিখেননি। তিনি এমন একটি গেম তৈরি করতে চেয়েছিলেন যা তিনি নিজে অবসর সময়ে খেলবেন। বর্তমানে ইথান নিকোলাস তার চাকুরী ছেড়ে দিয়েছেন, এবার তিনি গুরুত্বের সাথে আইফোনের জন্য গেম তৈরি শুরু করছেন।


প্রকৃতপক্ষে সবার হয়ত রাতারাতি কোটিপতি হবার সৌভাগ্য হবে না। তবে একথা সবাই স্বীকার করে যে আইফোনের এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টে রয়েছে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। বাংলাদেশেও অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা সফলতার সাথে আইফোন এপ্লিকেশন তৈরি করছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কোম্পানী Prolog Inc. Bangladesh। এ নিয়ে কথা বলেছিলাম প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সিনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এবং আইফোন টিম লিডার বেঞ্জামিন বাসারের সাথে। তিনি গত এক বছর যাবৎ প্রতিষ্ঠানটিতে আইফোনের জন্য বিভিন্ন এপ্লিকেশন তৈরি করছেন। বেঞ্জামিন বাশার পড়ালেখা করছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। আইফোন এপ্লিকেশন তৈরি নিয়ে তিনি আমাদের কাছে নিজের অভিজ্ঞতা তোলে ধরেন।

সম্ভাবনাময় আইফোন এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টজাকারিয়া: আপনাদের প্রতিষ্ঠানে কোন কোন ধরনের কাজ হয়?
বেঞ্জামিন: আমাদের এখানে প্রায় সব ধরনের মোবাইল এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট হয়। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আইফোন, ব্লাকবেরী, এন্ড্রোয়েড, পাম এবং J2ME।

জাকারিয়া: আপনারা আইফোনের জন্য কোন কোন ধরনের এপ্লিকেশন তৈরি করে থাকেন?
বেঞ্জামিন: আমি যে সকল প্রজেক্টে কাজ করেছি তার মধ্য বেশিরভাগ হচ্ছে ইউটিলিটি সফটওয়্যার, সাথে কিছু গেমস রয়েছে। আমাদের গেমস এবং ইউটিলিটি সফটওয়্যারগুলো খুব জনপ্রিয়। তারমধ্যে কিছু স্ট্রিমিং সফটওয়্যারও রয়েছে। আমি সর্বশেষ যে সফটওয়্যার তৈরি করেছি সেটি একটি ভিডিও স্ট্রিমিং সফটওয়্যার। এটিও খুব জনপ্রিয় হয়েছে।

জাকারিয়া: এপ্লিকেশনগুলো তৈরি করতে কি রকম সময় লাগে?
বেঞ্জামিন: আমরা স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী এপ্লিকেশন তৈরি করে থাকি। স্বল্পমেয়াদী এপ্লিকেশনগুলো এক বা দুইজন প্রোগ্রামার ১৫ দিন থেকে এক মাসে তৈরি করে থাকে। আর দীর্ঘমেয়াদী প্রজেক্টে দুই থেকে তিন জন প্রোগ্রামার কাজ করে। এই ধরনের এপ্লিকেশনে ৬ মাস ধরে ডেভেলপমেন্ট এবং সাপোর্ট দেয়া হয়।

জাকারিয়া: আপনারা কি ফ্রি এপ্লিকেশন তৈরি করে?
বেঞ্জামিন: আমাদের স্ট্র্যাটেজি এরকম, আমরা প্রত্যেকটা এপ্লিকেশনের একটা ফ্রি বা লাইট ভার্সন এবং একটা Paid ভার্সন তৈরি করি। লাইট ভার্সনটা বিজ্ঞাপন নির্ভর হয়ে থাকে। গেমসের ক্ষেত্রে লাইট ভার্সনে লেভেলের পার্থক্য থাকে। এক্ষেত্রে একটা বা দুইটা লেভেল খেলা যায় আর মূল ভার্সনে দশ থেকে বিশটা লেভেল থাকে। ফ্রি ভার্সনগুলো প্রথমে বেশি বেশি ডাউনলোড হয়, তারপর আস্তে আস্তে মূল ভার্সন বিক্রি হতে থাকে।

জাকারিয়া: এপ্লিকেশন বিক্রির ক্ষেত্রে আপনাদের সর্বোচ্চ সাফল্য কতটুকু?
বেঞ্জামিন: আইফোনের হেলথকেয়ার বিভাগে আমাদের একটি এপ্লিকেশন তিনমাস শীর্ষ ৫০ মধ্যে ছিল। ডাউনলোডের সংখ্যা আমি এই মূহুর্তে সঠিকভাবে বলতে পারছি না, তবে আনুমানিকভাবে লাইট ভার্সনটা ১৫ হাজারের উপর, আর মূল ভার্সটা প্রায় দুই হাজারের উপর ডাউনলোড হয়েছে।

জাকারিয়া: আইফোনের এপ্লিকেশন তৈরির চাহিদা কিরকম বা বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের এ ক্ষেত্রে সম্ভাবনা কতটুকু?
বেঞ্জামিন: আপনি নিশ্চয় ফ্রিল্যান্সিং সাইটে দেখেছেন, আইফোন এবং আইপ্যাডের কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে oDesk.com এ আইফোনের ভাল কাজ পাওয়া যায়। আর আমি যতদূর জানি ঢাকায় তিন থেকে চারটা বড় বড় সফটওয়্যার ফার্ম রয়েছে যেখানে আইফোন এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট হয়।

জাকারিয়া: একজন নতুন প্রোগ্রামারে এই ধরনের কাজ শিখতে কিরকম সময় লাগতে পারে?
বেঞ্জামিন: C++ বা Java যদি ভাল জানা থাকে তাহলে তিন মাসের মধ্যেই এই ধরনের কাজে দক্ষ হওয়া সম্ভব।

জাকারিয়া: নতুনরা এ ধরনের কাজে কি কি ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে বলে আপনার মনে হয়?
বেঞ্জামিন: আইফোনের এপ্লিকেশন তৈরি করার পর এপলের রিভিউ টিম তা যাচাই-বাছাই করে দেখে। এক্ষেত্রে তারা খুবই নিখুত কাজ আশা করে। এপ্লিকেশনে কোন ভুল থাকলে বা কোন কারণে প্রোগ্রামটি ক্রাশ করলে তারা তা ধরে ফেলে। তাই সবসময় অপটিমাইজড কাজ করতে হবে, না হলে বারবার রিজেক্টেড হতে হয়। আর আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এপ্লিকেশনগুলোকে যথাযথভাবে মার্কেটিং করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের রিভিউ সাইট আছে যারা নতুন নতুন এপ্লিকেশনের রিভিউ করে। সেই সাইটগুলোতে ভাল রিভিউ লেখা হলে এপ্লিকেশনগুলো ভাল বিক্রি হয়।

জাকারিয়া: বিষয়গুলো জানানোর জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বেঞ্জামিন: আপনাকেও ধন্যবাদ।


আইফোন এপ্লিকেশন প্লাটফরম
আইফোনের অপারেটিং সিস্টেম iPhone OS টি মূলত Mac OS X এর মোবাইল সংস্করণ। সিস্টেমটি iPod Touch, iPhone এবং iPad এ ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে একই এপ্লিকেশন তৈরি করে সামান্য পরিবর্তন এনে তিনটি ডিভাইসেই চালানো যায়। এপ্লিকেশনগুলো তিন ধরনের পদ্ধতিতে তৈরি করা যায় -

১) ওয়েব এপ্লিকেশন:
প্রথম দিকে iPhone OS 1.0 ভার্সনে সকল এপ্লিকেশনগুলো বাধ্যতামূলকভাবে ওয়েবভিত্তিক তৈরি করতে হতো এবং এগুলো মোবাইল সাফারী ওয়েব ব্রাউজারে চালাতে হতো। যেহেতু ব্রাউজারটি ফ্ল্যাশ বা সিলভারলাইট প্লাগইনস সাপোর্ট করে না তা ওই সব এপ্লিকেশনগুলো ছিল HTML, CSS এবং Javascript নির্ভর। এই পদ্ধতির এপ্লিকেশন তৈরি এখনও চালু আছে, বিশেষ করে যে সকল এপ্লিকেশন আইফোনের পাশাপাশি অন্যান্য মোবাইল ডিভাইসের জন্য তৈরি করতে হয়, সেক্ষেত্রে প্রত্যেকটি ডিভাইসের জন্য আলাদা আলাদা তৈরি না করে ওয়েব এপ্লিকেশন তৈরি করাই অধিক যুক্তিসংগত।

২) নেটিভ এপ্লিকেশন:
iPhone OS 2.0 প্রকাশের সাথে সাথে ডিভাইসটিতে iPhone SDK এবং App Store এর সূচনা হয়, ফলে ডেভেলপাররা Objective-C এবং Xcode এর সাহায্যে নেটিভ এপ্লিকেশন তৈরির সুযোগ পায়। নেটিভ এপ্লিকেশনগুলো ডিভাইসে সরাসরি ইন্সটল হয় এবং ডিভাইসের হার্ডওয়ার ব্যবহারের অনুমতি পায়। এই এপ্লিকেশনগুলো App Store এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ডিভাইসে পৌছে দেয়া যায়। আইফোনের বেশিরভাগ এপ্লিকেশনগুলো এই পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়।

৩) হাইব্রিড এপ্লিকেশন:
উপরের দুই পদ্ধতির সমন্বিতরূপ হচ্ছে হাইব্রিড এপ্লিকেশন। অর্থাৎ এপ্লিকেশনটি App Store এ প্রকাশ করা যাবে এবং তা ব্যবহারকারীর ডিভাইসে ইন্সটল হবে, কিন্তু প্রোগ্রামটি তৈরি হবে মূলত HTML, CSS এবং Javascript দিয়ে। বর্তমানে এই ধরনের এপ্লিকেশন তৈরির প্রবণতা বাড়ছে। এক্ষেত্রে অনেক ওপেনসোর্স লাইব্রেরী ও প্লাটফরম পাওয়া যায়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে QuickConnect, PhoneGap, AppCelerator এবং rhomobile।


শুরু করতে হবে যেভাবে
iPhone SDK দিয়ে এপ্লিকেশন তৈরি করতে যা যা প্রয়োজন সেগুলো হল -
  • একটি ম্যাক কম্পিউটার যাতে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে Mac OS X Snow Leopard এর ১০.৬.২ বা তার পরবর্তী ভার্সন। তবে আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে দাম দিয়ে ম্যাক কম্পিউটার কেনার সামর্থ সবার হয়ত হবে না। সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে সাধারণ x86 হার্ডওয়্যারে OS X ইন্সটল করে কাজ চালানো যেতে পারে, যা সাধারণভাবে হ্যাকিন্টোশ নামে পরিচিত। অর্থাৎ একই কম্পিউটারে Windows বা Linux এর সাথে Dual Boot হিসেবে OS X ইন্সটল করা যায়। এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে http://wiki.osx86project.org ওয়েবসাইটে।
  • সাথে প্রয়োজন পড়বে একটি Apple Developer একাউন্ট। এজন্যhttp://developer.apple.com সাইটে গিয়ে একাউন্ট তৈরি করা যাবে। রেজিষ্ট্রশন করতে কোন টাকা লাগবে না। এর মাধ্যমে iPhone Simulator দিয়ে এপ্লিকেশন যাচাই করা যাবে, তবে নিজের ডিভাইসে ইন্সটল করতে চাইলে অথবা iTunes App Store এ বিক্রি করতে চাইলে বাৎসরিক ৯৯ ডলার ফি দিতে হবে।
  • এবার কাজ শুরু করার জন্য ডেভেলপার একাউন্টে লগইন করে iPhone SDK এবং Xcode ডাউনলোড করে নিতে হবে। Xcode হচ্ছে একাধিক টুলে সমন্বয়ে গঠিত একটি IDE।

আইফোনের এপ্লিকেশন শেখার জন্য সবচেয়ে ভাল রিসোর্স পাওয়া যাবে Apple Developer ওয়েবসাইট থেকে। এছাড়া বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এ নিয়ে নানা ধরনের টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। সম্প্রতি একটি ওয়েবসাইট চালু হয়েছে যাতে আইফোনের এপ্লিকেশন তৈরির প্রক্রিয়া ধারাবাহিকভাবে শেখানো হচ্ছে। ওয়েবসাইটের ঠিকানা হচ্ছে -http://mobile.tutsplus.com।


লেখক - মোঃ জাকারিয়া চৌধুরী
বিঃদ্রঃ - এই লেখাটি "মাসিক কম্পিউটার জগৎ" ম্যাগাজিনের "আগস্ট ২০১০" সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে।
Read More
  • Share This:  
  •  Facebook
  •  Twitter
  •  Google+
  •  Stumble
  •  Digg

Friday, June 12, 2015

আউটসোর্সিং এ আলফা ডিজিটাল টিমের সফলতা

 8:13 PM     সাক্ষাৎকার     No comments   

আলফা ডিজিটালবর্তমানে ওডেস্ক (www.oDesk.com) মার্কেটপ্লেসে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সররদের অবস্থান বেশ সন্তোষজনক। ওডেস্কে যে কয়জন ফ্রিল্যান্সার সফলতার সাথে কাজ করছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে "আলফা ডিজিটাল" নামক একটি টিম। বর্তমানে এই টিমের সদস্য সংখ্যা ৫০ এর কাছাকাছি। কয়েকমাস আগেও এই গ্রুপটি ওডেস্কের শীর্ষ দশের মধ্যে সপ্তম স্থানে অবস্থান করছিল। গত বছরের এপ্রিলে গঠিত হয়ে মাত্র এক বছরে তারা এ পর্যন্ত ৩১৮ টি প্রজেক্ট সম্পন্ন করেছে এবং মোট ১৩ হাজার ঘন্টার উপর কাজ করেছে। এই মূহুর্তে তারা একসাথে ৭৫ টি প্রজেক্টে কাজ করছে। এই টিমের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হচ্ছেন মামুনুর রশিদ নামক একজন ফ্রিল্যান্সার। ওডেস্কে এই সফলতা নিয়ে কথা বলেছিলাম তার সাথে। জানিয়েছেন এই সফলতার পেছনের সকল প্রচেষ্টার কথা।

মামুনুর রশিদ পড়ালেখা করেছেন ঢাকায় অবস্থিত একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। জন্মসূত্রে বরিশালের ছেলে। বর্তমানে বাবার চাকুরীর সুবাদে এখন খুলনায় বসবাস করছেন। সেখানে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে এত বড় একটা টিম পরিচালনা করছেন। মামুনুর রশিদের কম্পিউটারের সাথে পরিচয় ২০০১ সালে, S.S.C পরীক্ষার পর থেকে। নিজের আগ্রহ এবং বাবার উৎসাহে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ালেখা করেছেন। পড়ালেখা শেষ করে ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে এবং পরবর্তীতে খুলনায় একটি আঞ্চলিক পত্রিকায় কিছুদিন কাজও করেছেন।

ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং সম্পর্কে প্রথম জানতে পারেন একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার ফিচার থেকে। এরপর www.odesk.com, www.freelancer.com এবংwww.rentacoder.com এ একাউন্ট তৈরি করে নেন। কিন্তু প্রথম অবস্থায় অনেক বিড (Bid) করার পরও কাজ না পাবার কারণে ফ্রিল্যান্সিং আর করা হয় নি। বছর দেড়েক পরে "কম্পিউটার জগৎ" ম্যাগাজিনে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে একটা লেখা পড়ে এ বিষয়ে পুনরায় আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এবারে নিজের একটি ভাল প্রোফাইল তৈরি করেন এবং এলোমেলোভাবে বিড না করে প্রতিটি প্রজেক্ট ভালভাবে বুঝে বিড করা শুরু করেন। ৪ দিন পর এক সাথে দুটি প্রজেক্ট পেয়ে যান। প্রথম প্রথম ডাটা এন্ট্রি দিয়ে শুরু করেছিলেন। বর্তমানে Project Manager, Wordpress, Magento Shopping Cart, X-Cart Shopping Cart, Zen Cart Shopping Cart এর কাজ গুলো করে থাকেন। কাজ করার সময় সততা, কাজ এর গুনগত মান এবং ডেড লাইন এর দিকে যথাসম্ভব সর্তক থাকেন।

জানতে চেয়েছিলাম ওডেস্কে টিম কেন তৈরি করলেন। জানালেন ওডেস্কে কাজ শুরু করার মাত্র ২ মাস পর প্রচুর পরিমান কাজ পেতে শুরু করেন, যা একার পক্ষে সম্পন্ন করা অসম্ভব হয়ে গেল। প্রথম দিকে ক্লায়েন্টদের ফিরিয়ে দিতেন, কিন্তু পরে টিম করার কথা ভাবলেন।

সবচেয়ে মজার বিষয় হল টিমের সদস্যদের সবাইকে অনলাইন থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে চ্যাট করার জন্য ইয়াহু এবং স্কাইপ সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকেন। আর সদস্যদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার জন্য সিটিসেল ব্যবহার করে থাকেন। প্রজেক্টের নির্দেশাবলী বোঝানোর জন্য টিম ভিউয়ার সফটওয়্যার ব্যবহার করেন। সকল সদস্য ও সকল প্রজেক্ট পরিচালনা করার জন্য টিমে একজন ম্যানেজার এবং চারজন সুপারভাইজার রয়েছে। অনলাইন থেকে নতুন অদক্ষ সদস্য সংগ্রহ করা হয় এবং তাদের ট্রেনিং দিয়ে দক্ষ করে তোলা হয়। অবশ্য এর জন্য তাদের কাছ থেকে কোন প্রকার টাকা নেওয়া হয় না। বর্তমানে "আলফা ডিজিটাল" টিম ২৫-৩০ জন ক্লায়েন্টের সাথে নিয়মিত কাজ করছে। কাজের মধ্যে রয়েছে Data Entry, Personal Assistant, Web Research, Email Response Handling, Advertising, Email Marketing, Social Media Marketing, Search Engine Optimization, Search Engine Marketing, Social Media Marketing, Market Research And Surveys, Web Design এবং Wordpress।


বিষয়গুলো সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার জন্য ফোনে কথা বলেছিলাম মামুনুর রশিদের সাথে। এই কথোপোকথনগুলো নিচে উপস্থাপন করা হল -

মামুনুর রশিদেরজাকারিয়া: প্রথমে আমাকে ওডেস্কের টিম তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে একটু বলুন। যে কোন ব্যবহারকারী কি আপনাদের মত এরকম একটি টিম গঠন করে কাজ করতে পারবে?
মামুন: ওডেস্কে দুইভাবে কাজ করা যায়। একটি হচ্ছে স্বতন্ত্রভাবে এবং একটি হচ্ছে কোম্পানী তৈরির মাধ্যমে। ওডেস্কে স্বতন্ত্রভাবে একাউন্ট তৈরি করার পর কোম্পানী তৈরির জন্য একটা অপশন পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে কোম্পানির একটি নাম এবং আইডি দিতে হয় যা কখনও পরিবর্তন করা যায় না। কোম্পানির অধীনে আবার বেশ কয়েকটি টিম তৈরি করা যায়। যেমন আমাদের "আলফা ডিজিটাল" কোম্পানীর অধীনে ৫ টি টিম রয়েছে - আলফা ডাটা, আলফা ওয়েব, আলফা ডিজাইন, আলফা এসইও ইত্যাদি।

জাকারিয়া: টিমের সদস্যের ম্যানেজ করার জন্য কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয়?
মামুন: ওডেস্ককে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ব্যবস্থা বলতে পারেন, অনেকটা অফিস ম্যানেজমেন্ট করার মত। আমাদের কাজ করার জন্য "ওডেস্ক টিম সফটওয়্যার" নামক নির্দিষ্ট একটা সফটওয়্যার চালু করে কাজ করতে হয়। সফটওয়্যারের আকার অত্যন্ত ছোট, ৪২২ কিলোবাইটের মত।

জাকারিয়া: ওডেস্কে টিমের জন্য বিড কিভাবে করতে হয়? টিমের পক্ষ থেকে এটা কি আপনি করে থাকেন নাকি সদস্যরা নিজেরাই বিড করে থাকে?
মামুন: এখানে একটা কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন, যখন একজন নতুন সদস্য আমার টিমে যোগ দেয়, তখন তাদের আইডির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আমার কাছে চলে আসে। তাদের কাছে নিয়ন্ত্রণ থাকে শুধু বিড করা আর কাজ করা। সাথে প্রোফাইলের নাম বা এধরনের বিষয় পরিবর্তন করতে পারে, এছাড়া আর কিছুই করতে পারে না। এমনকি কাজের মূল্য পর্যন্ত আমার উপর নির্ভর করে। তাদের ব্যালেন্সও আমার কাছে আসে। কাজ করার জন্য জন্য একজন সদস্য নিজেও বিড করতে পারে এবং আমিও তাদের জন্য বিড করতে পারি।

জাকারিয়া: যখন একটা নতুন কাজ পেলেন তখন সেই কাজটা কি তারা নিজেরাই শুরু করে দিতে পারে?
মামুন: একটা কাজ যখন কোন সদস্য পায় তখন সে নিজেই বায়ার (Buyer) কে ইমেইল করে কাজের বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করে। ক্লায়েন্টের কাছ থেকে যখন উত্তর আসে তখন সে নিজে বুঝতে চেষ্টা করে। বুঝতে পারলে কাজ শুরু করে দেয় আর না পারলে আমার কাছে পাঠিয়ে দেয়। এরপর আমি তাকে কাজটি বুঝিয়ে দেই।

জাকারিয়া: টিমের ব্যবস্থাপনা কি শুধু আপনি একাই করছেন?
মামুন: টিমের ব্যবস্থাপনা করার জন্য আমাদের একজন ম্যানেজার ‌এবং চারজন সুপারভাইজার রয়েছেন। টিমের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আমি ইচ্ছে করলে কাউকে ম্যানেজার করে দিতে পারে। আমাদের টিমের ম্যানেজারের হাতে একাউন্ট অংশটা বাদে একজন ফ্রিল্যান্সারকে নিয়োগ দেয়া থেকে শুরু করে সকল ক্ষমতাই আছে।

জাকারিয়া: এবার কি কি কাজ করছেন সে সম্পর্কে যদি একটু ধারণা দিতেন, যেমন কোন ধরনের ডাটা এন্ট্রি কাজ করে থাকেন ইত্যাদি?
মামুন: আমরা এই মূহুর্তে একটি ইকমার্স সাইটের কাজ করছি। এদের সাথে প্রায় ছমাসের মত কাজ করছি। আমাদের ১২ জন মেম্বার এই প্রজেক্টে কাজ করছে। আমরা বিভিন্ন প্রডাক্টের নাম, ছবি, মূল্য, বর্ণনা ইত্যাদি সাইটের Admin Panel এ যোগ করে দেই। ডাটা এন্ট্রি কাজের রেট কখনও ঘন্টায় ১ থেকে ১.৫ ডলারের বেশী পাওয়া যায় না।

আরেক ধরনের কাজ করি সেটা হচ্ছে ওয়েব রিসার্চ। এ ক্ষেত্রে ২ থেকে ৪ ডলার প্রতি ঘন্টায় পাওয়া যায়। এ ধরনের কাজের উদাহরণ হচ্ছে, মনে করুন আপনি হোস্টিং ব্যবসা করবেন। এক্ষেত্রে আপনি হয়ত অন্যান্য হোস্টিং কোম্পানীর বিভিন্ন প্লানের মূল্য জানতে চাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে আমরা ইন্টারনেটে এই রিসার্চটা করে প্রতিদ্ধন্দী কোম্পানীর মূল্য বের করে দেই।

আমরা ইমেইল মার্কেটিং এর কাজও করে থাকি। এক্ষেত্রে একটি বিশেষ সফওয়্যার কিনে ব্যবহার করতে হয়। এটা সবার কাছে থাকে না বলে সবাই এই কাজগুলো করতে পারে না। ইমেইল মার্কেটিং এর পাশাপাশি SEO Optimization, SEO Marketing, Personal Assistance এর কাজও করে থাকি। Personal Assistance এর নির্দিষ্ট কোন ক্ষেত্র নাই। এক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট যা বলে তাই করতে হয়।

জাকারিয়া: এবার আসি পেমেন্টের ব্যাপারে। টিমের সদস্যদেরকে কতটুকু অর্থ দেয়া হয়? আপনারা কি কোন কমিশন রাখেন?
মামুন: হ্যাঁ আমরা এক্ষেত্রে ১৫% কমিশন রাখি। মূলত একজন সদস্য যখন আমাদের এখানে যোগ দেয় তখন তাকে আমরা ট্রেনিং দিয়ে তৈরি করে নেই। ট্রেনিংটা বিনামূল্যে করিয়ে থাকি। এরপর সে যখন ওডেস্কে একটা কাজ করে তখন সেখান থেকে ১৫% কমিশন রেখে বাকিটা তাকে দিয়ে দেয়া হয়।

জাকারিয়া: সদস্যরা প্রতিমাসে গড়ে কত টাকা আয় করে?
মামুন: এটা কাজের উপর নির্ভর করে। কেউ কেউ হয়ত মাসে মাত্র ৫৫ টাকা আয় করে আর কারো কারো ক্ষেত্রে মাসে বাইশ/তেইশ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যায়। যে প্রতিদিন ৬ ঘন্টা করে কাজ করে তার আয় ৮-১০ হাজারের মত হয়ে যায়। আর যার কাজের রেট প্রতি ঘন্টায় ২ ডলার, তার জন্য অনায়াসে ২০ হাজার টাকা চলে আসে। আমাদের টিমের প্রতি সপ্তাহে আয় থাকে প্রায় ৫০০ ডলার এবং মাসে আমরা কমপক্ষে ২,০০০ ডলার আয় করি।

জাকারিয়া: পেমেন্টের হিসেব নিকাশ কি সব আপনার মাধ্যমেই হয়ে থাকে?
মামুন: একজন সদস্য কত রেটে কাজ করছে বা কত আয় করছে তা দেখতে পারে না। আসলে তাদের দিক থেকে এটা অনেকটা একটা কোম্পানীতে কাজ করার মত হয়ে থাকে। কোম্পানীতে কাজ করবে, নির্দিষ্ট পরিমাণ বেতন পাবে। কিন্তু আমি যেটা করি, টিমে স্বচ্ছতা থাকার জন্য প্রতিমাসে বিলের যে PDF ফাইল পাই, তা মেইল করে সবাইকে পাঠিয়ে দেই। তখন সবাই দেখতে পারে কে কত ঘন্টা কাজ করেছে, কত রেটে কাজ করেছে, মোট কত আয় করেছে ইত্যাদি। তবে ওডেস্ক এটা করতে কখনও অনুমতি দেয় না।

জাকারিয়া: আপনাদের গ্রুপে যোগ দিতে হলে নূন্যতম কি কি জানতে হবে?
মামুন: কম্পিউটারের বেসিক কাজগুলো এবং ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারলেই যথেষ্ঠ। আসলে আমরা যে সকল সদস্য নেই তারা Notepad কি তাই অনেক সময় জানে না। একজনকে আমি বলেছিলাম আপনি Notepad চালু করেন। সে বলল, ভাই আমার কম্পিউটারে Notepad ইন্সটল করা নাই। সে পরবর্তীতে আমাদের সুপারভাইজার পদে নিয়োগ পেয়েছে। তাকে সেভাবে দক্ষ করে নেয়া হয়েছে।

আমার টিমে যোগ দেয়ার কয়েকটা শর্ত আছে -
১) ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট থাকতে হবে। কারণ মাসের ৭-১০ তারিখ ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে সদস্যদের টাকা দেয়া হয়।
২) সিটিসেল মোবাইল সংযোগ থাকতে হবে, কম খরচে কথা বলার জন্য। আমাদের দেশে ইন্টারনেটের স্পীড যদি আরেকটু বেশি থাকত তাহলে আমরা অনায়াসেই ভয়েস কন্ফারেন্স করতে পারতাম।
৩) যে কোন আদেশ বিনা বাক্যে পালন করতে হবে।

জাকারিয়া: প্রশিক্ষণটা কিভাবে দিয়ে থাকেন?
মামুন: আমাদের বেশিরভাগ প্রশিক্ষণ হয়ে থাকে ভিডিও টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে। আমাদের কয়েকটি ভিডিও টিউটোরিয়াল আছে যাতে কিভাবে বিড করতে হবে, কিভাবে প্রোফাইল সাজাতে হবে ইত্যাদি বর্ণনা করা আছে। বিড করার পর বায়ারের সাথে যোগাযোগের উপর কয়েকটা টিউটোরিয়াল রয়েছে। টিউটোরিয়ালগুলো আমাদের নিজস্ব সার্ভারে আপলোড করা আছে, আমরা তাদেরকে লিংকগুলো দিয়ে দেই। টিউটোরিয়ালগুলো বাংলাতে আমি নিজেই তৈরি করেছি। নতুন কাজের ক্ষেত্রে টিউটোরিয়াল তৈরি করা হয় না, সেক্ষেত্রে ফোনে তাদেরকে বুঝিয়ে দেই। সাথে টিম ভিউয়ার সফটওয়্যার দিয়ে দেখিয়ে দেই কোথায় কোথায় ক্লিক করে কাজ করতে হবে।

জাকারিয়া: তাদেরকে ইংরেজিটা কতটুকু জানতে হয় বা না জানলে হয় কি না?
মামুন: আসলে তাদেরকে ইংরেজি না জানলেও চলে। টিমের মাধ্যমে কাজ করার সুবিধা হচ্ছে নির্দেশনা বোঝার কোন ঝামেলা হয় না। ক্লায়েন্ট ইমেইল পাবার পর আমাকে ফোন করলে আমি সাথে সাথে তা বুঝিয়ে দেই। আর বিড করার জন্য তাদেরকে একটা কভার লেটার তৈরি করে দেই।

জাকারিয়া: আপনাদের টিমে মেয়েদের কাজের পারফর্মেন্স কি রকম?
মামুন: বর্তমানে ৪ জন মেয়ে আমাদের সাথে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। পুরুষদের চেয়ে মেয়েরা খুব সৎভাবে এখানে কাজ করেন।

জাকারিয়া: টিমের অন্যান্য সদস্যদের সম্পর্কে একটু বলুন।
মামুন: টিমে বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সারই শিক্ষার্থী। ফলে পরীক্ষা চলাকালীন সময় আমরাদেরকে কম প্রজেক্টে কাজ করতে হয়। তখন প্রায় মাসখানেকের মত বিড করা বন্ধ করে দেই। টিমে ফুলটাইম ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন পাঁচজন। আমার যে ম্যানেজার উনার বাড়ি হল নারায়নগঞ্জে। গ্রাফিক্স ডিজাইনার মিরপুর থেকে কাজ করেন। বেশিরভাগ সদস্যই ঢাকাতে অবস্থিত, আমিই শুধুমাত্র খুলনাতে।

জাকারিয়া: আপনাদের এত বড় টিমের নিজেদের মধ্যে আলোচনা করার জন্য কোন ফোরাম কি আছে?
মামুন: এজন্য গুগল গ্রুপে "আলফা ডিজিটাল প্রজেক্ট" নামে আমাদের একটা গ্রুপ আছে। এটা একটা প্রাইভেট গ্রুপ যাতে যে কেউ যোগ দিতে পারে না। প্রজেক্টগুলো আমরা এই গ্রুপের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা করে থাকি।

জাকারিয়া: টিম পরিচালনার পাশাপাশি আপনি কি অন্য কোন কাজ করছেন?
মামুন: না না, এই সকল কাজ করেই আর সময় পাই না।

জাকারিয়া: টিমের মাধ্যমে কাজ করার সময় কোন ধরনের সমস্যা হয় কি?
মামুন: আমি প্রায় সময় একটা সমস্যায় পড়ি, তা হচ্ছে কেউ যখন কোন ভুল করে তখন তাকে অনলাইনে শাস্তি দেয়ার কোন উপায় থাকে না। সর্বোচ্চ ফোনে দুইটা বকা দেয়া যায়। আরেকটা সমস্যা হচ্ছে, অদক্ষ লোক নিয়ে কাজ করার সময় এরা কিছুদিন পর নিজে আলাদাভাবে কাজ করা শুরু করে দেয়। সেক্ষেত্রে টিমটা আর বড় হয় না। সবার মধ্যে একতা থাকলে শীর্ষ অবস্থানটা অনায়াসে ধরে রাখা যেত। কিছুদিন আগেও আমরা ওডেস্কের শীর্ষ দশে ছিলাম, এখন আমাদের স্কোর অনেক কমে গেছে। টিমে সবাইতো আর সৎভাবে কাজ করে না। যেমন একটা প্রজেক্টে বায়ার বলেছিল আপাতত কাজ বন্ধ রাখতে, তার সার্ভারে একটা কাজ চলছে। তখন টিমের একজন ওডেস্কের টিম সফটওয়্যারটি প্রায় ৫ ঘন্টা চালিয়ে রেখে বায়ারকে বলেছিল সে কাজ করেছে এবং সে অনুযায়ী বিল করে দেয়। আসলে তখন সে কোন কাজই করেনি। ওই কাজে ১২ জন মেম্বার কাজ করত, বায়ার তখন সবাইকে ৫ এর মধ্য ১ ফিডব্যাক দিয়ে দেয়। এখন চিন্তা করেন ১২ জনের ফিডব্যাক যদি ১ করে পড়ে তাহলে কোম্পানীর প্রোফাইল কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। তখন আমাদের গড় ফিডব্যাক ২ এর কাছাকাছি চলে আসে। এরপর দীর্ঘ ৩ মাস কাজ করতে করতে এখন ৩.৭৮ এ উঠে এসেছে।

ওডেস্কে দুই ধরনের কাজ পাওয়া যায় - Fixed এবং Hourly Job। ওডেস্কে কাজের সমস্যার মধ্যে আরেকটা হচ্ছে এখানে Fixed Job প্রজেক্টে টাকা পাবার গ্যারান্টি পাওয়া যায় না। অনেক বায়ার আছে যারা মধুর মধুর কথা বলে Fixed Job প্রজেক্টগুলো করায়। কাজ শেষে আর টাকা দেয় না। গত মাসে এভাবে আমি ৭৫০ ডলার লোকসান করেছি। ওডেস্কে Fixed Job কাজ না করে শুধুমাত্র Hourly Job গুলো করা উচিৎ। এই সাইটে অন্যান্য সাইটের মত Escrow তে টাকা জমা রাখার সুবিধা নেই। এটা নতুনদের খেয়াল রাখা উচিৎ।

জাকারিয়া: টিমে কাজ করার ক্ষেত্রে মজা কিরকম?
মামুন: মজা তো অনেক। আসলে এই লাইনে কাজ করতে এসে অনেক অনেক সম্মান পেয়েছি, যেটা আমি আমার চাকুরী জীবনে পাইনি। এইটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় পাওয়া, টাকা পয়সা পাই বা না পাই। আমাদের সম্পন্ন করা সকল প্রজেক্টের মধ্যে সেরা এবং আনন্দদায়ক প্রজেক্ট হলো- "টেলিকমিনেকেশন সার্ভে"। এই প্রজেক্ট এ আমরা নরওয়ের এক বায়ারের হয়ে বাংলাদেশের সকল মোবাইল কোম্পানীর উপর সার্ভে করেছিলাম। গ্রামীন ফোন, বাংলালিঙ্ক, ওয়ারিদ, সিটিসেল, একটেল এবং টেলিটক কোম্পানীর মধ্যে কার কল রেট কেমন, কে কি কি সুবিধা দিচ্ছে, কে কে ইন্টারনেট সুবিধা দেয়, কোন কোম্পানীর শতকরা গ্রাহক কত, কার কভারেজ কেমন - এই সকল বিষয় এর উপর আমরা রিপোর্ট করি। এই প্রজেক্টে আমরা ৪ মাসের অধিক সময় কাজ করি। সেই বায়ার বাংলাদেশে অনেক বড় একটা ব্যবসা শুরু করতে চেয়েছিল। এখন তারা ফিলিপাইন এ কাজ করছে।

জাকারিয়া: ওডেস্কে টিম নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
মামুন: এই টিমকে আমি অনেক বড় করব। ওডেস্কে একটা টিম আছে যারা প্রায় ১১ লক্ষ ঘন্টা কাজ করে ফেলেছে। সেখানে আমরা মাত্র ১৩ হাজার ঘন্টা কাজ করেছি। ওরা অবশ্য ২০০১ সাল থেকে ওডেস্কে কাজ করছে। আমরা এক বছরে এই অবস্থানে এসেছি। আমার পরিকল্পনা হচ্ছে আমরাও এরকম একটা পর্যায়ে যাব, ওডেস্কের মধ্যে শক্ত একটা অবস্থান।

"আলফা ডিজিটাল" টিমের ওডেস্ক প্রোফাইলের ঠিকানা হচ্ছে www.alphadigital.tk।


দৃষ্টি আকর্ষণ - "আলফা ডিজিটাল" টিমে এই মূহুর্তে আর কোন নতুন মেম্বার নেয়া হচ্ছে না। টিম মেম্বারদের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের গ্রুপে যোগদান করতে পারেন।
http://groups.google.com/group/odesk-bangladesh



লেখক - মোঃ জাকারিয়া চৌধুরী
বিঃদ্রঃ - এই লেখাটি "মাসিক কম্পিউটার জগৎ" ম্যাগাজিনের "মে ২০১০" সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে।

Read More
  • Share This:  
  •  Facebook
  •  Twitter
  •  Google+
  •  Stumble
  •  Digg

ফ্রিল্যান্সার সাক্ষাৎকার: থ্রিডি ডিজাইনার

 8:04 PM     গ্রাফিক্স ডিজাইন, সাক্ষাৎকার     No comments   

আউটসোর্সিং এ থ্রিডি কাজের রয়েছে ব্যাপক সম্ভাবনা। যত দিন যাচ্ছে ভিডিও গেমস এবং থ্রিডি এনিমেটেড মুভিগুলো আরো বাস্তবসম্মত হয়ে উঠছে, যা খুব সহজেই সব বয়সের মানুষের মন জয় করে নিচ্ছে। এই শিল্পে খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন থ্রিডি কাজের চাহিদা তৈরি হচ্ছে। গেমস বা মুভি ছাড়াও স্থাপত্যে থ্রিডি কাজের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। প্রায় সকল জনপ্রিয় আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেসে থ্রিডি এনিমেশন, থ্রিডি মডেলেং, থ্রিডি রেন্ডারিং ইত্যাদি কাজ পাওয়া যায়। আয়ের দিক থেকে এই ধরনের কাজগুলোতে অন্যান্য আউটসোর্সিং ক্ষেত্র থেকে বেশি মূল্য পাওয়া যায়। যে সকল সফটওয়্যার দিয়ে থ্রিডি কাজ করা হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে - Maya, 3Ds Max, Cinema 4D, ZBrush, Blender, Poser ইত্যাদি।

বাংলাদেশের থ্রিডি ডিজাইনাররাও আউটসোর্সিং এ খুব দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। থ্রিডি কাজে সফলতা পেয়েছেন এরকম একজন ফ্রিল্যান্সার হচ্ছেনমোঃ এহসানুল ইসলাম। তিনি সিলেটে বসবাস করেন। গত ১০ বছর থেকে থ্রিডি ভিত্তিক নানা ধরনের কাজ করছেন। প্রথমদিকে মূলত দেশী ক্লায়েন্টদের কাজ করতেন। বর্তমানে নিয়মিতভাবে আউটসোর্সিং এর কাজগুলো করছেন। ছোটবেলা থেকেই থ্রিডি গেমের প্রতি আকর্ষণ ছিল মোঃ এহসানুল ইসলামের, সেই থেকে থ্রিডি কাজ করার প্রতি আগ্রহ জন্মে। ১৯৯৮ সালের দিকে থ্রিডি ম্যাক্স শেখা শুরু করেন। সেসময় ইন্টারনেট সহজলভ্য ছিল না, শুরুটা করেছিলে বই পড়েই। পরবর্তীতে ইন্টারনেট থেকেই মূল দক্ষতা অর্জন করেন। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি কাজ করেছেন থ্রিডি মডেলিং, এনিমেশন, ক্যারেক্টার এনিমেশন, ফ্লুয়িড সিমুল্যাশন, রিজিড বডি ডাইনামিক্স, ল্যান্ডস্ক্যাপিং এর উপর। বর্তমানে আর্কিটেকচারাল ভিজুয়ালাইজেশন অর্থাৎ ইন্টেরিয়র, এক্সটেরিয়র মডেলিং এবং ভিজুয়ালাইজেশনের কাজ করতেই স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করেন। থ্রিডি কাজে নিজের সফলতা এবং এই কাজের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছিলাম এহসানুল ইসলামের সাথে।

জাকারিয়া: আপনি কত দিন থেকে আউটসোর্সিং এর কাজ করছেন?
এহসান: থ্রিডির কাজ অনেক দিন থেকে করলেও আউটসোর্সিং এর কাজগুলো মূলত ২-৩ বছর ধরেই করছি।

জাকারিয়া: আপনি কিভাবে কাজ পেয়ে থাকেন? 
এহসান: দেশে আমি মূলত আর্কিটেকচারাল কন্সাল্টেন্সি ফার্ম আর ডেভেলপারদের কাছ থেকে কাজ পাই। আমাদের দেশেও বর্তমানে এই ফিল্ডে অনেক কাজ আছে। ইন্টারনেটে প্রায় সকল জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যেমন freelancer.com, odesk.com ইত্যাদি সাইটে এই ধরনের কাজ পাওয়া যায়। তবে এসব সাইট থেকে নতুনদের জন্য প্রথম দিকে কাজ পাওয়াটা তুলনামূলকভাবে কঠিন। গ্রাফিক্সের কাজ আরেকভাবে পাওয়ার উপায় রয়েছে যা আমাদের দেশের বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সাররা হয়ত খেয়াল করেন না। এটি হচ্ছে নামিদামী কোন সাইটে নিজের কাজের একটি ভাল পোর্টফোলিও তৈরি করে রাখা। এরকম একটি জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে cgsociety.org। আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে নিজের কাজগুলো বিভিন্ন ফোরামে নিয়মিত পোস্ট করা। এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে ক্লায়েন্টরা নিজে থেকেই কাজের প্রস্তাব জানায়। cgsociety.org সাইটে আমার একটি পোর্টফলিও আছে এবং এই সাইট থেকে আমি সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইউরোপের কয়েকজন নিয়মিত ক্লায়েন্ট পেয়েছি। তাছাড়া http://jobs.cgarchitect.com সাইট থেকেও আমি আউটসোর্সিং এর কাজ পেয়ে থাকি।

চিত্র: মোঃ এহসানুল ইসলামের কয়েকটি কাজের নমুনা
জাকারিয়া: একটি প্রজেক্টে গড়ে কত মূল্য পাওয়া যায়? কোন পদ্ধতিতে টাকা পেয়ে থাকেন? 
এহসান: প্রত্যেকটা প্রজেক্টে গড়ে ৬০০ থেকে ৮০০ ডলার পাওয়া যায়। আর্কিটেকচারাল ভিজুয়ালাইজেশনের কাজ থেকে এনিমেশনের কাজে এর থেকেও অনেক বেশি অর্থ পাওয়া যায়। পেপাল না থাকার কারণে আমাদের দেশের ফ্রিল্যান্সারদের অনেক অসুবিধার সম্মুখিন হতে হয়। তবে আমি বেশিরভাগ পেমেন্টগুলো “ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন” মানি ট্রান্সফারের মাধ্যমে পেয়ে থাকি।

জাকারিয়া: একটি কাজ করতে আপনার কতদিন সময় লাগে? 
এহসান: এটা আসলে অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। অনেক সময় ক্লায়ান্টকে প্রাথমিক কাজ দেখানোর পর কিছু পরিবর্তন করতে হয়। তবে গড়ে ৩ থেকে ১০ দিন সময় লাগে। এনিমেশনের কাজে আরও বেশি সময় লাগে।

জাকারিয়া: কাজ করতে কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখিন কি হোন?
এহসান: প্রধানত ইন্টারনেটের স্পিডই বড় সমস্যা। আমাদের দেশের ইন্টারনেটের আপলোড স্পিড এত কম যে অনেক সময় ক্লায়েন্টকে রিয়েল টাইম প্রেজেন্টেশন দেয়া যায় না। ইন্টারনেটের চার্জও আমাদের দেশে অনেক বেশি। তাছাড়া লোডশেডিং এর জন্যেও আমার কয়েকবার ডেডলাইন মিস হয়েছে। মানি ট্রান্সফার এর সমস্যাটাও অনেকের জন্য বড় হয়ে দেখা দেয়।

জাকারিয়া: নতুনরা কিভাবে এই ধরনের কাজগুলো শিখতে পারে?
এহসান: শেখার জন্য ইন্টারনেটে প্রাপ্ত টিউটোরিয়াগুলো সবচেয়ে ভাল। বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আজকাল ভিডিও টিউটোরিয়াল অনলাইনে পাওয়া যায়। থ্রিডি ম্যাক্স এর সাথে দেয়া ভিডিও টিউটোরিয়ালগুলো থেকে প্রাথমিক সম্পর্কে জানতে হবে। এছাড়াও আজকাল ‘3D Total Training’ , ‘Digital Tutors’, ‘CG Academy Tutorials, ‘Gnomon Workshop’ ইত্যাদি সিরিজের বিখ্যাত টিউটোরিয়াল পাওয়া যায় আমাদের দেশেই। ঢাকার ইস্টার্ন প্লাজায় এসব টিউটোরিয়ালের ডিভিডি পাবেন। 

জাকারিয়া: নতুনদের জন্য আপনার পরামর্শগুলো কি কি?
এহসান: ভাল করে কাজ শিখুন। ইন্টারনেটে সব বিষয়ের উপরই অনেক টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়, সেগুলো দেখে নিন। বিভিন্ন জনপ্রিয় ফোরামে আপনার কাজগুলো পোস্ট করুন। দেখুন অন্যরা কি মন্তব্য দেয় এবং কাজকে সেভাবে পরিবর্তন করে নিন। অন্যান্য প্রফেশনাল আর্টিস্টরদের সাথে নিজেকে তুলনা করুন, তাদের কাজের কাছাকাছি আউটপুট দেয়ার চেষ্টা করুন। দেখবেন একসময় আপনার কাজও বিশ্বমানের হয়ে গেছে। আর ইংরেজিতে কিছুটা দক্ষতা থাকলে কাজ পেতে তা সবসময় সহায়তা করবে।

জাকারিয়া: থ্রিডি কাজে আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনাগুলো কি?
এহসান: বর্তমানে একাই এই কাজগুলো করি। নিজের বাসায় অনেককে ব্যাক্তিগতভাবে প্রশিক্ষনও দেই। কাজের পরিমাণ বাড়লে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ করার ইচ্ছা আছে। আর ভবিষ্যতে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করারও ইচ্ছা রয়েছে।

চিত্র: আরো কয়েকটি কাজের উদাহরণ

মোঃ এহসানুল হকের সাথে যোগাযোগের ইমেইল ঠিকানা হচ্ছে ehsan.cgfx@gmail.comএবং পোর্টফোলিও হচ্ছে http://freelancercg.cgsociety.org/gallery।


লেখক - মোঃ জাকারিয়া চৌধুরী
বিঃদ্রঃ - এই লেখাটি "মাসিক কম্পিউটার জগৎ" ম্
যাগাজিনের "মে ২০১১ ইং" সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে।

Read More
  • Share This:  
  •  Facebook
  •  Twitter
  •  Google+
  •  Stumble
  •  Digg

সাক্ষাৎকারঃ ওডেস্কের সেরা বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার

 1:42 PM     অনলাইন আয়, সাক্ষাৎকার     No comments   


অনেক নতুন পাঠক ইমেইল পাঠিয়েছেন তারা কিভাবে শুরু করতে পারেন সে বিষয়ে কিছু গাইডলাইনের জন্য। এসংখ্যায় “ঘরে বসে আয়” বিভাগের পাঠকদের জন্য দেশের অন্যতম সেরা ফ্রিল্যান্সার সাঈদ ইসলাম তার অভিজ্ঞতার মূল্যবান কিছু টিপস আমার করা প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে জানিয়েছেম।

ইন্টারনেটে আউটসোর্সিং কাজ পাওয়ার জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস ওডেস্ক(www.odesk.com) প্রকাশিত বিভিন্ন কাজে দক্ষ ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষেআছে বাংলাদেশি মুক্ত পেশাজীবীরা (ফ্রিল্যান্সার)। কিছু দিন আগে  ওডেস্কপ্রকাশিত বিষয়ভিত্তিক সেরা দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের তালিকা থেকে এ তথ্য জানাগেছে।

প্রকাশিত এ সেরা দক্ষ ও অভিজ্ঞ বিষয়ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সারদের তালিকায়গ্লোবালাইজেশন বিভাগের তিনটিতে শীর্ষে আছেন বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার সাঈদইসলাম। এর মধ্যে নেটওয়ার্ক অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের লিনাক্সএবং অ্যাসটারিস্ক ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ভিওআইপিতে শীর্ষেআছেন তিনি।  তিনটি বিভাগে শীর্ষে থাকার পাশাপাশি এটুবিলিংয়ে ওফ্রিপিবিএক্সে দ্বিতীয়, ট্রিক্সবক্স ও জিমব্রাতে পঞ্চম স্থানে আছেন তিনি।
 
উল্লেখ্য ওডেস্কে তিন হাজার ৪০০ ঘণ্টার বেশি কাজ করা সাঈদ ইসলাম ২০১০সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওডেস্কে থেকে কাজ নেয়া শুরু করেন, ২০১১ সালেরএপ্রিল মাসেই  তিনি ওডেস্কের স্পট লাইট কনট্রাক্টর তালিকায় জায়গা করেনেন।  ওডেস্কে তার এজেন্সি “বিগমাসটেক” বাংলদেশ থেকে সব থেকে বেশী উপার্জন করা এজেন্সি।

বিশ্বখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগল থেকে সিনিয়র সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরিরসুযোগ পান সাইদ ইসলাম কিন্তু দেশের প্রতি ভালোবাসা ও দেশে নতুনদের শিখানোর জন্য গুগলের প্রস্তাব করা চাকরি ফিরিয়ে দেন। এ বিষয়ে তিনিবলেন, ‘এ সুযোগ পাওয়ার পর দেশের পাশাপাশি ভারতে কাজ করার সুযোগচেয়ে জানতে পারি, সেখানে গুগলের এ অফিস কার্যক্রম নেই। তাই আমারআর এ পদে যোগ দেওয়া হয়নি।’



#  ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং শুরু করতে কি কি প্রস্তুতি দরকার?
একটু মজা করে শুরু করি। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে তেমন কোন প্রস্তুতির দরকার হয় না, পথে ঘাটে বিজ্ঞাপন দিলেই হয়। যেমন ধরা যাক ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার, ফ্রিল্যান্স পিএইচপি প্রোগ্রামার, ফ্রিল্যান্স কাঠমিস্ত্রী, ফ্রিল্যান্স ক্লিনার ইত্যাদি; তবে আউটসোর্সিং (ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং এক জিনিস নয়) এর কাজ শুরু করতে হলে কয়েকটা ব্যাপার মনে প্রাণে গেঁথে নিতে হবে যেগুলো হলঃ

  • ·         এটি শুনতে যতটা সহজ মনে হয় প্রকৃত পক্ষে তা নয়
    ·         আউটসোর্সিং এর কাজ করতে কোন প্রকার অর্থের প্রয়োজন হয় না শুধু মেধাই পুঁজি।
    ·         পূর্ণ ধারণা এবং আউটসোর্সিং এর উপযোগী এমন অন্তত একটি কাজের দক্ষতা থাকতে হবে।
    ·         আউটসোর্সিং আর আইটি একই জিনিস নয়, অর্থাৎ আইটি অভিজ্ঞতা না থাকলে যে এ কাজ করা যাবে না সেটা ভুল।
    ·         আউটসোর্সিং ব্যাপারটি কি এর উপর পর্যাপ্ত রিসার্চ করতে হবে।
    ·         শুরুতে এ ক্ষেত্র থেকে কত আয় করা যাবে তা নিয়ে চিন্তিত না হয়ে মানসম্পন্ন দক্ষতার দিকে মনযোগী হতে হবে।
    ·         অর্থ উপার্জন যে একটি সহজ কাজ নয় সেটি মনে রাখতে হবে।
    ·         ইংরেজিতে দখল থাকতে হবে
      
      # কোন ট্রেনিং এর প্রয়োজন আছে কিনা?

    সঠিক ভাবে রিসার্চ করলে কোন প্রকার ট্রেইনিং এর প্রয়োজন নেই তবে গাইড লাইন এর 
    প্রয়োজন হতে পারে তাদের জন্য যাদের আউটসোর্সিং এর উপযোগী কাজ এ দক্ষতা আছে কিন্তু 
    রিসার্চ এ সফল হয়নি।


    # ট্রেনিং ছাড়াও অনলাইনে শেখা যায় কিন্তু কোন কাজ গুলো?

      'শেখা' ব্যাপার টি সম্পূর্ণ নিজস্ব একটি ব্যাপার। আমার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ইন্টারনেট এর সাহায্য নিয়ে সব কাজই শেখা সম্ভব তবে সে ক্ষেত্রে ওই বিষয়ের উপর সঠিক ধারণা থাকতে হবে, যেমন সঠিক বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে ব্যাকরণ জানা প্রয়োজন। ধারনায় ঘাটতি থাকলে অথবা ইন্টারনেট এর মাধ্যমে শিখতে অসফল হলে ট্রেইনিং এর সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। 


    #  স্কিল বাড়ানোর উপায়?
     
            * আত্মবিশ্বাস

           *  কৌতূহল

           *  আগ্রহ

           * চেষ্টা


      # কমপক্ষে কতটুকু স্কিলড হলে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারে একজন?

    নুন্যতম মধ্যমানের দক্ষতা প্রয়োজন।

      # ইদানিং ভুয়া ট্রেনিং সেন্টার এর কার্যক্রম লক্ষ করা যাচ্ছে, এদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়ার পরিকল্পনা আছে কি?

    ভুয়া ট্রেইনিং সেন্টার না বলে বলবো 'ট্রেইনিং সেন্টার নামক প্রতারণা মুলক বাণিজ্য'। আমি 
    ইতিমধ্যে প্রচারণার মাধ্যমে যতটুকু সম্ভব সচেতন করে আসছি তবে সরকার উপযুক্ত নীতিমালার
     মাধ্যমে পদক্ষেপ নিলে বেশী কার্যকর হবে। 

      # অনেকেই বলে অনলাইন থেকে শিখতে, কিন্তু প্রোগ্রামিং, ওয়েব ডেভেলাপমেন্ট, সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এইসব জটিল কাজগুলো আসলেই কি অনলাইন থেকে শিখতে পারা যায়?

    বিষয়টির উপর প্রাথমিক এবং সঠিক ধারনা থাকলে শেখা সম্ভব তবে এক্ষেত্রে ব্যক্তি অবশ্যই স্মার্ট 
    হতে হবে।

      # কোন কোন কাজগুলোর বর্তমানে চাহিদা বেশী?

    প্রথমত আমি বলবো ডেটা এন্ট্রি, যা অনেকেই একে এসইও বলে থাকে, এর চাহিদা অনেক বেশি,
     এরপর মূল এসইও এর কাজ ও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ইউনিক কিছু 
    কাজ জানা থাকলে ভাল; যেমন অ্যানিমেশন, থ্রিডি গ্রাফিক্স, ক্লাউড কম্পিউটিং, জনপ্রিয় ওপেন
     সোর্স প্রযুক্তি, ইত্যাদি। 

       # ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং এ ইংরেজী এর গুরুত্ব?

    মূলত ক্লায়েন্ট এর সাথে যোগাযোগের জন্য ইংরেজি জানা প্রয়োজন কারণ এটি কাজ পাবার সম্ভবনা বাড়িয়ে দেয়। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে, যে সকল কাজের সাথে ইংরেজির সম্পৃক্ততা আছে সেক্ষেত্রে ইংরেজি জানা খুবই প্রয়োজন। যেমন ধরা যাক আর্টিকেল রাইটিং অথবা কমেনটিং। এছাড়া ক্লায়েন্ট এর সাথে কি ভাবে যোগাযোগ অথবা কথা বলতে হবে সে ব্যাপারে অবশ্যই সঠিক ধারণা থাকতে হবে। এক দেশের গালি অন্য দেশের বুলি, কথাটি মনে রাখতে হবে।

    v  অনেকেই কাজ জানে কিন্তু মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ পায় না, শেষে অধৈয্য হয়ে এগুলো থেকে সরে দাঁড়ায়। একজন স্কিলড মানুষ কিভাবে তার মেধা কাজে লাগিয়ে কাজ পেতে পারে?
    পূর্বের মতো করে বলবঃ
    ·         আত্মবিশ্বাস
    ·         আগ্রহ
    ·         চেষ্টা, চেষ্টা এবং চেষ্টা

      # অনেকেই প্রথম কাজ পেতে অনেক সময় লাগে, আপনি নিজের কিভাবে প্রথম কাজ পেয়েছিলেন ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলুন।

    শুরুতে কাজ পেতে সময় লাগে কথাটির সাথে আমি একমত নই। সঠিক ভাবে আবেদন পদ্ধতি অনুসরণ করলে কাজ পেতে দেরি হবার কথা নয়। আমি প্রথমে আউটসোর্সিং ব্যাপারটি কিভাবে কাজ করে সেটির সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিই। মার্কেট প্লেইস এ সুন্দর একটি প্রোফাইল তৈরি করি সাথে করে কিছু পরীক্ষা দিই যা আমার দক্ষতার সাথে সম্পৃক্ত। তারপর নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পোস্ট এর তালিকার সাথে মিলিয়ে কাজ খুঁজতে থাকি। শুধু মাত্র পছন্দ মতো কাজ এর পোস্ট পড়ি এবং ক্লায়েন্ট এর প্রয়োজনটি বোঝার চেষ্টা করি। তারপর প্রোফেশনাল কভার লেটার লেখার পদ্ধতি অনুসরণ করে আমার দক্ষতা ও যোগ্যতার বর্ণনা দিয়ে আবেদন করি। প্রথম কাজটি সিস্টেম মাইগ্রেশন ভিত্তিক ছিল যেখানে আমি আবেদনের সময় কাজ সম্পৃক্ত একটি প্রস্তাবিত ড্রাফ্‌ট সিস্টেম নেটওয়ার্ক নকশা করে ক্লায়েন্ট কে পাঠিয়েছিলাম যেটা তাকে বিশেষ ভাবে আকর্ষণ করেছিল।

        # নতুনদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে কোন সেমিনার বা কর্মশালার আয়োজন করা হয় কি?

    কর্ম ব্যাস্ততার ফাঁকে ফাঁকে আমার কর্মস্থল বিগমাসটেক এর অফিসে এ সাপ্তাহিক কিছু কর্মশালার আয়োজন করে থাকি। যেহেতু আমি ইনফরমেশন টেকনোলজির বিশেষ একটি ক্ষেত্রের সাথে জড়িত সেহেতু কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং এ শেষ বর্ষের অথবা সদ্য পাস করা ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকুরী, রেজুইমি, ইন্টারভিউ, আউটসোর্সিং, ওপেন সোর্স টেকনোলজি ও এর কর্মক্ষেত্র বিষয়ক সেমিনার ও কর্মশালা করে থাকি। এছাড়া অন্যান্য যারা আউটসোর্সিং এর কাজ করতে আগ্রহী কিন্তু জানে না কিভাবে বা কোথা থেকে শুরু করতে হয় তাদেরকে নিয়েও কর্মশালা করে থাকি।

       #  আপনি কি একাই কাজ গুলো করে থাকেন না কোন টিম রয়েছে আপনার?
    আমি সাধারণত যে ধরণের কাজ করে থাকি সেগুলোর জন্য বাংলাদেশে দক্ষ মানুষের বেশ অভাব। ছয় সদস্য বিশিষ্ট ছোট একটি টিম আছে যারা আমার প্রতিষ্ঠান বিগমাসটেকে কর্মরত। টিমের সদস্যদেরকে আমি নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছি এবং তাঁরা অসাধারণ কাজ করছে। এদের মধ্যে সুশান্ত রায়, কামরুন নাহার ও শাফরিনা এর না বললেই নয়। কাজের ধরণ বিশেষে বেশির ভাগ কাজই আমার নিজেকেই করতে হয় তারপরও আমার টিম আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করে থাকে।

    # সবশেষে যারা ফ্রিল্যান্সিং মোটামোটি শুরু করেছে, তাদের জন্য কিছু টিপস দিন। কিভাবে তারা নিজের অবস্থান শক্ত করতে পারে? 

    কাজ জানা না থাকলে আগে কাজ শিখতে হবে এবং দক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে, তারপর আউটসোর্সিং উপর পর্যাপ্ত রিসার্চ যা এই ক্ষেত্রটির উপর পূর্ণ ধারণা দিবে। শুরুতে কত অর্থ উপার্জন করা যাবে তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে প্রথম কাজটি কিভাবে পাওয়া যায় সেটির জন্য ধৈর্য সহকারে যথেষ্ট চেষ্টা করতে হবে।
    অনুকরণ না করে কাজ সম্পৃক্ত সফল কিছুকে অনুসরণের মাধ্যমে নিজের অবস্থান শক্ত করা সম্ভব বলে আমি বিশ্বাস করি।

    সাইদ ইসলামের সাথে যোগাযোগ করার ঠিকানাঃ
    Bigmastech Communications Limited
    Unit 5A House 88 Road 17A
    Banani Block E, Dhaka 1212
    Bangladesh
    Phone: +880-2-883-7900

    সবশেষে যারা বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে এখনও নিজের অবস্থান ঠিকমত গড়ে তুলতে পারেননি এবং নিজের স্কিল বাড়ানোর জন্য মনে করেন প্রশিক্ষন দরকার। তারা আমাদের দেশের কয়েকজন অন্যতম ফ্রিল্যান্সার দ্বারা আয়োজিত ফ্রি সেমিনার, প্রশিক্ষন, কর্মশালায় যোগ দিতে পারেন।
    নিচে কয়েকজন ফ্রিল্যান্সারদের নাম, ওদের প্রতিষ্ঠানের নাম ও ওয়েবসাইটের ঠিকানা দেয়া হলঃ
    জাকারিয়া চৌধুরী, সিলেট আইটি একাডেমী,http://www.sylhetitacademy.com 
     সাইদ ইসলাম, বিগমাসটেক ট্রেনিং সেন্টারhttp://www.training.bigmastech.com
Read More
  • Share This:  
  •  Facebook
  •  Twitter
  •  Google+
  •  Stumble
  •  Digg
Older Posts Home

Popular Posts

  • ফ্রিল্যান্সার সাক্ষাৎকার: থ্রিডি ডিজাইনার
    আউটসোর্সিং এ থ্রিডি কাজের রয়েছে ব্যাপক সম্ভা বনা। যত দিন যাচ্ছে ভিডিও গেমস এবং থ্রিডি এনিমেটেড মুভিগুলো আরো বাস্তবসম্মত হয়ে উঠছে, যা খুব স...
  • পেওনার ডেবিট মাস্টারকার্ড
    বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং সাইট থেকে টাকা উত্তোলনের সহজ এবং ঝামেলামুক্ত পদ্ধতি হচ্ছে Payoneer সাইট কর্তৃক প্রদত্ত একটি ডেবিট মাস্টারকার...
  • প্রোগ্রামিং শুরু করার জন্য গাইডলাইন।
    নিজের ভাষা কম্পিউটারকে বুঝানোর জন্যই পোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর উৎপত্তি। এ পর্যন্ত কয়েক হাজার পোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের উৎপত্তি হয়েছে। বিশ...
  • ইংলিশ ভোকাবুলারি শেখার দূর্দান্ত ১০ টিপস
    ইংরেজিতে শব্দ আমাদের সবারই কম বেশি জানা আছে। তারপরেও আমরা কোন জটিল বাক্য গঠন করার সময় কিংবা ইংরেজিতে কথা বলার সময় এই শব্দ কম জানার জন্য অনে...
  • আউটসোর্সিং এ আলফা ডিজিটাল টিমের সফলতা
    বর্তমানে ওডেস্ক ( www.oDesk.com ) মার্কেটপ্লেসে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সররদের অবস্থান বেশ সন্তোষজনক। ওডেস্কে যে কয়জন ফ্রিল্যান্সার সফলতার সা...

Recent Posts

banner image

Categories

অনলাইন আয় আবিষ্কার উইন্ডোজ ১০ উইন্ডোজ ফোন উইন্ডোজ সফটওয়্যার এন্ড্রয়েড ফোন ওয়েবসাইট ডিজাইনিং ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট কম্পিউটার প্রোগ্রামিং কোয়ান্টাম কম্পিউটার গ্রাফিক্স ডিজাইন জাভা স্ক্রীপ্ট টিপস অ্যান্ড ট্রিকস ডাটা এন্ট্রি থিমস পাইথন প্রোগ্রামিং বই ব্লগস্পট সাইট ভিডিও এডিটিং মাইক্রোওয়ার্কারস মোবাইল ফোন রেন্ট-এ-কোডার লিনাক্স শিক্ষা সংক্রান্ত সংখ্যা পদ্ধতি সাক্ষাৎকার সি প্রোগ্রামিং হ্যাকিং

Blog Archive

Kategori

Kategori

Recent Comments

Featured Post

ডাউনলোড করে নিন অ্যাডোবি ফটোশপের সর্বশেষ ভার্সন “Adobe Photoshop CC” সম্পূর্ণ ফ্রি আজীবন মেয়াদসহ।

Formulir Kontak

Name

Email *

Message *

মোট পৃষ্ঠাদর্শন

Sparkline
  • Post Style
  • Feature
  • _Gadget
  • _Mobile
  • Pages
  • Categories
  • Buddypress
  • Forum
  • Home
  • About
  • Contact
  • Advertise
  • __DropDown 3
  • _ShortCodes
  • _SiteMap
  • _Error Page
  • Seo Services
  • Documentation
  • Download this template

Blog Archive

  • ▼  2015 ( 125 )
    • ▼  September ( 7 )
      • Lollipop Lockscreen Android L Premium [APK]
      • KK Launcher Prime Free Download
      • PicsPlay Pro 3.6.1 APK এখানে ! [LATEST]
      • Aurora 3D Text & Logo Maker (Portable Version)
      • CMD commands পরিচিতি
      • Slow Computer ফাস্ট করে নিন ১১টি টিপস দেখে।
      • ইংলিশ ভোকাবুলারি শেখার দূর্দান্ত ১০ টিপস
    • ►  August ( 34 )
    • ►  July ( 15 )
    • ►  June ( 44 )
    • ►  May ( 25 )

Recent

Comment

Label

  • অনলাইন আয়
  • আবিষ্কার
  • উইন্ডোজ ১০
  • উইন্ডোজ ফোন
  • উইন্ডোজ সফটওয়্যার
  • এন্ড্রয়েড ফোন
  • ওয়েবসাইট ডিজাইনিং
  • ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট
  • কম্পিউটার প্রোগ্রামিং
  • কোয়ান্টাম কম্পিউটার
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • জাভা স্ক্রীপ্ট
  • টিপস অ্যান্ড ট্রিকস
  • ডাটা এন্ট্রি
  • থিমস
  • পাইথন প্রোগ্রামিং
  • বই
  • ব্লগস্পট সাইট
  • ভিডিও এডিটিং
  • মাইক্রোওয়ার্কারস
  • মোবাইল ফোন
  • রেন্ট-এ-কোডার
  • লিনাক্স
  • শিক্ষা সংক্রান্ত
  • সংখ্যা পদ্ধতি
  • সাক্ষাৎকার
  • সি প্রোগ্রামিং
  • হ্যাকিং

Tags

অনলাইন আয় আবিষ্কার উইন্ডোজ ১০ উইন্ডোজ ফোন উইন্ডোজ সফটওয়্যার এন্ড্রয়েড ফোন ওয়েবসাইট ডিজাইনিং ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট কম্পিউটার প্রোগ্রামিং কোয়ান্টাম কম্পিউটার গ্রাফিক্স ডিজাইন জাভা স্ক্রীপ্ট টিপস অ্যান্ড ট্রিকস ডাটা এন্ট্রি থিমস পাইথন প্রোগ্রামিং বই ব্লগস্পট সাইট ভিডিও এডিটিং মাইক্রোওয়ার্কারস মোবাইল ফোন রেন্ট-এ-কোডার লিনাক্স শিক্ষা সংক্রান্ত সংখ্যা পদ্ধতি সাক্ষাৎকার সি প্রোগ্রামিং হ্যাকিং

Facebook

banner image

Flickr

banner image

Football

Popular Posts

  • ফ্রিল্যান্সার সাক্ষাৎকার: থ্রিডি ডিজাইনার
    ফ্রিল্যান্সার সাক্ষাৎকার: থ্রিডি ডিজাইনার
  • পেওনার ডেবিট মাস্টারকার্ড
    পেওনার ডেবিট মাস্টারকার্ড
  • প্রোগ্রামিং শুরু করার জন্য গাইডলাইন।
    প্রোগ্রামিং শুরু করার জন্য গাইডলাইন।

Sample Text

Copyright © Bdhuge | Technology Journey. | Powered by Blogger
Design by Hardeep Asrani | Blogger Theme by NewBloggerThemes.com | Distributed By blogger Templates