Bdhuge | Technology Journey.
  • Home
  • Business
    • Internet
    • Market
    • Stock
  • Parent Category
    • Child Category 1
      • Sub Child Category 1
      • Sub Child Category 2
      • Sub Child Category 3
    • Child Category 2
    • Child Category 3
    • Child Category 4
  • Featured
  • Health
    • Childcare
    • Doctors
  • Home
  • Business
    • Internet
    • Market
    • Stock
  • Downloads
    • Dvd
    • Games
    • Software
      • Office
  • Parent Category
    • Child Category 1
      • Sub Child Category 1
      • Sub Child Category 2
      • Sub Child Category 3
    • Child Category 2
    • Child Category 3
    • Child Category 4
  • Featured
  • Health
    • Childcare
    • Doctors
  • Uncategorized

Friday, June 12, 2015

ফ্রিল্যান্সার সাক্ষাৎকার: থ্রিডি ডিজাইনার

 8:04 PM     গ্রাফিক্স ডিজাইন, সাক্ষাৎকার     No comments   

আউটসোর্সিং এ থ্রিডি কাজের রয়েছে ব্যাপক সম্ভাবনা। যত দিন যাচ্ছে ভিডিও গেমস এবং থ্রিডি এনিমেটেড মুভিগুলো আরো বাস্তবসম্মত হয়ে উঠছে, যা খুব সহজেই সব বয়সের মানুষের মন জয় করে নিচ্ছে। এই শিল্পে খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন থ্রিডি কাজের চাহিদা তৈরি হচ্ছে। গেমস বা মুভি ছাড়াও স্থাপত্যে থ্রিডি কাজের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। প্রায় সকল জনপ্রিয় আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেসে থ্রিডি এনিমেশন, থ্রিডি মডেলেং, থ্রিডি রেন্ডারিং ইত্যাদি কাজ পাওয়া যায়। আয়ের দিক থেকে এই ধরনের কাজগুলোতে অন্যান্য আউটসোর্সিং ক্ষেত্র থেকে বেশি মূল্য পাওয়া যায়। যে সকল সফটওয়্যার দিয়ে থ্রিডি কাজ করা হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে - Maya, 3Ds Max, Cinema 4D, ZBrush, Blender, Poser ইত্যাদি।

বাংলাদেশের থ্রিডি ডিজাইনাররাও আউটসোর্সিং এ খুব দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। থ্রিডি কাজে সফলতা পেয়েছেন এরকম একজন ফ্রিল্যান্সার হচ্ছেনমোঃ এহসানুল ইসলাম। তিনি সিলেটে বসবাস করেন। গত ১০ বছর থেকে থ্রিডি ভিত্তিক নানা ধরনের কাজ করছেন। প্রথমদিকে মূলত দেশী ক্লায়েন্টদের কাজ করতেন। বর্তমানে নিয়মিতভাবে আউটসোর্সিং এর কাজগুলো করছেন। ছোটবেলা থেকেই থ্রিডি গেমের প্রতি আকর্ষণ ছিল মোঃ এহসানুল ইসলামের, সেই থেকে থ্রিডি কাজ করার প্রতি আগ্রহ জন্মে। ১৯৯৮ সালের দিকে থ্রিডি ম্যাক্স শেখা শুরু করেন। সেসময় ইন্টারনেট সহজলভ্য ছিল না, শুরুটা করেছিলে বই পড়েই। পরবর্তীতে ইন্টারনেট থেকেই মূল দক্ষতা অর্জন করেন। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি কাজ করেছেন থ্রিডি মডেলিং, এনিমেশন, ক্যারেক্টার এনিমেশন, ফ্লুয়িড সিমুল্যাশন, রিজিড বডি ডাইনামিক্স, ল্যান্ডস্ক্যাপিং এর উপর। বর্তমানে আর্কিটেকচারাল ভিজুয়ালাইজেশন অর্থাৎ ইন্টেরিয়র, এক্সটেরিয়র মডেলিং এবং ভিজুয়ালাইজেশনের কাজ করতেই স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করেন। থ্রিডি কাজে নিজের সফলতা এবং এই কাজের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছিলাম এহসানুল ইসলামের সাথে।

জাকারিয়া: আপনি কত দিন থেকে আউটসোর্সিং এর কাজ করছেন?
এহসান: থ্রিডির কাজ অনেক দিন থেকে করলেও আউটসোর্সিং এর কাজগুলো মূলত ২-৩ বছর ধরেই করছি।

জাকারিয়া: আপনি কিভাবে কাজ পেয়ে থাকেন? 
এহসান: দেশে আমি মূলত আর্কিটেকচারাল কন্সাল্টেন্সি ফার্ম আর ডেভেলপারদের কাছ থেকে কাজ পাই। আমাদের দেশেও বর্তমানে এই ফিল্ডে অনেক কাজ আছে। ইন্টারনেটে প্রায় সকল জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যেমন freelancer.com, odesk.com ইত্যাদি সাইটে এই ধরনের কাজ পাওয়া যায়। তবে এসব সাইট থেকে নতুনদের জন্য প্রথম দিকে কাজ পাওয়াটা তুলনামূলকভাবে কঠিন। গ্রাফিক্সের কাজ আরেকভাবে পাওয়ার উপায় রয়েছে যা আমাদের দেশের বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সাররা হয়ত খেয়াল করেন না। এটি হচ্ছে নামিদামী কোন সাইটে নিজের কাজের একটি ভাল পোর্টফোলিও তৈরি করে রাখা। এরকম একটি জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে cgsociety.org। আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে নিজের কাজগুলো বিভিন্ন ফোরামে নিয়মিত পোস্ট করা। এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে ক্লায়েন্টরা নিজে থেকেই কাজের প্রস্তাব জানায়। cgsociety.org সাইটে আমার একটি পোর্টফলিও আছে এবং এই সাইট থেকে আমি সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইউরোপের কয়েকজন নিয়মিত ক্লায়েন্ট পেয়েছি। তাছাড়া http://jobs.cgarchitect.com সাইট থেকেও আমি আউটসোর্সিং এর কাজ পেয়ে থাকি।

চিত্র: মোঃ এহসানুল ইসলামের কয়েকটি কাজের নমুনা
জাকারিয়া: একটি প্রজেক্টে গড়ে কত মূল্য পাওয়া যায়? কোন পদ্ধতিতে টাকা পেয়ে থাকেন? 
এহসান: প্রত্যেকটা প্রজেক্টে গড়ে ৬০০ থেকে ৮০০ ডলার পাওয়া যায়। আর্কিটেকচারাল ভিজুয়ালাইজেশনের কাজ থেকে এনিমেশনের কাজে এর থেকেও অনেক বেশি অর্থ পাওয়া যায়। পেপাল না থাকার কারণে আমাদের দেশের ফ্রিল্যান্সারদের অনেক অসুবিধার সম্মুখিন হতে হয়। তবে আমি বেশিরভাগ পেমেন্টগুলো “ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন” মানি ট্রান্সফারের মাধ্যমে পেয়ে থাকি।

জাকারিয়া: একটি কাজ করতে আপনার কতদিন সময় লাগে? 
এহসান: এটা আসলে অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। অনেক সময় ক্লায়ান্টকে প্রাথমিক কাজ দেখানোর পর কিছু পরিবর্তন করতে হয়। তবে গড়ে ৩ থেকে ১০ দিন সময় লাগে। এনিমেশনের কাজে আরও বেশি সময় লাগে।

জাকারিয়া: কাজ করতে কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখিন কি হোন?
এহসান: প্রধানত ইন্টারনেটের স্পিডই বড় সমস্যা। আমাদের দেশের ইন্টারনেটের আপলোড স্পিড এত কম যে অনেক সময় ক্লায়েন্টকে রিয়েল টাইম প্রেজেন্টেশন দেয়া যায় না। ইন্টারনেটের চার্জও আমাদের দেশে অনেক বেশি। তাছাড়া লোডশেডিং এর জন্যেও আমার কয়েকবার ডেডলাইন মিস হয়েছে। মানি ট্রান্সফার এর সমস্যাটাও অনেকের জন্য বড় হয়ে দেখা দেয়।

জাকারিয়া: নতুনরা কিভাবে এই ধরনের কাজগুলো শিখতে পারে?
এহসান: শেখার জন্য ইন্টারনেটে প্রাপ্ত টিউটোরিয়াগুলো সবচেয়ে ভাল। বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আজকাল ভিডিও টিউটোরিয়াল অনলাইনে পাওয়া যায়। থ্রিডি ম্যাক্স এর সাথে দেয়া ভিডিও টিউটোরিয়ালগুলো থেকে প্রাথমিক সম্পর্কে জানতে হবে। এছাড়াও আজকাল ‘3D Total Training’ , ‘Digital Tutors’, ‘CG Academy Tutorials, ‘Gnomon Workshop’ ইত্যাদি সিরিজের বিখ্যাত টিউটোরিয়াল পাওয়া যায় আমাদের দেশেই। ঢাকার ইস্টার্ন প্লাজায় এসব টিউটোরিয়ালের ডিভিডি পাবেন। 

জাকারিয়া: নতুনদের জন্য আপনার পরামর্শগুলো কি কি?
এহসান: ভাল করে কাজ শিখুন। ইন্টারনেটে সব বিষয়ের উপরই অনেক টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়, সেগুলো দেখে নিন। বিভিন্ন জনপ্রিয় ফোরামে আপনার কাজগুলো পোস্ট করুন। দেখুন অন্যরা কি মন্তব্য দেয় এবং কাজকে সেভাবে পরিবর্তন করে নিন। অন্যান্য প্রফেশনাল আর্টিস্টরদের সাথে নিজেকে তুলনা করুন, তাদের কাজের কাছাকাছি আউটপুট দেয়ার চেষ্টা করুন। দেখবেন একসময় আপনার কাজও বিশ্বমানের হয়ে গেছে। আর ইংরেজিতে কিছুটা দক্ষতা থাকলে কাজ পেতে তা সবসময় সহায়তা করবে।

জাকারিয়া: থ্রিডি কাজে আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনাগুলো কি?
এহসান: বর্তমানে একাই এই কাজগুলো করি। নিজের বাসায় অনেককে ব্যাক্তিগতভাবে প্রশিক্ষনও দেই। কাজের পরিমাণ বাড়লে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ করার ইচ্ছা আছে। আর ভবিষ্যতে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করারও ইচ্ছা রয়েছে।

চিত্র: আরো কয়েকটি কাজের উদাহরণ

মোঃ এহসানুল হকের সাথে যোগাযোগের ইমেইল ঠিকানা হচ্ছে ehsan.cgfx@gmail.comএবং পোর্টফোলিও হচ্ছে http://freelancercg.cgsociety.org/gallery।


লেখক - মোঃ জাকারিয়া চৌধুরী
বিঃদ্রঃ - এই লেখাটি "মাসিক কম্পিউটার জগৎ" ম্
যাগাজিনের "মে ২০১১ ইং" সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে।

Read More
  • Share This:  
  •  Facebook
  •  Twitter
  •  Google+
  •  Stumble
  •  Digg

ওয়েব ডেভেলপারদের জন্য কয়েকটি তথ্য

 7:46 PM     ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট     No comments   

ওয়েব ডেভেলপারদের জন্য কয়েকটি তথ্য


অনলাইনে যতধরনের কাজ পাওয়া যায় তার মধ্য সবচেয়ে বেশি কাজ হচ্ছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে। ওয়েবসাইট তৈরি, পরিবর্তন, পরিবর্ধন, ওয়েসাইট ক্লোন, টেম্পলেট বা ওয়েবসাইটের জন্য ডিজাইন তৈরি করা, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা SEO ইত্যাদি এর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত। ওয়েবসাইট তৈরি করা ক্ষেত্রে স্ক্রিপ্টিং ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে সবচাইতে বেশি ব্যবহৃত হয় PHP এবং ডাটাবেইজ হিসেবে MySQL । PHP অত্যন্ত সহজ একটি ল্যাঙ্গুয়েজ যা এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে শেখা সম্ভব। এ নিয়ে বাজরে প্রচুর বই পাওয়া যায়। আর Google-এ সার্চ করে আপনি প্রচুর কোড, টিউটরিয়াল, ওপেনসোর্স স্ক্রিপ্ট পেয়ে যাবেন। PHP এবং MySQL এর সাথে সাথে আপনাকে HTML, Javascript, CSS, XML ইত্যাদি বিষয়ের উপরও ভাল জ্ঞান থাকতে হবে। এজন্য আপনিwww.w3schools.com সাইটের সাহায্য নিতে পারেন।

PHP এবং MySQL শেখার পর এবার নিজে কয়েকটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন। সাইটের আইডিয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করুন এবং এক বা একাধিক ওয়েবসাইটের ক্লোন করার চেষ্টা করুন। এতে আপনি একটি ওয়েবসাইটে কি কি ফিচার থাকতে পারে সে সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা পাবেন। ফ্রিল্যান্সিং সাইটে আপনি পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা হিসেবে এই কাজগুলো উল্লেখ করতে পারেন এবং ক্লায়েন্টকে আপনার তৈরিকৃত ওয়েবসাইটগুলোর স্ক্রিনশট দেখাতে পারেন।

অনেক ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নতুন ওয়েবসাইট তৈরি না করে ক্লায়েন্টরা বিভিন্ন ধরনের ওপেন সোর্স স্ক্রিপ্ট পছন্দ করে। জনপ্রিয় কয়েকটি স্ক্রিপ্ট হচ্ছে osCommerce, ZenCart, Joomla, Drupal, Wordpress ইত্যাদি। এই স্ক্রিপগুলোকে পরিবর্তন করা, নতুন মডিউল বা ফিচার যোগ করা, ডিজাইন পরিবর্তন করা ইত্যাদি নিয়ে অসংখ্য কাজ পাওয়া যায়। আপনি শুধুমাত্র এরকম এক বা একাধিক স্ক্রিপ্ট নিয়ে কাজ করতে পারেন। এমন অনেক সফটওয়্যার ফার্ম আছে যারা কেবলমাত্র Joomla বা osCommerce এর উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

Read More
  • Share This:  
  •  Facebook
  •  Twitter
  •  Google+
  •  Stumble
  •  Digg

ওয়েবসাইট ডিজাইন - সম্ভাবনাময় ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার

 7:42 PM     ওয়েবসাইট ডিজাইনিং     No comments   

ইন্টারনেটে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে আয়ের যে সকল পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে ওয়েবসাইট তৈরির কাজগুলোতে। এর একটা প্রধান কারণ হচ্ছে ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়ীক উদ্দ্যেশ্যে ইন্টারনেটের উপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরশীলতা। কারণ একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠান একদিকে যেভাবে তার গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে, অপরদিকে বিভিন্ন শহরে বা বিভিন্ন দেশে অবস্থিত নিজস্ব শাখার সাথে আন্তঃযোগাযোগও সহজে এবং কম খরচে করতে পারে। তাই বর্তমান সময়ে একটি ডেস্কটপ সফটওয়্যার তৈরি করার চাইতে ওয়েব এপ্লিকেশন তৈরি করার দিকেই সবার ঝোঁক থাকে।
একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট দুটি বিষয়ের সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়, যার একটি হচ্ছে ওয়েবসাইটি কিভাবে কাজ করবে তার নির্দেশনা দেয়ার জন্য প্রোগ্রামিং এবং অপর অংশ হচ্ছে এর বহিরাবরণ বা ডিজাইন। ওয়েবসাইট নির্দেশনা সাধারণত PHP, ASP, Python, Perl, Ruby ইত্যাদি প্রোগ্রামিং ভাষায় লেখা হয় এবং ডাটাবেইজ হিসেবে MySQL, MS SQL, PostgreSQL ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। অনলাইনে ওয়েবসাইট প্রোগ্রামিং এর কাজই সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। যারা কম্পিউটার সায়েন্স বা এর সাথে সম্পর্কিত বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পড়ালেখা করেছে তারা ওয়েবসাইট প্রোগ্রামিং করে থাকে। তবে অনেকেই আছেন যারা শুধুমাত্র নিজের চেষ্টায় প্রোগ্রামিং শিখে বর্তমানে বেশ ভাল অবস্থায় আছেন।

নিজে নিজে প্রোগ্রামিং শেখাটা একটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। একটি প্রোগ্রামিং ভাষা শেখা থেকে শুরু করে তাতে পরিপূর্ণ দক্ষ হতে বছরখানেক সময় লেগে যেতে পারে। অন্যদিকে ওয়েবসাইট ডিজাইন তুলনামূলকভাবে ততটা সময়সাপেক্ষ নয়, ব্যক্তি ভেদে তিন থেকে ছয় মাস সময় লাগতে পারে। আয়ের দিক থেকে ওয়েবসাইট প্রোগ্রামিং পরই রয়েছে ওয়েবসাইট ডিজাইনের ব্যাপক সম্ভাবনা। ওয়েবসাইট ডিজাইন শেখার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে ইন্টারনেটে এই বিষয়ে যে পরিমাণ টিউটোরিয়াল রয়েছে তা থেকে ঘরে বসে সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টাতেই ডিজাইনিং শেখা সম্ভব।

প্রয়োজনীয় দক্ষতাসমূহ
একটি ওয়েবসাইটে তথ্য কিভাবে বিন্যস্ত থাকবে তার উপর ভিত্তি করে দুটি ভাগে ভাগ করা যায় - স্ট্যাটিক (Static) এবং ডাইনামিক (Dynamic) ওয়েবসাইট। স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটে ওয়েবসাইটের তথ্য কখনো পরিবর্তন হয় না, অন্যদিকে ডাইনামিক ওয়েবসাইটের তথ্য ব্যবহারকারীর চাহিদার উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়। স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটেকে প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে ডাইনামিক ওয়েবসাইটে পরিণত করা হয়। একটি ওয়েবসাইটের ডিজাইন তৈরি করা থেকে শুরু করে এটিকে একটি স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটে পরিণত করতে কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। একজন সফল ওয়েবসাইট ডিজাইন ফ্রিল্যান্সার হতে হলে কেবল ডিজাইনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে একটি স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট তৈরির অন্যান্য বিষয় যেমন - Template তৈরি, HTML, CSS, Javascript ইত্যাদিতেও দক্ষ হওয়া প্রয়োজন। নিচে পর্যায়ক্রমে বিষয়গুলো আলোকপাত করা হল -

১) টেম্পলেট তৈরি:
ওয়েবসাইটের একটি ডিজাইনকে ওয়েবসাইট টেম্পলেট (Template) বলা হয়। টেম্পলেট সাধারণত Adobe Photoshop, Illustrator, Flash ইত্যাদি সফটওয়্যারের মাধ্যমে তৈরি করা হয়। বর্তমানে ওপেন সোর্স ব্যবহারকারীদের কাছে Gimp নামক সফটওয়্যারটিও টেম্পলেট তৈরির জনপ্রিয় একটি টুলে পরিণত হয়েছে। এদের মধ্যে ফটোশপ সফটওয়্যারই সবচেয়ে জনপ্রিয়। অন্যদিকে ফ্লাশ দিয়ে এনিমেটেড ও দৃষ্টিনন্দন ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। ফ্লাশের কাজেরও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ফ্লাশের ActionScript নামক নিজস্ব প্রোগ্রামিং ভাষা আছে। শুধুমাত্র ফ্লাশ দিয়েই সম্পূর্ণ একটি ডাইনামিক ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এ যারা আসতে আগ্রহী তারা ফটোশপ অথবা ফ্লাশ থেকে যেকোন একটিকে বেছে নিতে পারেন।

একজন ওয়েবসাইট ডিজাইনারের সমসাময়িক ওয়েবসাইটের ডিজাইন সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকতে হবে। বর্তমানের বেশিরভাগ ওয়েবসাইটগুলো Web 2.0 নামক একটি স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলে। একে দ্বিতীয় প্রজন্মের ওয়েবসাইট ডিজাইনও বলা হয়। সহজভাবে বললে Web 2.0 মানের একটি ওয়েবসাইটির নিচে উল্লেখিত বৈশিষ্ট্যগুলোর কয়েকটি বা সবগুলো থাকতে পারে:
  • সাধারণ ও পরিচ্ছন্ন ইন্টারফেস যাতে ওয়েবসাইটের তথ্যগুলো সহজেই পড়া যায়
  • মূল ডিজাইন ব্রাউজারের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থান করবে, অন্যদিকে অতীতের ওয়েবসাইটগুলো ব্রাউজারের বাম দিকে সরানো থাকত
  • ওয়েবপেইজের কলাম সংখ্যা কম থাকবে
  • পেইজের উপরের অংশ পরিষ্কারভাবে ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট অংশ থেকে আলাদা থাকবে
  • সহজে ব্যবহারযোগ্য নেভিগেশন
  • লোগো বোল্ড থাকবে
  • লেখাগুলো বড় থাকবে যাতে পড়তে আরামদায়ক হয়
  • সূচনা লেখা বোল্ড থাকবে
  • বাটন এবং ডিজাইনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে 3D ও Reflection এফেক্ট নিয়ে আসা
  • উজ্জ্বল রঙের সংমিশ্রণ
  • Gradient বা গাঢ় থেকে হালকা রঙের সমন্বয়
  • সুন্দর ও নজরকাড়া আইকন
২) HTML এ রূপান্তর:

HTML
একটি ওয়েবপেইজ অক্ষর, ছবি, লিংক ইত্যাদির সমন্বয়ে গঠিত যা HTML নামক একটি ভাষায় লেখা হয়। এটি কোন প্রোগ্রামিং ভাষা নয়, বরং একটি ওয়েবপেইজকে ব্রাউজারে প্রদর্শন করার ডকুমেন্ট ফরমেট। HTML এর উন্নত সংস্করণ হচ্ছে XHTML যা XML নামক আরেকটি ভাষার নিয়ম অনুসরণ করে। HTML বা XHTML এ দক্ষ হতে এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগবে হবে না। অনলাইনে অনেক টিউটোরিয়াল সাইট রয়েছে, তবে সবচেয়ে সহজ ও ভাল টিউটোরিয়াল পাওয়া যাবেwww.w3schools.com নামক ওয়েবসাইটে।

ফটোশপ দিয়ে তৈরি করা ওয়েবসাইটের টেম্পলেটকে সাধারণত PSD ফরমেটে সেইভ করা হয়। প্রকৃতপক্ষে PSD ফাইলে টেম্পলেটকে সংরক্ষণ করা পর্যন্ত একজন ডিজাইনারের কাজ শেষ হয়ে যায়। তবে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বাড়তি আয় করতে চাইলে HTML জানাটাও জরুরী। ডিজাইনকে ওয়েবপেইজে রূপান্তর করতে হলে HTML দিয়ে কোডিং করতে হবে। এই রূপান্তরের প্রক্রিয়া ডিজাইন ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত ফটোশপে Slice নামক একটি টুল আছে যা দিয়ে ডিজাইনকে HTML এ রূপান্তর করা যায়। কেবলমাত্র PSD থেকে HTML এ রূপান্তর করার কাজও ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস সাইটগুলোতে পাওয়া যায়।


৩) CSS প্রয়োগ:
CSS হচ্ছে এক ধরনের স্টাইলশীট ভাষা যা দিয়ে একটি ওয়েবসাইটের ডিজাইনকে প্রদর্শন করা হয়। ওয়েবসাইটের ডিজাইনকে সাধারণত HTML ডকুমেন্টে সরাসরি না লিখে আলাদা একটি CSS ফাইলে ভিন্ন ভিন্ন Class তৈরি করা হয়। এরপর HTML ডকুমেন্টে ওই CSS ফাইলের লিংক দেয়া হয় এবং HTML এর বিভিন্ন অংশে বা Tag এ সেই ক্লাসগুলোকে যুক্ত করা হয়। HTML এর একটি নির্দিষ্ট অংশের ফন্ট দেখতে কিরকম হবে, লেখার পেছনে ছবি বা রং কোনটা থাকবে, বর্ডার থাকবে কি না ইত্যাদি স্টাইল সম্পর্কিত নির্দেশনা ক্লাসগুলোতে দেয়া হয়।


CSS দিয়ে HTML ডকুমেন্টে স্টাইল বা ডিজাইন তৈরি করার অনেকগুলো সুবধা রয়েছে। উল্লেখযোগ্য দুটি সুবিধার একটি হচ্ছে, HTML এর বিভিন্ন অংশে বা বিভিন্ন পৃষ্ঠায় খুব সহজে একই স্টাইল দেয়া যায়। অন্য আরেকটি সুবিধা হচ্ছে কেবলমাত্র CSS ফাইলকে পরিবর্তন করে একটি ওয়েবসাইটের চেহারা মুহূর্তের মধ্যে পরিবর্তন করা সম্ভব। CSS এর প্রথমিক ধারণা পেতে কয়েক ঘন্টা সময়ের প্রয়োজন এবংwww.w3schools.com সাইটিই যথেষ্ঠ। তবে CSS এ পূর্ণ দখল আনতে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। 


৪) Javascript:
Javascriptজাভাস্ক্রিপ্ট হচ্ছে একটি প্রোগ্রামিং ভাষা যাকে ব্রাউজার সাইড স্ক্রিপ্টিং ভাষা বলা হয়। অন্যদিকে PHP বা ASP হচ্ছে সার্ভার সাইড স্ক্রিপ্টিং ভাষা। জাভাস্ক্রিপ্টের সুবিধা হচ্ছে এটি সরাসরি ব্যবহারকারীর কম্পিউটারের রিসোর্স ব্যবহার করে দ্রুততার সাথে কাজ করে। যা একটি ওয়েবসাইটকে ইউজার ফ্রেন্ডলি করে তোলে। জাভাস্ক্রিপ্টে দক্ষ হতে অবশ্যই ভাল প্রোগ্রামিং জ্ঞানের প্রয়োজন রয়েছে। তবে ডিজাইনাররাও জাভাস্ক্রিপ্টের কিছু সুবিধা গ্রহণ করে ডিজাইনকে আরো প্রাণবন্ত করে তুলতে পারেন। জাভাস্ক্রিপ্ট প্রোগ্রামিংকে সহজ করতে বেশ কিছু ফ্রেমওয়ার্ক বা কোডিং লাইব্রেরি পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্য সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে jQuery নামক লাইব্রেরিটি। এটি দিয়ে খুব সহজেই বিভিন্ন ধরনের এনিমেশন, নজরকাড়া এফেক্ট, দরকারী টুল ইত্যাদি তৈরি করা যায়। এটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাবেন www.jQuery.com ওয়েবসাইট থেকে। jQuery দিয়ে তৈরি অসংখ্য টুল অনলাইনে ফ্রি পাওয়া যায়।



ডিজাইন শেখার কয়েকটি সাইট পরিচিতি
নিচে ফটোশপ দিয়ে ওয়েবসাইট ডিজাইনিং শেখার কয়েকটি জনপ্রিয় সাইটকে তুলে ধরা হল -

psdtuts.comwww.psdtuts.com
ফটোশপের বিভিন্ন এফেক্ট শেখার জন্য এটি একটি চমৎকার টিউটোরিয়াল ব্লগ সাইট। প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন টিউটোরিয়াল এই সাইটে আসে। এই সাইটে ফটোশপ দিয়ে একটি ছবি এফেক্ট দেয়া থেকে শুরু করে ওয়েবসাইট ডিজাইন পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ের টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। টিউটোরয়ালের পাশাপাশি ফটোশপ নিয়ে বিভিন্ন আর্টিকেল এই সাইটে লেখা হয়। লেখাগুলো খুবই মানসম্মত এবং পর্যাপ্ত ছবি দিয়ে পরিষ্কারভাবে বর্ণনা করা। মানসম্মত হওয়ার একটা কারণ হচ্ছে লেখাগুলো ফটোশপ এক্সপার্টরাই লিখে থাকেন যাদেরকে প্রতিটি লেখার জন্য ১৫০ ডলার প্রদান করা হয়। আপনিও যদি ফটোশপে এক্সপার্ট হয়ে থাকেন এবং ইংরেজিতে সহজভাবে লিখতে পারেন তাহলে টিউটরিয়াল তৈরি করে এই সাইট থেকে নিয়মিত আয় করতে পারেন।

psdfan.comwww.psdfan.com
এই সাইটেও খুবই মানসম্মত টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। প্রতি এক-দুই দিন পর পর নতুন টিউটোরিয়ার আসে। টিউটোরিয়ালগুলো প্রধানত ফটো এফেক্ট, ড্রয়িং, টেক্সট এফেক্ট, ওয়েবসাইট ডিজাইন ইত্যাদি বিষয়ের উপর লেখা হয়। টিউটোরিয়ালের পাশাপাশি বেশকিছু গ্রাফিক্স, আইকন, ফটোশপ ব্রাশ, টেক্সচার এবং ছবি বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায়। সাইটে বিভিন্ন ফটোশপ এক্সপার্টদের সাক্ষাৎকারও প্রকাশ করা হয়।


pslover.comwww.pslover.com
এই সাইটের নিজস্ব কোন টিউটোরিয়াল নেই, বরং ওয়েবে ছড়িয়ে থাকা ফটোশপের বিভিন্ন টিউটোরিয়ালকে এখানে লিস্ট আকারে সাজানো হয়। এই সাইটে সাড়ে বারো হাজারের বেশি ফটোশপের টিউটোরিয়ালের একটি সম্ভার পাবেন। টিউটোরিয়ালগুলো বিভিন্ন বিভাগে সাজানো থাকে, ফলে সহজেই প্রয়োজনীয় তথ্য খোঁজে পাওয়া যায়। বিভাগের পাশাপাশি আইকনের মাধ্যমে টিউটোরিয়ালগুলো সাজানো থাকে।


www.nettuts.com

nettuts.com
এটি ওয়েবসাইট ডিজাইনার এবং প্রোগ্রামার উভয়ের জন্য খুবই সাহায্যকারী একটি টিউটোরিয়াল সাইট। HTML, CSS, Javascript, Ajax, jQuery, PHP, Ruby, Wordpress ও ডিজাইন সংক্রান্ত আরো অনেক বিষয়ের উপর ছবি সহকারে এবং সহজ ভাষায় টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। এই সাইটে ভিডিওর মাধ্যমে অনেক টিউটোরিয়াল প্রকাশ করা হয়। ডিজাইনারদের জন্য সাহায্যকারী অনেক টুল সাইট থেকে ফ্রি ডাউনলোড যায়। এই সাইট থেকেও টিউটোরিয়াল লিখে প্রতিটির জন্য ১৫০ ডলার করে আয় করা যায়।


photoshopstar.comwww.photoshopstar.com
ফটোশপ দিয়ে দৃষ্টিনন্দন এফেক্ট তৈরির টিউটোরিয়াল নিয়ে জনপ্রিয় এই সাইটটি সাজানো হয়েছে। সাইটটিতে ফটোশপের এফেক্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ফটো এফেক্ট, টেক্সট এফেক্ট, ওয়েব গ্রাফিক্স, ওয়েবসাইট ডিজাইন ইত্যাদি বিষয়ের উপর টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। ওয়েবসাইট ডিজাইন বিভাগে একটি সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করতে হয় তা ছবি সহকারে বর্ণনা করা হয়েছে।



এই লেখায় মাত্র কয়েকটি টিউটোরিয়াল সাইট নিয়ে আলোচনা করা হল। কিন্তু এর বাইরে আরো অসংখ্য টিউটোরিয়াল সাইট রয়েছে যা থেকে খুব সহজেই আপনি ওয়েবসাইট ডিজাইনে এক্সপার্ট হতে পারবেন। নিচে এরকম আরো কয়েকটি সাইটের লিংক দেয়া হল:

  1. www.good-tutorials.com
  2. www.psdvibe.com 
  3. www.tutorialized.com/tutorials/Photoshop/6 
  4. www.actionfx.com 
  5. www.stockvault.net/tutorials.php 
  6. www.photoshoproadmap.com 
  7. www.pixel2life.com 
  8. www.totaltutorials.com
  9. www.deviantart.com 
  10. www.teamphotoshop.com 
  11. www.photoshoptopsecret.com 
  12. www.planetphotoshop.com

অনলাইনে টিউটোরিয়ালের পাশাপাশি বাজারে ফটোশপের মানসম্মত ভিডিও টিউটোরিয়াল সিডি, বই ইত্যাদি পাওয়া যায়, যা থেকে ফটোশপের প্রাথমিক কৌশল রপ্ত করতে পারেন। তবে ভাল ওয়েবসাইট ডিজাইনার হতে হলে বেশি করে অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ডিজাইন দেখতে হবে। উন্নতমানের ডিজাইন বিক্রি করে এরকম ওয়েবসাইটের মধ্যে রয়েছে - www.dreamtemplate.com,www.templatemonster.com , www.templateworld.com ইত্যাদি। এই সাইটগুলোতে ডিজাইনের প্রিভিউ দেখা যায়। নতুন ডিজাইনাররা প্রথম অবস্থায় চেষ্টা করুন ঠিক একই ধরনের ডিজাইন আপনিও তৈরি করতে পারছেন কিনা। এভাবে শিখতে থাকলে একদিকে যেমন সমসাময়িক ওয়েবসাইট ডিজাইন সম্পর্কে ভাল ধরাণা তৈরি হবে, অন্যদিকে সম্পূর্ণ নতুন একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন তৈরির আইডিয়াও পাবেন। ওয়েবসাইট ডিজাইন থেকে অনলাইনে আয় করা যায় এরকম সাইট নিয়ে পরবর্তী লেখায় আলোচনা করা হবে।

Read More
  • Share This:  
  •  Facebook
  •  Twitter
  •  Google+
  •  Stumble
  •  Digg

এনভাটো - ডিজাইন কেনাবেচার মার্কেটপ্লেস

 7:38 PM     ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট     No comments   

এনভাটো - ডিজাইন কেনাবেচার মার্কেটপ্লেস


এনভাটো (www.Envato.com) হচ্ছে একটি অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান যা অনেকগুলো মার্কেটপ্লেস এবং কয়েকটি টিউটোরিয়াল ওয়েবসাইট নিয়ে গঠিত। এনভাটোর প্রত্যেকটি ওয়েবসাইট ই অত্যন্তআকর্ষণীয় এবং উন্নত বৈশিষ্ট্যে পরিপূর্ণ। ২০০৬ সালে একটি লিভিং রুম থেকে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি আজ দেড় লক্ষ ব্যবহারকারী নিয়ে সগৌরবে এগিয়ে চলেছে। পুরো প্রতিষ্ঠানটিই গঠিত হয়েছে ইমেইল এবং স্কাইপ সফটওয়্যারের সাহায্যে যোগাযোগের মাধ্যমে, যাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে উন্নতমানের সার্ভিস প্রদান, ইন্টারনেটে বিভিন্ন কমিউনিটি তৈরি এবং নিরবিচ্ছিন্নভাবে মানসম্মত কনটেন্ট প্রদান করা।

এনভাটো মার্কেটপ্লেস FlashDen, AudioJungle, 
VideoHive, ThemeForest এবংGraphicRiver নামক পাঁচটি সাইট নিয়ে গঠিত। প্রত্যেকটি সাইটের গঠন এবং ব্যবহার পদ্ধতি একই রকম। যেকোন একটি সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করে অন্য সকল সাইটে একই ব্যবহারকারী একাউন্ট দিয়ে প্রবেশ করা যায়। যে কেউ ইচ্ছে করলেই এই এনভাটো মার্কেটপ্লেসে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবে এবং তাদের যে কোন সাইট থেকে আয় করতে পারবে। এই লেখাটি www.ThemeForest.net সাইটের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।


থিমফরেস্ট সাইটটি ওয়েবসাইট ডিজাইন বা টেম্পলেট ক্রয়-বিক্রির জন্য বিশেষভাবে গঠিত। সবগুলো টেম্পলেট মূল পাঁচটি ভাগে বিভক্ত। এগুলো হচ্ছে HTML টেম্পলেট, Wordpress, PSD টেম্পলেট, Joomla এবং অন্যান্য। সাধারণত ফটোশপ দিয়ে ওয়েবসাইটের টেম্পলেটগুলো তৈরি করা হয়, যা "কম্পিউটার জগৎ" এর গত সংখ্যায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়ে
ছে। এনভাটো মার্কেটপ্লেসে যারা ডিজাইন বা অন্যান্য প্রোগ্রামের ফাইল বিক্রি করে তাদের প্রত্যেককে Author বা লেখক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সাইটগুলোর লেখক হতে হলে প্রথমে ছোটখাট একটি কুইজে অংশগ্রহণ করতে হয়। প্রকৃতপক্ষে এটি হচ্ছে সাইটের সকল নিয়মকানুন সম্পর্কে অবগত হওয়া এবং তাতে সম্মতি জ্ঞাপন করা।

যেভাবে মার্কেটপ্লেসটি কাজ করে
একজন লেখক হিসেবে প্রথমে আপনি আপনার ইচ্ছেমত যেকোন ধরনের একটি ওয়েবসাইটের টেম্পলেট তৈরি করবেন। কাজ শেষে 
টেম্পলেটের ফাইলটি একটি ফর্মের সাহায্য সাইটে আপলোড করবেন। এরপর সাইটের কর্তৃপক্ষ ফাইলটি যাচাই করে দেখবে এটি যথাযথ কাজ করে কিনা এবং থিম বা টেম্পলেট লাইব্রেরীতে অন্তর্ভুক্তির জন্য উপযুক্ত কিনা। আপনার টেম্পলেটটি গ্রহণযোগ্য হলে সাইটের কর্তৃপক্ষ এটির জন্য উপযুক্ত একটি মূল্য নির্ধারণ করে সাইটে আপলোড করবে। আর যদি কাজটি গ্রহনযোগ্য না হয় তাহলে কর্তৃপক্ষ আপনাকে টেম্পলেটটি পরিবর্তন করার যথাযথ দিকনির্দেশনা দিবে অথবা সাইটের জন্য একদমই অনুপযুক্ত কিনা তা ইমেইলের মাধ্যমে জানাবে।

আপনার টেম্পলেটটি বিক্রির জন্য সাইটে স্থান পেলে, প্রত্যেকবার এটি বিক্রির উপর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আপনাকে দেয়া হবে। আপনি যদি আপনার কাজ এক্সক্লুসিভভাবে এই সাইটে বিক্রির জন্য সম্মত হন তাহলে প্রতিটি 
টেম্পলেটের মূল্যের ৪০% অর্থ আপনাকে দেয়া হবে। অর্থাৎ থিমফরেস্ট সাইটে বিক্রির জন্য আপলোড করা কোন টেম্পলেট অন্য কোথাও পুনরায় বিক্রি করতে পারবেন না। আপনার টেম্পলেটগুলো যত অধিক মাত্রায় বিক্রি হবে, আয়ের পরিমাণও তত বেশি বাড়তে থাকবে। এভাবে একজন এক্সক্লুসিভ ব্যবহারকারীকে পর্যায়ক্রমে তার টেম্পলেটের মূল্যের ৭০% অর্থ প্রদান করা হয়। অন্যদিকে নন-এক্সক্লুসিভ ব্যবহারকারী হিসেবে সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করলে আপনার তৈরিকৃত একই টেম্পলেট অন্য যেকোন সাইটে বিক্রি করতে পারবেন। তবে থিমফরেস্ট সাইটে আপনার টেম্পলেটের জন্য ২৫% অর্থ প্রদান করা হবে। তাই এক্সক্লুসিভ ব্যবহারকারী হিসেবে সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করাই বেশি লাভজনক।

এই সাইটে PSD ফরমেটে টেম্পলেটগুলোর মূল্য ৫ থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। HTML এবং CSS সহকারে তৈরি করা ওয়েবসাইটের 
টেম্পলেটের জন্য সর্বোচ্চ ২০ ডলার নির্ধারণ করা হয়। অন্যদিকে Joomla এবং Wordpress এর টেম্পলেটগুলো সর্বোচ্চ ৪৫ ডলারে বিক্রি হয়ে থাকে। টেম্পলেটের মান এবং ক্রেতার চাহিদার উপর নির্ভর করে এক একটি টেম্পলেট সাধারণত ২০ থেকে ৩০ বার পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে। একইটেম্পলেট একশত বারের উপর বিক্রি হয়েছে এমন নজিরও নেহায়েত কম নয়। ফলে একইটেম্পলেট থেকে সময়ের সাথে সাথে আয় বাড়তে থাকে। ধরা যাক, আপনি একটি সাধারণ ওয়েবসাইটের টেম্পলেট এক্সক্লুসিভ ব্যবহারকারী হিসেবে তৈরি করেছেন, যার মূল্য ১০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রত্যেকবার টেম্পলেটটি কোন ক্রেতা সাইট থেকে কিনলে আপনি পাবেন ৪ ডলার। সময়ের সাথে সাথে একটি টেম্পলেট থেকেই ৮০ থেকে ১০০ ডলার বা তার চেয়ে অধিক আয় করা সম্ভব।

অর্থ উত্তোলনের পদ্ধতি
এনভাটো মার্কেটপ্লেসের যেকোন সাইট থেকে আয় করা অর্থ তিনটি পদ্ধতিতে উত্তোলন করা যায়। এগুলো হচ্ছে Paypal, Moneybookers এবং ব্যাংক ট্রান্সফার। আমাদের দেশে যেহেতু পেপাল সাপোর্ট নেই তাই সাইটগুলো থেকে অন্য দুটি পদ্ধতির যেকোন একটি দিয়ে অর্থ উত্তোলন করা যায়। মানিবুকারস দি
য়ে অর্থ উত্তোলন করতে সর্বনিম্ন মোট আয় ৫০ ডলার হতে হবে। আর ব্যাংক ট্রান্সফারের জন্য কমপক্ষে ৫০০ ডলার আয় করতে হবে। 


অনেকে
ই হয়ত জানেন না যে, মানিবুকারস পেপালের মতই একটি সার্ভিস যা ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এটি দিয়ে একদিকে যেরকম বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইট থেকে নিরাপদে এবং কম খরচে অর্থ সরাসরি আপনার ব্যাংক একাউন্টে নিয়ে আসতে পারবেন, তেমনি এর পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে পণ্য ও সার্ভিস বিক্রি করতে পারবেন। আশা করা যায় বাংলাদেশীদের জন্য ই-কমার্স সাইট তৈরির যে প্রধান প্রতিবন্ধকতা ছিল তা মানিবুকারসের কল্যাণে বহুলাংশে দূর হবে।
 
টেম্পলেট আপলোড করার পদ্ধতি
থিমফরেস্ট সাইটে একটি টেম্পলেট গ্রহণযোগ্য হতে হলে ফাইলগুলোকে একটি নির্দিষ্ট ফরমেটে সাজাতে হবে এবং ডিজাইনের গুণগত মান যাতে সাইটের নির্দেশমত হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 
টেম্পলেটের ধরন (PSD, HTML, Wordpress, Joomla ইত্যাদি) এর উপর ভিত্তি করে এর আলাদা ফরমেট ও নির্দেশাবলী রয়েছে। তাই আপলোড করার পূর্বে নির্দেশনাগুলো ভালভাবে দেখে নেয়া প্রয়োজন। সাধারণভাবে সকল ফাইলের ক্ষেত্রে যে কাজগুলো করতে হবে তা হচ্ছে,
  • ডিজাইনের ৮০x৮০ পিক্সেলের একটি থাম্বনেইল ছবি যুক্ত করতে হবে।
  • ডিজাইনের একটি প্রিভিউ ছবি যুক্ত করতে হবে যার সর্বোচ্চ প্রস্থ হবে ১২০০ পিক্সেল।
  • মূল কাজটিকে একটি Zip ফাইলে প্রয়োজনীয় সাহায্যকারী নির্দেশনা দিয়ে যুক্ত করতে হবে, যা পরিশেষে একজন ক্রেতা টেম্পলেটটি কেনার পর ডাউলোড করবে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে Zip ফাইলে যুক্ত কাজটিকে যতটা সম্ভব পরিবর্তনযোগ্য করে তৈরি করতে হবে। উদাহরণসরূপ ফটোশপের লেয়ারগুলো যাতে আলাদা আলাদা থাকে এবং লেখাগুলো যাতে পরির্তনযোগ্য হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়
এনভাটো মার্কেটপ্লেসে আপনি সেই সকল ফাইল বিক্রি করতে পারবেন যা আপনি নিজে তৈরি করেছেন। অন্য একটি ডিজাইনকে পরিবর্তন করে বা অন্য কোন সাইট থেকে ডিজাইন কিনে তা এই সাইটে বিক্রি করতে পারবেন না। এই মার্কেটপ্লেসে কোন ফাইল বিক্রি করার অর্থ হচ্ছে আপনি সম্মত হচ্ছেন যে, যারা আপনার ফাইলটি ক্রয় করবে তারা এর পূর্ণ কপিরাইট অর্জন করে নিজের কাজে ব্যবহার করতে পারবে। কোন কারণে কপিরাইট লংঙ্ঘিত হলে এনভাটো কর্তৃপক্ষ সাইটে আপনার একাউন্ট বন্ধ করে দিবে এবং অনেক ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তাই সাইটের রেজিষ্ট্রেশন করার পূর্বে ভালভাবে তাদের কপিরাইট সংক্রান্ত নির্দেশগুলো পড়ে নিন।


অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সাইটেও ওয়েবসাইট ডিজাইন বা টেম্পলেট তৈরি করার অসংখ্য কাজ পাওয়া যায়। সেই সাইটগুলো থেকে এনভাটো-এর সাইটগুলোর মূল পার্থক্য হচ্ছে - অন্যান্য সাইটে একজন ক্রেতা তার ওয়েবসাইটের ডিজাইনের জন্য প্রজেক্ট তৈরি করে এবং বিড করার জন্য ফ্রিল্যান্সারদেরকে আবেদন জানায়। ফ্রিল্যান্সাররা সেই প্রজেক্টে বিড করে এবং পরিশেষে একজন ফ্রিল্যান্সার সেই কাজটি করার সুযোগ লাভ করে। যা নতুনদের জন্য প্রথম কাজ পাওয়াটা অনেকটা সময়সাপেক্ষ এবং অনেকক্ষেত্রে হতাশাজনক। অন্যদিকে এনভাটো মার্কেটপ্লেসে কোন ধরনের বিড করা এবং ক্রেতার অনুগ্রহের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় না। রেজিষ্ট্রেশন করার সাথে সাথেই আপনি কাজ শুরু করে দিতে পারেন। আপনার টেম্পলেটটি সাইটে স্থান পাবার প্রথম দিন থেকেই বিক্রি শুরু হয়ে যাবে। তবে এখানে উল্লেখ্য যে, এই সাইটে উন্নতমানের ডিজাইনগুলোকেই প্রাধান্য দেয়া হয়। তাই দক্ষ ওয়েবসাইট ডিজাইনারের জন্য এটি একটি উপযুক্ত মার্কেটপ্লেস।


Read More
  • Share This:  
  •  Facebook
  •  Twitter
  •  Google+
  •  Stumble
  •  Digg

ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট টুলস

 7:32 PM     ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট     No comments   

এই সংখ্যায় একজন ফ্রিল্যান্সার ওয়েবসাইট ডেভেলপারের প্রাত্যহিক কর্মক্ষেত্রে ব্যবহার্য সফটওয়্যার নিয়ে আলোচনা করা হল। ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট করতে অসংখ্য সাহায্যকারী সফটওয়্যার পাওয়া যায়। তারমধ্যে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের কেবলমাত্র একটি সফটওয়্যার নিয়ে এখানে আলোচনা করা হল। উল্ল্যেখিত প্রত্যেকটি সফটওয়্যারই ওপেন সোর্স এবং ইন্টারনেট থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সংগ্রহ করা যায়।

অপারেটিং সিস্টেম: উবুন্টু
ubuntuওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টের জন্য লিনাক্স হচ্ছে আদর্শ একটি অপারেটিং সিস্টেম। এর নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ভাইরাসের প্রভাব থেকে মুক্ত, উন্নতমানের সফটওয়্যারের বিনামূল্যে প্রাপ্যতা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যের জন্য লিনাক্স অত্যন্ত জনপ্রিয়। ইন্টারনেটে বেশিরভাগ সার্ভার লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম দিয়ে চালানো হয়। তাই নিজের কম্পিউটারে সার্ভারের আমেজ পেতে ওয়েব ডেভেলপাররা মূলত লিনাক্স ব্যবহার করে থাকে। লিনাক্সের রয়েছে শত শত সংস্করণ, যার মধ্যে উবুন্টু হচ্ছে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি অপারেটিং সিস্টেম। বলা বাহুল্য, উবুন্টু ওয়েব ডেভেলপার ছাড়াও সাধারণ ব্যবহারকারীদের কাছে সমান জনপ্রিয়। অপারেটিং সিস্টেমটিwww.ubuntu.com সাইট থেকে ডাউনলোড করে ইন্সটল করা যায়, অথবাshipit.ubuntu.com এ গিয়ে আবেদন করলে উবুন্টুর একটি সিডি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আবেদনকারীর ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।

ওয়েবসাইট ব্রাউজার: ফায়ারফক্স
Firefoxওয়েবসাইট ডেভেলপারদের কাছে মজিলা ফায়ারফক্স (Firefox) ব্রাউজার প্রথম পছন্দ। দ্রুত এবং নিরাপদ ব্রাউজার হিসেবে ফায়রাফক্স দিনে দিনে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ফায়ারফক্সের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটিকে ব্যবহারকারীর নিজের ইচ্ছে মত পরিবর্তন করা যায়। ফায়ারফক্সের ওয়েবসাইট থেকে Add-ons বা অতিরিক্ত সফটওয়্যার ইন্সটল করে এটিকে একটি শক্তিশালী ওয়েব ডেভেলপমেন্ট টুলে পরিণত করা যায়। যা দিয়ে একটি ওয়েবসাইটে HTML, CSS, Javascript এর বিভিন্ন সমস্যা খুব সহজে এবং সাথে সাথে সমাধান করা যায়। ওয়েব ডেভেলপমেন্টে সাহায্যকারী কয়েকটি উল্লেখযোগ্য Add-ons হচ্ছে - Firebug, Web Developer, FireFTP, Console², ColorZilla ইত্যাদি।

কোড এডিটর: জীনি
Geanyপ্রোগ্রামিং করার জন্য জীনি (Geany) হচ্ছে খুবই ছোট এবং হালকা একটি IDE বা কোড এডিটর। এটি খুব দ্রুত কাজ করে, ফলে যে কোন গতির কম্পিউটারে জীনিকে সহজেই চালানো যায়। এর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে - সিনট্যাক্স হাইলাইটিং অর্থাৎ কোডকে বিভিন্ন রঙের ফন্টে দেখার ব্যবস্থা , কোড ফোল্ডিং বা বড় কোডকে সংক্ষিপ্ত আকারে দেখা, অটো কমপ্লিশন বা বিভিন্ন ভেরিয়েবল সয়ংক্রিয়ভাবে লেখা, কোডকে কম্পাইল এবং এক্সিকিউট করার ব্যবস্থা, সাধারণ প্রজেক্ট ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি। www.geany.org সাইট থেকে লিনাক্স এবং উইন্ডোজ উভয় প্লাটফরমের জন্য জীনি ডাউনলোড করা যায়।

এফটিপি ক্লায়েন্ট: ফাইলজিলা
Filezillaএকটি ওয়েবসাইট তৈরি করার পর তা সার্ভারে অপলোড করতে প্রয়োজন একটি এফটিপি (FTP) ক্লায়েন্ট সফটওয়্যার। নেটে অনেক ধরনের এফটিপি ক্লায়েন্ট পাওয়া যায়, যার মধ্য Filezilla নিঃসন্দেহে একটি চমৎকার সফটওয়্যার। এর ইন্টারফেস বা বাহ্যিক চেহারা বেশ সহজ সরল এবং উন্নতমানের। ফাইলজিলার গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি সার্ভারের সাথে একসাথে সর্বোচ্চ ১০ টি সংযোগ স্থাপন করতে পারে, ফলে ফাইল আদান-প্রদান হয় দ্রুতগতিতে। উইন্ডোজ, ম্যাক ও লিনাক্সের চালু হতে সক্ষম এই সফটওয়্যারটি পাওয়া যাবে www.filezilla-project.org সাইট থেকে। উবুন্টু ব্যবহারকারীরা সাইন্যাপটিক প্যাকেজ ম্যানেজার সফটওয়্যার থেকে সরাসরি এটি ইন্সটল করতে পারবেন।

সাবভার্সন ক্লায়েন্ট: রেপিড এসভিএন
সাবভার্সন (Subversion) হচ্ছে একটি জনপ্রিয় ভার্সন কন্ট্রোল সিস্টেম। একই প্রজেক্টে যখন একাধিক প্রোগ্রামার কাজ করে তখন সাবভার্সন ব্যবহার করে কাজ করাটা অপরিহার্য হয়ে উঠে। এই পদ্ধতিতে মূল প্রজেক্টটি একটি সার্ভারে জমা থাকে। কাজ শুরু করতে প্রত্যেক প্রোগ্রামার সার্ভার থেকে প্রজেক্টের একটি কপি নিজের কম্পিউটারে নিয়ে আসে এবং কাজ শেষ হলে তা সার্ভারে জমা দেয়। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে একজনের কোড দিয়ে অন্য আরেকজনের কোড প্রতিস্থাপন হবার কোন সম্ভাবনা থাকে না। প্রয়োজনবোধে পূর্ববর্তী যে কোন ভার্সনের কোডকে ফেরত পাওয়া যায়। এই সাবভার্সনকে গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেসের মাধ্যমে ব্যবহার করতে একটি চমৎকার ক্লায়েন্ট সফটওয়্যার হচ্ছে রেপিড এসভিএন (RapidSVN)। নতুনদের জন্য এটি একদিকে যে রকম সহজ ইন্টারফেস প্রদান করে, অন্যদিকে অভিজ্ঞ ব্যবহারকারীদেকে সাবভার্সনের সকল ফিচার ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়। www.rapidsvn.org সাইট থেকে সকল অপারেটিং সিস্টেমের জন্য রেপিড এসভিএন ডাউনলোড করা যায়।

ডিফ ও মার্জ: মেল্ড
Diff-&-Merge
মেল্ড (Meld) হচ্ছে একটি ভিজুয়্যাল ডিফ ও মার্জ (Diff & Merge) সফটওয়্যার। অর্থাৎ এই সফটওয়্যার দিয়ে দুটি একই ধরনের ফাইলের পার্থক্যগুলো দেখা যায় এবং প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করা যায়। এটিকে রেপিড এসভিএন সফটওয়্যারের সাথেও সংযুক্ত করা যায়। একই ফাইলকে দুইজন প্রোগ্রামার পরিবর্তন করলে এই সফটওয়্যারটি খুব সহজেই প্রত্যেকের কোডকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে দেয়। এই পদ্ধতিতে সাবভার্সনের কনফ্লিক্টকে সহজেই সমাধান করা যায়।

ভার্চুয়াল মেশিন: ভার্চুয়ালবক্স
VirtualBoxলিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমে যারা কাজ করেন তাদের জন্য অত্যন্ত সাহায্যকারী একটি সফটওয়্যার হচ্ছে ভার্চুয়ালবক্স (VirtualBox) নামক এই ভার্চুয়াল মেশিন সফটওয়্যারটি। এর মাধ্যমে যে কোন অপারেটিং সিস্টেমকে লিনাক্সের মধ্যেই চালানো যায়। প্রায় সময় দেখা যায় একই ওয়েবসাইটকে ভিন্ন ভিন্ন ব্রাউজার ভিন্ন ভিন্ন ভাবে প্রদর্শন করে। তাই ওয়েবসাইট তৈরি করার পর তা সকল জনপ্রিয় ব্রাউজারে দেখে নেয়া অত্যন্ত জরুরী। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ফায়ারফক্স কোন রকমের ঝামেলা ছাড়াই একটি ওয়েবসাইটকে প্রদর্শন করে। কিন্তু ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে CSS ও Javascript এর কোডকে সঠিকভাবে প্রদর্শন করতে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার যেহেতু লিনাক্সে চালু হয় না তাই ভার্চুয়ালবক্সের মাধ্যমে উইন্ডোজ ইন্সটল করে তাতে ওয়েবসাইট পরীক্ষা করে দেখা যায়।

ইমেইজ এডিটর: গিম্প
Gimpআমাদের দেশে ইমেইজ এডিটিং সফটওয়্যার বলতে সবাই ফটোশপকেই বোঝে। অথচ ফটোশপের বিকল্প অত্যন্ত শক্তিশালী সফটওয়্যার হচ্ছে গিম্প (Gimp)। এটি উবুন্টু লিনাক্সের সাথে ইন্সটলকৃত সফটওয়্যার হিসেবে পাওয়া যায়। উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা www.gimp.org সাইট থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে পারবেন। একটি আধুনিক ইমেইজ এডিটিং সফটওয়্যারে যে সকল ফিচার থাকা প্রয়োজন তার সবই গিম্পে রয়েছে। ইন্টারনেটে গিম্পের অসংখ্য টিউটোরিয়াল রয়েছে যা দিয়ে একজন নতুন ব্যবহারকারী সহজেই শিখতে পারবে।

বিঃদ্রঃ - এই লেখাটি "মাসিক কম্পিউটার জগৎ" ম্যাগাজিনের জুন ২০০৯ সংখ্যায় প্রকাশিত।
Read More
  • Share This:  
  •  Facebook
  •  Twitter
  •  Google+
  •  Stumble
  •  Digg

ওয়েবসাইট ডিজাইনিং - পেশা হিসেবে অসাধারণ

 7:23 PM     ওয়েবসাইট ডিজাইনিং     No comments   

আমি মূলত একজন ওয়েবসাইট প্রোগ্রামার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের ডিজাইন বা টেম্পলেট, ক্লায়েন্টের কাছ থেকে পেয়ে থাকি। একটি টেম্পলেটের সাথে প্রোগ্রামিংকে যুক্ত করার জন্য প্রায় সময় ফটোশপের স্লাইসিং টুল নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে হয়। সেই সুবাদে ফটোশপ একটু আধটু জানি। যেসব ক্লায়েন্টের কাছ থেকে টেম্পলেট পাওয়া যায় না তাদের সান্ত্বনা দেবার জন্য মাঝে মধ্যে নিজেই টেম্পলেট তৈরি করা শুরু করে দেই। এতে বেশিরভাগ সময় কাজ হয়। তবে সত্যি বলতে কি ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এর প্রতি আমার এক ধরনের ঝোঁক সবসময় রয়েছে। কাজের চাপে খুব একটা সময় দিতে পারি না, তবে সুযোগ পেলে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এর সাইটে ঘোরাঘুরি করি।

একটা বিষয় আমি খেয়াল করে দেখলাম, আমাদের দেশে যারা ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাদের প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য থাকে ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে বেশি মাথা অল্প খাটিয়ে কম কষ্টে আয় করা। প্রকৃতপক্ষে একটি ডাটা এন্ট্রির কাজ পাওয়া যে কতটা কঠিন তা আমার অজানা নয়। এক একটি প্রজেক্টে ১০০ জনের উপর বিড করে। তার উপরে এই ধরনের কাজ খুবই বিরক্তিকর এবং কষ্টের তুলনায় আয় অত্যন্ত কম। সর্বোপরি এধরনের কাজে সৃজনশীলতার ছিঁটেফোটাও নেই।

আমি জানি, অনেকেই বলবেন সবাইতো আর প্রোগ্রামার হতে পারবেন না। একজন দক্ষ প্রোগ্রামার হবার জন্য কম্পিউটার সায়েন্স বা এই ধরনের বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ বা সময় অনেকেরই থাকবে না। তাহলে একজন নন-টেকনিকাল ব্যক্তি কি একজন প্রোগ্রামারের সমান বা তার চেয়ে বেশি আয় করতে পারবে না? আমি বলব, অবশ্যই পারবেন। এই বিষয়ে আমি আমার সাইটে বিভিন্ন লেখায় বিভিন্নভাবে উল্লেখ বলেছি। কিন্তু আমার মনে হয় ব্যাপারটা বেশিরভাগ নতুন ফ্রিল্যান্সাররাই খেয়াল করেন না, অথবা সেই বিষয়ে আগ্রহ পান না।

কোন সেই বিষয়? ওয়েবসাইট ডিজাইনিং। তবে শুরুতেই বলে নেই, এই পেশায় প্রথম অবস্থায় যথেষ্ঠ শ্রম দিতে হবে এবং অবশ্যই নতুন কিছু উদ্ভাবন করার ক্ষমতা থাকতে হবে। এই দুই ক্ষমতা থাকলে আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এ আপনি ভাল করতে পারবেন। ঘরে বসে সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টাতেই ডিজাইনিং শেখা সম্ভব। Photoshop Tutorial লিখে গুগলে সার্চ দিলে হাজারটা ওয়েবসাইট পাবেন। ধৈর্য্য ধরে শিখতে পারলে কখনও কাজের অভাব হবে না।

ধরা যাক আপনি কয়েক মাস চেষ্টার ফলে একজন দক্ষ ডিজাইনার হতে পেরেছেন। এখন আপনার ডিজাইন কিনবে কে? এর উত্তর হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সাইটগুলো। কষ্ট করে ওইসব সাইটে বিড করা শুরু করে দিন। আশা করি খুব শীঘ্রি আপনি বিড জিততে পারবেন।

আর যদি বিড করে কাজ না পেয়ে হতাশ হয়ে থাকেন, তাহলেও নিরাশ হবেন না। আজ আমি আপনাদেরকে একটি ওয়েবসাইটের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব যেখানে কোন বিড করতে হয় না। যেখানে ক্লায়েন্টের কোন চাহিদা নেই। আপনি সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছে মত কাজ করে যাবেন আর অনবরত আয় হতে থাকবে। সাইটি হচ্ছে - GraphicRiver.net ।


মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই সাইটে আপনাকে সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটের টেম্পলেট তৈরি করতে হবে না। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় গ্রাফিক্স যেমন বাটন, ব্যানার, বিভিন্ন ধরনের টেবিল, ব্যাকগ্রাউন্ড ইত্যাদি তৈরি করে জমা দিতে পারবেন। ডিজাইন জমা দেবার পর ওয়েবসাইটের কর্তৃপক্ষ যাচাই করে দেখবে আপনার ডিজাইনটি মানসম্মত অথবা অন্য কারো ডিজাইন অনুকরণ করে তৈরি করা হয়েছে কিনা। যাচাইয়ে উত্তীর্ণ হলে তারাই ডিজাইনটির একটি মূল্য নির্ধারণ করে দিবে যা ১ ডলার থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে। এর মধ্যে প্রথম অবস্থায় ৪০% অর্থ ডিজাইনারকে দেয়া হবে।

মূল্য শুনে মন খারাপ করবেন না, আসল কথা এখনও বলা হয় নি। এই সাইটি একটি অনলাইন শপ বা ইকমার্স সাইটের মত। অর্থাৎ একটি ডিজাইন একের অধিক ক্লায়েন্ট কিনতে পারে। এক একটি ভাল ডিজাইন গড়ে ৫০ বার বা তার চেয়ে বিক্রি হয়। আর সময়ের সাথে বিক্রি বাড়তেই থাকে। ধরা যাক, আপনার তৈরিকৃত একটি ব্যানারের মূল্য ১ ডলার নির্ধারণ করা হল অর্থাৎ প্রতিবার বিক্রি হলে আপনি পাবেন ০.৪০ ডলার। একটি ব্যানার তৈরি করতে ১ দিনের বেশি লাগার কথা নয়। তাহলে মাসে যদি ৫০ বার ব্যানারটি বিক্রি হয় তাহলে ওই ১ দিনের কাজের জন্য আপনি মাসে আয় করছেন ২০ ডলার। এভাবে প্রতিদিন যদি অন্তত একটি ভাল ডিজাইন তৈরি করতে পারেন তাহলে বিষয়টা দাড়াচ্ছে ৩০x২০=৬০০ ডলার। আমি কি বেশি বলে ফেললাম !!!

ঠিক আছে, তাহলে আমি নিজেই তা পরীক্ষা করে দেখি। চলুন দেখা যাক আমি কিছু বিক্রি করতে পারি কি না। আজকে (১৭ আগস্ট ২০০৯ তারিখে) আমি একটি ডিজাইন "গ্রাফিক রিভার" সাইটে জমা দিয়েছি। এটি একটি মূল্য তালিকা প্রদর্শন করার টেবিল। তৈরি করতে আমার মত অদক্ষ ডিজাইনারের বিকেল থেকে রাত অবধি সময় লেগেছে। সাইটের কর্তৃপক্ষ ডিজাইনটির জন্য ১ ডলার মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। আমার প্রথম ডিজাইনটি যে তারা গ্রহণ করেছে তাতেই আমি খুশি। নিচের লিংক থেকে আমার কাজটি দেখতে পাবেন - 
http://graphicriver.net/item/web-pricing-table/54601?ref=zchowdhury

চলুন দেখা যাক, ডিজাইনটি শেষ পর্যন্ত কতবার বিক্রি হয়।

লেখক - মোঃ জাকারিয়া চৌধুরী
Read More
  • Share This:  
  •  Facebook
  •  Twitter
  •  Google+
  •  Stumble
  •  Digg

গ্রাফিক রিভার

 7:17 PM     অনলাইন আয়     No comments   

GraphicRiver.netকয়েক মাস পূর্বে আপনাদেরকে পাঁচটি মার্কেটপ্লেস নিয়ে গঠিত এনভাটো(Envato) নামক একটি অস্ট্রেলিয়ান প্রতিষ্ঠানের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম। সেই লেখাতে ThemeForest.net নামক একটি মার্কেটপ্লেস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছিলাম। যারা ওই লেখাটি পড়েননি তাদের জন্য বলছি, থিম ফরেস্ট মার্কেটপ্লেসে একজন ডিজাইনার ওয়েবসাইটের টেম্পলেট বা পূর্ণাঙ্গ ডিজাইন বিক্রি করে আয় করতে পারেন। যারা ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এ দক্ষ তাদের জন্য থিম ফরেস্ট হতে পারে একটি চমৎকার আয়ের ক্ষেত্র। কিন্তু ডিজাইনিং এ নতুনরা থিম ফরেস্ট সাইটে খুব একটি সুবিধা করতে পারবেন না। এই সাইটে অনেক বিচার বিবেচনা করে একটি ডিজাইনকে সাইটে প্রকাশের অনুমতি দেয়া হয়। তবে নতুনদের হতাশ হবার কিছু নেই, তাদের জন্য এনভাটোর রয়েছে আরেকটি চমৎকার মার্কেটপ্লেস - গ্রাফিক রিভার (www.GraphicRiver.net)। এই গ্রাফিক রিভারের আদ্যোপান্ত নিয়ে এবারের প্রতিবেদন।

গ্রাফিক রিভার সাইটটি দেখতে হুবহু থিম ফরেস্ট সাইটের মত। প্রকৃতপক্ষে এনভাটোর সকল মার্কেটপ্লেসের বাহ্যিক দিক এবং আভ্যন্তরীণ নিয়ম-কানুন প্রায় একই রকম। পাঁচটি মার্কেটপ্লেসের যে কোন একটিতে রেজিষ্ট্রেশন করে সবগুলো সাইটের মেম্বার হওয়া যায়।গ্রাফিক রিভার মার্কেটপ্লেসটিকে নতুনদের জন্য উপযোগী বলছি তার একটি উল্লেখযোগ্য কারণ রয়েছে। এখানে আপনাকে সাইটের সম্পূর্ণ টেম্পলেট ডিজাইন করতে হবে না, বরং একটি সাইটের বিভিন্ন গ্রাফিক্স আলাদা আলাদা ভাবে তৈরি করে বিক্রি করতে পারবেন। গ্রাফিক্স বলতে এখানে বোঝানো হচ্ছে - ওয়েবসাইটের ব্যাকগ্রাউন্ড, ব্যানার, বাটন, আইকন, রেজিষ্ট্রেশন ও লগইন ফরম, বিজনেস কার্ড, নিউজলেটার ইত্যাদি আরো বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন।

GraphicRiver.net
একটি ডিজাইন তৈরি করে সাইটে জমা দেবার পর সাইটের কর্তৃপক্ষ ডিজাইনটি প্রথমে যাচাই বাছাই করে দেখে নেয় কাজটি মানসম্মত কিনা। ডিজাইনটি সাইটের নির্দেশমত তৈরি করা হলে, কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে ডিজাইনটির একটি দাম নির্ধারণ করে দেয়। ডিজাইনের ধরণ ও কাজের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে দাম সর্বনিম্ন ১ ডলার থেকে শুরু করে ২০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে। এরপর ডিজাইন বিক্রির ৪০% থেকে ৭০% অর্থ ডিজাইনারকে দেয়া হয়। নতুনদেরকে ৪০% অর্থ দেয়া হয় যা বিক্রি বাড়ার সাথে সাথে পর্যায়ক্রমে ৭০% এ উত্তীর্ণ হয়। প্রথম অবস্থায় দাম শুনতে কম মনে হলেও আসলে একটি ডিজাইন একাধিক ক্লায়েন্টের কাছে বিক্রির সুযোগ রয়েছে। তাই ১ ডলার মূল্যের একটি সামান্য ব্যানার যদি ৪০ থেকে ৫০ বার বিক্রি হয় তাহলে পরিশেষে মোট দাম নেহায়েত কম হয় না। এই ধরনের ছোটখাট কাজ করতে একজন নতুন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের এক দিনের বেশি লাগার কথা নয়।
সাইটের নেভিগেশন বা ব্যবহার পদ্ধতি অত্যন্ত সহজ, সরল এবং পরিকল্পিতভাবে সাজানো। সাইটের বামদিকের কলামের শুরুতেই রয়েছে বিভিন্ন বিভাগ যাতে ক্লিক করে ওই বিভাগের সকল ডিজাইন দেখা ও কেনা যায়। এখানে মূল বিভাগগুলো হচ্ছে - Graphics, Design Templates, Texture, Vectors, Add-ons, Isolated Objects এবং Icons । Graphics বিভাগে রয়েছে ব্যাকগ্রাউন্ড, বাটন, ফরম, ব্যানার এবং একটি ওয়েবসাইটকে সাজানোর বিভিন্ন উপকরণ। Design Templates বিভাগে রয়েছে বিজনেস কার্ড, একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচয় বহণকারী স্টেশনারী উপকরণের টেম্পলেট, ফ্লাইয়ার, রেজ্যুমে, ব্রুশিয়র, নিউজলেটার ইত্যাদি। Texture বিভাগে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের বস্তু যেমন কাঠ, কাগজ, পাথর, প্রকৃতি, কনক্রিট, মেটাল, তরলবস্তু, ফেব্রিক ইত্যাদির ছবি। এই ছবিগুলো সাধারণত একটি ডিজাইন তৈরি করার সময় ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেইজ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। Vector বিভাগে পাওয়া যায় কার্টুন ক্যারেক্টার ও বিভিন্ন বস্তুর ভেক্টর ছবি যা সাধারণত এডোব ইল্যাস্ট্রেটর দিয়ে তৈরি করা হয়। Add-ons বিভাগে রয়েছে ফটোশপ এবং ইল্যাস্ট্রেটরের বিভিন্ন এ্যাকশন, ব্রাশ, স্টাইল, শেপ, টেক্সচার এবং পেটার্নের কালেকশন। Isolated Objects বিভাগে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য বস্তুর গ্রাফিক্স পাওয়া যায়। সর্বশেষ Icon বিভাগে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের নজরকাড়া আইকনের সমাহার যা কম্পিউটারের ডেস্কটপ সাজাতে বা একটি ওয়েবসাইটের ডিজাইনকে আকর্ষণীয় করতে ব্যবহৃত হয়। মোট কথা, গ্রাফিক রিভারসাইটের এই অসংখ্য বিভাগের মধ্য থেকে নিজের ইচ্ছেমত যেকোন ধরনের ডিজাইন তৈরি করে বিক্রি করা যায়।

ওয়েবসাইটের বামদিকের কলামে বিভাগের পর আরও যেসকল উল্লেখযোগ্য অংশ রয়েছে সেগুলো হল - Author Program, Referral Program, Asset Library, Forums এবং Blog । ডিজাইনার হিসেবে কাজ শুরু করার পূর্বে Author Program অংশে সাইটের নিয়ম কানুন ভালভাবে জেনে নিতে হবে। তারপর একটি ছোটখাট কুইজে অংশগ্রহণ করে তাতে উত্তীর্ণ হতে হবে। কুইজের উত্তরগুলো "হ্যাঁ" এবং "না" এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। নিয়মকানুন ভালভাবে পড়ে নিলে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সবগুলো প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়া সম্ভব। ডিজাইনার না হয়েও এই সাইট থেকে আয় করা সম্ভব, আর তা হচ্ছে Referral Program এর মাধ্যমে। এনভাটো মার্কেটপ্লেসের পাঁচটি সাইটের যে কোন একটিতে একজন নতুন ক্রেতাকে নিয়ে আসলে, ওই ক্রেতা সর্বপ্রথম যে পরিমাণ অর্থ সাইটে ডিপোজিট বা জমা করবে তার ৩০% আপনি পাবেন। কোন ডিজাইন কেনার পূর্বে এই সাইটে সর্বনিম্ন ২০ ডলার ডিপোজিট করতে হয়। অর্থাৎ একজন নতুন ক্রেতার মাধ্যমে আপনি সর্বনিম্ন ৬ ডলার থেকে ৩০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন।

একটি ডিজাইন তৈরি করার সময় ডিজাইনে যদি কোন ধরনের ছবি সংযোগের প্রয়োজন হয় তাহলে Asset Library থেকে তা বিনামূল্যে সংগ্রহ করতে পারবেন। এই সাইটে কপিরাইটের নিয়মকানুন খুব কড়াকড়িভাবে মেনে চলা হয়। তাই অন্য যে কোন সাইট থেকে ছবি সংগ্রহ করে তা ডিজাইনের সাথে সরাসরি সংযোগ করতে পারবেন না। এর জন্য হয় ছবিটি কিনতে হবে অথবা ছবির মালিকের যথাযথ অনুমতি সাপেক্ষে ব্যবহার করতে হবে। তবে সবচেয়ে ঝামেলাবিহীণ হচ্ছে সাইটির এ্যাসেট লাইব্রেরী থেকে ছবি সংগ্রহ করা।

সাইটের নিয়মকানুন এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য জানার জন্য Forums অংশে নিয়মিত ভিজিট করুন। আর এনভাটোর কর্তৃপক্ষ পরিচালিত ব্লগে পাবেন গ্রাফিক রিভারসম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, বিভিন্ন প্রতিযোগীতার খবর এবং প্রতিমাসে একটি গ্রাফিক্স বিনামূল্যে ডাউনলোডের সুযোগ। গ্রাফিক রিভার সাইটে এই মূহুর্তে আইকন তৈরির একটি প্রতিযোগীতা চলছে যাতে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে ২০০ ডলার করে পুরষ্কার দেয়া হবে।

ওয়েবসাইটে লগইন করার পর উপরের অংশে কয়েকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লিংক পাওয়া যায়, এগুলো হচ্ছে - Account, Bookmarks, Earning, Upload এবং Deposit । Account অংশটি আরো কয়েকটিভাগে বিভক্ত - Profile, Portfolio, Downloads, Earning, Statements এবং Edit । আপনার Profile এবং Portfolio অংশটি যেকোন মেম্বার দেখতে পারবে। Profile অংশে আপনি আপনার নিজের সম্পর্কে বিস্তারিত লিখবেন যাতে ক্লায়েন্ট আপনার ডিজাইনের পদ্ধতি সম্পর্কে ভাল ধারণা পেতে পারে। আপনি যে সকল ডিজাইন তৈরি করবেন তা Portfolio অংশে প্রদর্শন করা হবে। আপনি যদি অন্য কারো ডিজাইন কিনে থাকেন তাহলে Download অংশ থেকে তা ডাউনলোড করতে পারবেন। Earning অংশে কোন মাসে কত আয় করলেন তার বিস্তারিত বর্ণনা দেখতে পাবেন এবং এই অংশ থেকে আয়কৃত অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। Statement অংশে সাইট থেকে আপনার আয়/ব্যয়ের সম্পূর্ণ বিবরণ পাবেন।

ডিজাইন তৈরি করার নিয়ম:
গ্রাফিক রিভারের জন্য ডিজাইন তৈরি করার সময় অনেকগুলো বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। অন্যথায় কর্তৃপক্ষ ডিজাইনটি গ্রহণ করবে না। ফটোশপ বা ইল্যাস্ট্রেটরে কাজ করার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে তা হল -
  • ডিজাইনের প্রত্যেকটি উপাদানকে আলাদা আলাদা লেয়ারে তৈরি করুন।
  • দুই বা ততোধিক লেয়ারকে মার্জ বা এক লেয়ারে পরিণত করবেন না।
  • লেয়ারগুলোকে সুবিন্নস্ত রাখার জন্য গ্রুপ ব্যবহার করুন। ধরা যাক আপনি কয়েক ধরনের বাটনের একটি সেট তৈরি করছেন। এক্ষেত্রে একই ধরনের বাটনকে একই গ্রুপে রাখতে পারেন।
  • লেয়ারে বিভিন্ন ইফেক্ট ব্যবহার করলে তা কখনও রেস্টারাইজ করবেন না।
  • লেয়ার এবং গ্রুপের অর্থবহ নামকরণ করুন।
  • সকলের কম্পিউটারে থাকে এমন ফন্ট ব্যবহার করুন। যেমন - Arial, Tahoma, Times New Roman, Verdana ইত্যাদি। আর যদি অন্য কোন নতুন ফন্ট ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে তাহলে ওই ফন্টটি কোন ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা যাবে তা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। বিনামূল্যে ফন্ট সংগ্রহের জন্য www.dafont.com সাইটে ভিজিট করতে পারেন। বিনামূল্যে পাওয়া যায় ফন্টের ক্ষেত্রেও তার উৎস উল্লেখ করতে হবে।
  • কোন কারণে আপনার ডিজাইনটি যদি গ্রহণযোগ্য না হয়, তাহলে কর্তৃপক্ষ তার কারণ ইমেইলের মাধ্যমে আপনাকে জানাবে। এক্ষেত্রে সেই ভুলগুলো সংশোধন করে আবার ডিজাইনটি জমা দিতে পারবেন।
  • কোন ডিজাইন যদি সাইটের অন্য আরেকজনের ডিজাইনের সাথে মিলে যায় তাহলেও কর্তৃপক্ষ আপনার ডিজাইনটি গ্রহণ করবে না। তাই যে কোন ডিজাইন তৈরি করার সময় তাতে বৈচিত্র্য ও নতুনত্ব আনার চেষ্টা করুন।

ডিজাইন জমা দেবার নিয়ম:
ডিজাইন তৈরি করার পর তা জমা দিতে সাইটের উপরের অংশ থেকে Upload নামক লিংকে ক্লিক করুন। ডিজাইন জমা দেবার পূর্বে কুইজে অবশ্যই উত্ত্বীর্ণ হতে হবে। এরপর Upload অংশে প্রত্যেকটি বিভাগের জন্য Instructions, New BETA Upload এবং Old Style Upload নামক তিন ধরনের বাটন দেখতে পাবেন। প্রথমে Instruction অংশটি ভালভাবে পড়ে নিন এবং New BETA Upload বাটনে ক্লিক করে আপলোড শুরু করুন। এই অংশে আপলোড করতে সমস্যা হলে Old Style Upload বাটনে ক্লিক করুন। Upload করার নিয়মগুলো হচ্ছে নিম্নরূপ -
  • প্রথমেই ডিজাইনটির একটি ভাল নাম এবং তার বর্ণনা লিখুন। ডিজাইনটিতে কোন ছবি বা ফন্ট ব্যবহার করলে তা যে ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে তার পূর্ণাঙ্গ লিংক এখানে দিন।
  • এবার ফাইল আপলোডের পালা। সর্বমোট ৪ ধরনের ফাইল আপলোড করতে হবে। এগুলো হল -
    1. Image Preview: ডিজাইনটির ৫৯০ পিক্সেল প্রস্থের একটি JPG ছবি এই অংশে দিতে হবে। এক্ষেত্রে যে কোন উচ্চতা হতে পারে।
    2. Thumbnail: ডিজাইনটির ৮০ x ৮০ পিক্সেলের একটি ছোট JPG ছবি দিতে হবে।
    3. High Res JPG: ডিজাইনটির মূল মাপের একটি উঁচু রেজুলেশনের JPG ছবি দিতে হবে। Vector এর ক্ষেত্রে প্রস্থ সর্বনিম্ন ১২০০ পিক্সেল হতে হবে।
    4. Main File(s): এরপর ফটোশপ বা ইল্যাস্ট্রেটরের সকল ফাইলকে ZIP করে দিতে হবে। কোন ক্রেতা ডিজাইনটি কেনার পর এই ফাইলটিকেই ডাউনলোড করবে।
  • Category: ডিজাইটনটি সুনির্দিষ্ট কোন বিভাগে অন্তর্ভূক্ত তা উল্লেখ করুন।
  • Image Resolution: ডিজাইনটিকে কত রেজুলেশনে তৈরি করেছেন তা উল্লেখ করুন।
  • Layered?: ডিজাইনে বিভিন্ন লেয়ার থাকলে Yes সিলেক্ট করুন।
  • Minimum Application Version: ফটোশপ বা ইল্যাস্ট্রেটরের কোন ভার্সন ব্যবহার করেছেন তা উল্লেখ করুন। গ্রহণযোগ্য ভার্সনগুলো হচ্ছে - CS, CS2, CS3 ও CS4 ।
  • Tag অংশে ডিজাইনটির যথাযথ ট্যাগ বা বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করুন যা সার্চ করার সময় কাজে লাগবে।
  • Comments for the Reviewer: এই অংশটি হচ্ছে সাইটের কর্তৃপক্ষকে মেসেজ দেবার জন্য। আপনার তৈরিকৃত ডিজাইন সম্পর্কে কোন কিছু বলার থাকলে তা এই অংশের মাধ্যমে তাদেরকে জানাতে পারবেন।

GraphicRiver.net
সবশেষে আপলোড বাটনে ক্লিক করে কাজটি জমা দিন। জমা দেবার পর আপনার ডিজাইনটি কর্তৃপক্ষের লিস্টে কততম স্থানে রয়েছে তা দেখতে পাবেন। আপলোড করার এক থেকে দুই দিনের মধ্যে ডিজাইনটি যাচাই বাছাই করা হবে। ডিজাইনটি গ্রহণ বা বাতিল হলে তা আপনাকে ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।

আয়ের অর্থ উত্তোলনের জন্য এই সাইটে তিনটি পদ্ধতি রয়েছে - Paypal, Moneybookers এবং International Money Transfer (SWIFT) । নূন্যতম আয় ৫০ ডলার হলেই Paypal ও Moneybookers দিয়ে উত্তোলন করতে পারবেন। তৃতীয় পদ্ধতির ক্ষেত্রে নূন্যতম আয় হতে হবে ৫০০ ডলার।

গ্রাফিক রিভার তথা এনভাটো মার্কেটপ্লেসে নিয়মকানুন কড়াকড়িভাবে মেনে চলার কারণে এই সাইটগুলোতে সবসময় উন্নতমানের ডিজাইন পাওয়া যায়। আর হয়ত একারনেই ক্রেতা এবং বিক্রেতা মিলে মার্কেটপ্লেসে দুই লক্ষের উপর ব্যবহারকারী রয়েছে। একটি ভাল ডিজাইন তৈরি করতে পারলে তার ফলাফল আপনি সাথে সাথেই পাবেন। মার্কেটপ্লেসে এমন অনেক ডিজাইনার রয়েছেন যাদের ডিজাইন জমা দেবার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বিক্রি একশ ছাড়িয়ে যায়। আর ডিজাইন শেখার অন্যতম উপায় হচ্ছে অন্যের ডিজাইন পর্যবেক্ষন করা। অন্য আরেকজনের ডিজাইন যদি দেখে দেখে হুবহু তৈরি করতে পারেন তাহলে ধরে নিবেন দক্ষ ডিজাইনার হতে খুব বেশি দিন বাকি নেই। এভাবে চর্চা করতে থাকলে ডিজাইনের নতুন নতুন আইডিয়া স্বাভাবিকভাবেই পেয়ে যাবেন।

লেখক - মোঃ জাকারিয়া চৌধুরী

বিঃদ্রঃ - এই লেখাটি "মাসিক কম্পিউটার জগৎ" ম্যাগাজিনের "সেপ্টেম্বর ২০০৯" সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে।
Read More
  • Share This:  
  •  Facebook
  •  Twitter
  •  Google+
  •  Stumble
  •  Digg

আউটসোর্সিং শুরু করার বই

 2:04 PM     অনলাইন আয়, বই     No comments   

আউটসোর্সিং শুরু করার বই
বর্তমানে আউটসোর্সিং বেশ জনপ্রিয় তরুণদের মধ্যে। আউটসোর্সিং এর কাজ করতে বেশ কিছু বিষয় জানা জরুরী। আউটসোর্সিংয়ের এমন সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে"আউটসোর্সিং: শুরুটা যেভাবে এবং শুরু করার পর" বইটি। বইটি লিখেছেন মো. আমিনুর রহমান। ১৯ অধ্যায়ের বইটিতে পূর্ণাঙ্গভাবে আউটসোর্সিংয়ের বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। রয়েছে প্রয়োজনীয় ছবি। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৩-তে বইটি প্রকাশিত হয়েছে।

ঘরে বসে বইটি পেতে:http://www.rokomari.com/book/61910


বইটি সম্পর্কে লেখকের বক্তব্য:
গত বছরের শুরুতে ‘আউটসোর্সিং: শুরুটা যেভাবে’ শিরোনামে আমার এই লেখাগুলো প্রথম আলোর কম্পিউটার প্রতিদিন বিভাগে ধারাবাহিক ভাবে ছাপা হয়েছিল। তখন বিপুল পরিমাণ পাঠকের সাড়া পেয়েছিলাম। অনেক পাঠক অনুরোধ করেছিল লেখাগুলো বই আকারে বের করার জন্য। কিন্তু সময় স্বল্পতার জন্য তখন আর বই বের করা হলো না। তারপর থেকেই প্রস্তুতি শুরু। তার সাথে নতুন আরও অনেক কিছু যোগ করে এবং আরও বিস্তারিত ভাবে এই বইটি লেখার চেষ্টা করেছি। এই বইটি পড়ে জানতে পারবেন আউটসোর্সিং শুরু করতে হবে কীভাবে, কোথায় কাজ পাওয়া যাবে, কোন কাজের কী যোগ্যতা লাগে, কীভাবে ওডেস্কে অ্যাকাউন্ট খুলবেন, কীভাবে জবে আবেদন করবেন, ইন্টারভিউ হয় কীভাবে, অর্থ উত্তোলন করবেন কীভাবে, কীভাবে কোম্পানি দিবেন, কোম্পানির পেমেন্ট মেথড ভেরিফাই করবেন, কনট্রাকটরকে হায়ার করবেন কীভাবে, কনট্রাকটরকে পেমেন্ট দিবেন কোথায় থেকে, সমস্যার সমাধান পাবেন কোথায়, সহজে কাজ পাওয়ার কিছু টিপস, ফ্রিল্যান্সিং সাইট চিনবার উপায় এবং কয়েকজন ফ্রিল্যান্সারের সফলতার গল্প।

বইটির ভূমিকায় লেখক বলেন:
আউটসোর্সিং শব্দটি হয়তো শুনেছেন। আউটসোর্সিং করে অনেকে লাখ লাখ টাকা আয় করে এ কথাও হয়তো শুনেছেন। কিন্তু বিষয়টি কী, কীভাবে, কী করতে হয় এসব কিছুই জানেন না। এ বিষয়ে অভিজ্ঞ কারও কাছে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ভাই, আউটসোর্সিং কী জিনিস? এর মাধ্যমে নাকি মাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করা যায়?’ আপনার সে ভাই উত্তর দিলেন, ‘কেউ কেউ এর চেয়েও বেশি ইনকাম করেন। আপনি কম্পিউটারের কী কী জানেন?’ আপনি উত্তর দিলেন, ‘আমি তেমন কিছুই জানি না। এমএস ওয়ার্ড জানি, ফেসবুকে আমার একটা অ্যাকাউন্ট আছে, কম্পিউটারের প্রাথমিক জ্ঞান আছে এই আর কি?’ আপনার সে ভাই জানালেন, ‘আপনি কি মনে করেছেন ডলার ইনকাম করা এতোই সোজা? এখানে সারা বিশ্বের প্রোগ্রামারদের সাথে কম্পিটিশন দিয়ে জবে বিড করে কাজ পেতে হয়। আপনি যতটা সহজ ভাবছেন ততটা সহজ না।’ এ কথা শুনে আউটসোর্সিংয়ের প্রতি আপনার আগ্রহই নষ্ট হয়ে গেল, স্বপ্নটাও মরে গেল। আপনার ওই ভাই যদিও সত্যি কথাই বলেছেন তবু আপনার প্রশ্নের উত্তর এমনও হতে পারত, ‘আপনি কোনো আউটসোর্সিং সাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে দেখতে পারেন। ওখানে ফেসবুকের বেশ কিছু কাজ পাওয়া যায়। যেমন ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া, ফেসবুকের ফ্যান পেইজে লাইক সংগ্রহ করে দেওয়া, ডেটা এন্ট্রিরও অনেক কাজ আছে। আপনি অল্প রেটে আবেদন করলে সহজেই কাজ পেয়ে যেতে পারেন। আপনি হয়তো শুরুতে বেশি ইনকাম করতে পারবেন না, তবে চেষ্টা চালিয়ে গেলে ধীরে ধীরে আপনার ইনকাম বাড়বে। তখন আপনি নিজেই বুঝে যাবেন কীভাবে, কী করতে হবে?’ এ ধরনের উত্তর শুনে আপনি অনেক উৎসাহিত হবেন।

এই বইয়ে আমি যতটুকু সম্ভব আউটসোর্সিং বিষয়টিকে সহজভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। বইটি পড়ে যদি পাঠকেরা উপকৃত হয় তাহলেই আমার পরিশ্রম সার্থক হবে।

সূচিপত্র 
আউটসোর্সিং
যে ধরনের কাজ পাওয়া যায়
কোন কাজের কী যোগ্যতা?
কাজ পাবেন যেখানে
কীভাবে ওডেস্কে অ্যাকাউন্ট খুলবেন?
কীভাবে জব খুঁজবেন?
কীভাবে জবে আবেদন করবেন?
ইন্টারভিউ নেয় কীভাবে?
কীভাবে জব করবেন?
কীভাবে অর্থ উত্তোলন করবেন?
ওডেস্কে কোম্পানি দেবেন কীভাবে?
কীভাবে কোম্পানির পেমেন্ট মেথড ভেরিফাই করবেন?
কীভাবে জব পোস্ট করবেন?
কনট্রাকটরকে হায়ার করবেন যেভাবে
কনট্রাকটরকে পেমেন্ট দেবেন কোথা থেকে?
সমস্যার সমাধান পাবেন যেখানে
সহজে কাজ পাওয়ার কিছু টিপস
ফ্রিল্যান্সিং সাইট চেনার উপায়
সফলতার গল্প

লেখক পরিচিতি 
মো. আমিনুর রহমান। লেখাপড়া করেছেন সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে। বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বর্ষে পড়ার সময় থেকেই প্রথম আলোর কম্পিউটার প্রতিদিন বিভাগে লেখালেখি শুরু করেন, চলছে এখনো। তৃতীয়বর্ষে পড়ার সময় ডাক্তারদের জন্য তৈরি করেন ডক্টর প্রেসক্রিপশন নামের একটি সফ্টওয়্যার। সেটি নিয়ে ১৮-০৭-২০০৮ তারিখ প্রথম আলোর প্রজন্ম ডটকমে এবং ২১-০৭-২০০৮ তারিখ দৈনিক ইনকিলাবে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। কয়েকজন ডাক্তার এখনো এই সফ্টওয়্যারটি ব্যবহার করছেন। চতুর্থবর্ষে পড়ার সময় তৈরি করেন এসএমএসে টিকেট কাটার সফ্টওয়্যার। ২৩-১০-২০০৯ তারিখ প্রথম আলোর প্রজন্ম ডটকমে সেটি নিয়েও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তার মাস ছয়েক পর মোবাইল কোম্পানিগুলো এই ধরনের একটি সফ্টওয়্যার তৈরি করে ট্রেনের টিকেট কাটার জন্য ব্যবহার করেন।

গত বছরের শুরুতে ‘আউটসোর্সিং: শুরুটা যেভাবে’ শিরোনামে লেখকের এই লেখাগুলো প্রথম আলোর কম্পিউটার প্রতিদিন বিভাগে ধারাবাহিক ভাবে ছাপা হয়েছিল। অনেকটা শখের বসেই লেখালেখি করেন। পেশা তাঁর আউটসোর্সিং। ভালোবাসেন সমরেশ মজুমদার এবং সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বই পড়তে, সিনেমা দেখতে, আনিসুল হকের লেখা নাটক দেখতে এবং মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা কলাম পড়তে।
Read More
  • Share This:  
  •  Facebook
  •  Twitter
  •  Google+
  •  Stumble
  •  Digg

সবার জন্য মাইক্রোওয়ার্কারস

 1:55 PM     ডাটা এন্ট্রি, মাইক্রোওয়ার্কারস     No comments   

মাইক্রোওয়ার্কারস নিয়ে ব্লগে এর আগেও একটি লেখা লিখেছিলাম। এবার "মাসিক কম্পিউটার জগৎ" ম্যাগাজিনের পাঠকদের জন্য আরেকটু বিস্তারিতভাবে সাইটটি নিয়ে বর্ণনা করলাম। 

ডাটা এন্ট্রি কাজ যারা করেন তারা ভালভাবেই জানেন যে একটি ডাটা এন্ট্রি কাজ পাওয়া কতটা কঠিন। কম্পিউটারের সাধারণ ব্যবহার জানলেই এ ধরনের কাজ করা যায়। এজন্য প্রায় প্রতিটি মার্কেটপ্লেসে এক একটি ডাটা এন্ট্রি প্রজেক্ট করতে শত শত আবেদন পড়ে। এদের মধ্য থেকে সুনির্দিষ্ট একজনকে বেছে নিতে ক্লায়েন্টদেরকে স্বীদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে হয়। প্রথম কাজ পেতে কয়েক সপ্তাহ থেকে শুরু করে কয়েক মাসও লেগে যেতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় নতুন ফ্রিল্যান্সাররা কিছুদিন বিড করার পর কাজ না পেয়ে শেষে ফ্রিল্যান্সিং করার আগ্রহই হারিয়ে ফেলেন। আজকে যে ওয়েবসাইটের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব তাতে কাজ করার জন্য কোন বিড বা আবেদন করতে হয় না। অর্থাৎ ইচ্ছে করলে এই মূহুর্ত থেকে কাজ শুরু করে দেয়া যায়। আর কাজগুলোও অত্যন্ত সহজ। সাইটটি হচ্ছে মাইক্রোওয়ার্কারস (www.microworkers.com)।

প্রথম দর্শনেই সাইটটিকে সহজবোধ্য মনে হবে। সবার জন্য মাইক্রোওয়ার্কারসমাইক্রোওয়ার্কারস সাইটের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই সাইটের কাজগুলো অত্যন্ত ছোট ছোট। এক একটি কাজ করতে ৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগে। প্রতিটি কাজের মূল্য ০.১০ ডলার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১.৭৫ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। সাইটে প্রতিদিনই নতুন নতুন কাজ আসে। এখানে একটি কাজ কেবলমাত্র একবারই করা যায়। মোট আয় ৯ ডলার হলেই চেক, মানিবুকার্স, পেপাল এবং এলার্টপে সার্ভিসের মাধ্যমে উত্তোলন যায়।

মাইক্রোওয়ার্কারস সাইটে একজন ফ্রিল্যান্সারকে Worker এবং এবং একজন ক্লায়েন্টকে Employer হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সাইটে এই দুই ধরনের ব্যবহারকারী কিভাবে কাজ করে তা নিচের কার্টুনের মাধ্যমে বর্ণনা করা হয়েছে-
সবার জন্য মাইক্রোওয়ার্কারস
Worker হিসেবে কাজ শুরু করার পূর্বে প্রথমে সাইটে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। এরপর মেনু থেকে Available Jobs লিংকে ক্লিক করে সকল কাজগুলো দেখা যাবে। প্রতিটি কাজের শিরোনামের সাথে কয়েকটি তথ্য পাওয়া যায় - কাজের মূল্য (Payment), শতকরা কতজনের কাজ ক্লায়েন্ট গ্রহণ করেছে (Success Rate), কাজটি করতে আনুমানিক কত মিনিট লাগতে পারে (Time), কতজন এ পর্যন্ত কাজটি করছে (Done) ইত্যাদি। কোন একটি কাজের শিরোনামের উপর ক্লিক করে সেই কাজের বিস্তারিত আরো তথ্য জানা যাবে। এর মধ্যে "What is expected from workers?" অংশ থেকে কাজের বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যাবে। কাজটি যে আপনি যথাযথভাবে শেষ করেছেন তা প্রমাণ দিতে কি কি তথ্য প্রদান করতে হবে তা "Required proof that task was finished?" অংশের মাধ্যমে জানা যাবে। সবশেষে "I accept this job " লিংকে ক্লিক করে একটি টেক্সটবক্সে আপনার কাজের প্রমাণগুলো দিতে হবে। কোন কাজ করতে না পারলে "Not interested in this job" লিংকে ক্লিক করে বের হয়ে যাওয়াই ভাল, সেক্ষেত্রে এই কাজটি আপনার "Available Jobs" পাতায় আর কখনও দেখাবে না।

কাজের প্রকারভেদ:

এবার দেখা যাক সাইটে কি কি ধরনের কাজ পাওয়া যায় এবং সেগুলোর মূল্য সাধারণত কত হয় -
  • Click and Search ($0.10 - $0.15): এ ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট একটি সাইটের লিংক দিবে, যাতে ভিজিট করে নির্দিষ্ট কিছু শব্দ দিয়ে সার্চ করতে হবে। সব শেষে ক্লায়েন্টের বর্ণনা অনুযায়ী এক বা একাধিক বিজ্ঞাপনে ক্লিক করতে হবে।
  • Bookmark a page ($0.10 - $0.20): ক্লায়েন্টের কোন একটি সাইটকে অন্য একটি সাইটে বুকমার্ক করতে হবে। এ ধরনের বুকমার্ক সাইটের মধ্যে রয়েছে digg.com, delicious.com বা mixx.com, যা ক্লায়েন্ট কাজের বিবরণীতে উল্লেখ করে দিবে। বুকমার্ক করার পূর্বে ওই সাইটে আপনার একটি একাউন্ট থাকতে হবে।
  • Signup ($0.10 - $0.20): এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। রেজিষ্ট্রেশন করার সময় আপনার ইমেইল ঠিকানা দিতে হবে। এ ধরনের কাজ করার জন্য নিজের ব্যক্তিগত ইমেইল ঠিকানা দেয়া ঠিক হবে না। এজন্য পৃথক একটি ইমেইল একাউন্ট খুলে সেটি দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করা উচিৎ। অন্যথায় স্পাম ইমেইলের কারণে আপনার দরকারী ইমেইল খোঁজে পাবেন না।
  • Comment on other blog ($0.10 - $0.15): এই কাজে ক্লায়েন্টের ওয়েবসাইটে গিয়ে এক বা একাধিক মন্তব্য দিতে হবে। মন্তব্যগুলো সাধারণত দুই-এক লাইনের হবে এবং ওই ওযেবসাইটের বিষয়বস্তুর সাথে স্বামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
  • Forums ($0.10 - $0.15): এ ধরনের কাজের জন্য কোন একটি ফোরামে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে এবং Signature হিসেবে ক্লায়েন্টের কোন ওয়েবসাইটের লিংক দিতে হবে। এরপর ওই ফোরামের এক বা একাধিক পাতায় স্বামঞ্জস্যপূর্ণ মন্তব্য পোস্ট করতে হবে।
  • Facebook ($0.15 - $0.20): এ ধরনের কাজের মধ্যে রয়েছে ক্লায়েন্টকে ফেসবুকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা বা ক্লায়েন্টের Fan হওয়া অথবা কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে আপনার Wall এ পোস্ট করা।
  • Twitter ($0.15 - $0.20): এক্ষেত্রে twitter.com এ একটি একাউন্ট থাকতে হবে এবং ক্লায়েন্টের একাউন্টকে Follow করতে হবে অথবা নিদিষ্ট কোন বিষয়ে পোস্ট করতে হবে।
  • Write an article ($0.50 - $1.75): মাইক্রোওয়ার্কারসে প্রাপ্ত কাজগুলোর মধ্যে এই ধরনের কাজ অর্থাৎ কোন বিষয়ে ইংরেজীতে আর্টিকেল লিখে সবচেয়ে বেশি আয় করা যায়। লেখাগুলো ৫০ শব্দ থেকে শুরু করে ৫০০ শব্দের মধ্যে হয়ে থাকে। এ ধরনের কাজে এক দিকে যেমন ভাষাগত জ্ঞান বৃদ্ধি পায় তেমনি নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জানা যায়। তবে যাদের ইংরেজীতে লেখায় দক্ষতা আছে তারাই কেবল এ ধরনের কাজ করতে পারে। লেখায় তথ্য সংযোগের জন্য ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে অন্যান্য ওয়েবসাইটের সহায়তা নেয়া যাবে, তবে আপনার লেখাটা অবশ্যই মৌলিক হতে হবে। লেখা মৌলিক হল কিনা তা www.copyscape.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যাচাই করা যাবে।
  • Blog/Website Owners ($0.25 - $0.80): অনেক সময় শুধু লিখলেই হবে না, লেখাটা আপনার জনপ্রিয় কোন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। এজন্য এধরনের কাজের নামের সাথে PR2+ PR3+, PR4+ ইত্যাদি লেখা দেখতে পাবেন। PR শব্দের মানে হচ্ছে Page Rank, আর PR2+ শব্দের মানে হচ্ছে যেসকল ওয়েবসাইটের পেইজ রেংক ২ বা তার অধিক। এটি গুগলের একটি মানদন্ড যা কোন ওয়েবসাইট কতটুকু জনপ্রিয় তা নির্ধারণ করতে ব্যবহার করা হয়। একটি ওয়েবসাইটের পেইজ রেংক কত তা www.prchecker.info ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানা যায়। এ ধরনের কাজ শুরু করার পূর্বে www.blogger.com ওয়েবসাইটে গিয়ে বিনামূল্যে আপনার নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারেন। প্রথম অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই পেইজ রেংক শুণ্য থাকবে। কিন্তু আপনি যদি নিয়মিতভাবে ওয়েবসাইটটিতে বিভিন্ন বিষয়ে ইংরেজিতে আর্টিকেল লিখেন তাহলে কয়েক মাস পর পেইজ রেংক বাড়তে থাকবে। লেখার পাশাপাশি ভাল রেংকের কয়েকটি ওয়েবসাইটের সাথে লিংক বিনিময় করতে পারলে পেইজ রেংক আরো তাড়াতাড়ি বাড়তে থাকবে।
  • Download and/or Install ($0.25 - 0.35): এই কাজে কোন সফটওয়্যার শুধুমাত্র ডাউনলোড এবং কোন কোন সময় ইন্সটলও করতে হয়।
  • Post an Ad on Craigslist ($0.25 - $0.75): www.craigslist.org হচ্ছে শ্রেণীবদ্ধ বিজ্ঞাপনের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। এই ধরনের কাজের ক্ষেত্রে ক্লায়েন্টের প্রদত্ত কোন পণ্যের বিজ্ঞাপণ craigslist.org সাইটে প্রকাশ করতে হয়। এজন্য পূর্বেই সাইটটিতে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে।

কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

এই সাইটে কাজ করার সময় কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখলে ঝামেলাপূর্ণভাবে কাজ করতে পারবেন -
  • কোন অবস্থাতেই একাধিক একাউন্ট তৈরি করার উচিৎ নয়। একজন ব্যবহারকারী একাধিক একাউন্ট তৈরি করলে তার সবগুলো একাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়।
  • একটি নির্দিষ্ট কাজ একবারের বেশি কখনও করতে পারবেন না। তবে একই ধরনের অন্য কাজ করতে কোন বাধা নেই।
  • কাজ না বুঝে কখনও কাজ জমা দিবেন না। প্রতিটি কাজের শেষে ক্লায়েন্ট আপনার কাজ পছন্দ হলে "Satisfied" দিবে, অথবা অপছন্দ হলে "Not Satisfied" রেটিং দিবে। এই দুই ধরনের রেটিং এর তুলনাকে "Success Rate" বলা হয়। গত ৩০ দিনে আপনি যদি ৫ টি কাজ সম্পন্ন করেন এবং সেক্ষেত্রে আপনার "Success Rate" যদি ৭৫% এর নিচে হয়, তাহলে পরবর্তী ১ থেকে ৩০ দিন আপনি আর কোন কাজ করতে পারবেন না। তাই শতভাগ নিশ্চিত হয়ে কোন কাজ করা উচিৎ এবং কাজ শেষে ক্লায়েন্টের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রমাণ উপস্থাপন করা আবশ্যক।
  • কখনও যদি "Success Rate" ৭৫% এর কম হয়ে যায়, তাহলে হতাশ না হয়ে দুই-একদিন অপেক্ষা করে আবার কাজ করা যায় কিনা চেষ্টা করে দেখুন।
  • নতুন ব্যবহারকারীরা প্রথম প্রথম একদিনে সর্বোচ্চ ৫ টি কাজ করতে পারবেন। এরপর ক্লায়েন্টের রেটিং এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ১০ টি কাজ করার পর এই সীমাটি আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাবে।
  • কখনও যদি মনে করেন আপনি যথাযথভাবে কাজ করেছেন কিন্তু ক্লায়েন্ট আপনাকে "Not Satisfied" রেটিং দিয়েছে তাহলে "Submit a Complain" লিংকের মাধ্যমে আপনার অভিযোগ সাইটের কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারবেন।
  • কাজের প্রমাণ হিসেবে কখনও ভূয়া তথ্য প্রদান করবেন না, এ ধরনের কাজ তিনবার করলে একাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
  • যে সকল কাজে IP এড্রেস দিতে হয় সেসব কাজ না করাই ভাল। কারণ আমাদের দেশের ইন্টারনেট প্রোভাইডাররা গ্রাহকদেরকে শেয়ারকৃত IP এড্রেস দিয়ে থাকে। ফলে আপনার মত একই ধরনের ইন্টারনেট সংযোগ আছে এরকম কেউ সেই কাজটি পূর্বে করে থাকলে ক্লায়েন্ট আপনার কাজ গ্রহণ করবে না। আমাদের দেশে বিশষত গ্রামীণফোন বা সিটিসেলের ইন্টারনেট ব্যবহাকারী বেশি হওয়ায় এই সমস্যাটা তাদের ক্ষেত্রে বেশি হবে।

অর্থ উত্তোলন:

  • শুধুমাত্র "Satisfied" রেটিং পেলেই সেই কাজের টাকা আপনার একাউন্টের ব্যালেন্সের সাথে যুক্ত হবে।
  • চারটি পেমেন্ট পদ্ধতির যে কোনটিতে টাকা তুলতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিতে হয়। চেকের ক্ষেত্রে ৪.৫০ ডলার, পেপালের ক্ষেত্রে ৬%, মানিবুকার্স এবং এলার্টপে পদ্ধতিতে ৬.৫% ফি দিতে হয়।
  • একাউন্টের ব্যালেন্স ৯ ডলারের উপর হলেই কেবলমাত্র টাকা তুলতে পারবেন। সাথে ফি দেবার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ একাউন্টে থাকতে হবে।
  • প্রথম Withdraw করার আবেদনের সময় আপনার বাসার ঠিকানায় চিঠির মাধ্যমে একটি PIN নাম্বার পাঠানো হবে। এই নাম্বারটি পরবর্তীতে সাইটে প্রবেশ করাতে হবে। কেউ একাধিক একাউন্ট তৈরি করেছে কিনা তা যাচাই করতে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয়। PIN নাম্বারের চিঠিটি আসতে ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লাগতে পারে।
  • ঠিকানা যাচাই করার পর পরবর্তী Withdraw আবেদনের ৩০ দিনের মধ্যে আপনাকে মূল্য পরিশোধ করা হবে। 

আমাদের দেশের অনেক ফ্রিল্যান্সাররা ইতিমধ্যে এই সাইটে কাজ করছেন এবং তারা সাইট থেকে নিয়মিত টাকা পাচ্ছেন। তবে একটা বাস্তব সত্য হচ্ছে এই সাইট থেকে খুব বেশি পরিমাণে আয় করা যায় না। যারা পড়ালেখা বা অন্য কাজের পাশাপাশি ইন্টারনেট থেকে বাড়তি আয় করতে চান তাদের জন্য এই সাইট অবশ্যই আয়ের একটি ভাল উপায় হতে পারে। এই সাইটের জনপ্রিয়তা এত বেশি যে, ইদানিংকালে এই সাইটকে অনুকরণ করে আরো অনেক ওয়েবসাইট চালু হয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেwww.minuteworkers.com, www.rapidworkers.com, www.minijobz.comইত্যাদি। তবে সেই সাইটগুলো থেকে মাইক্রোওয়ার্কারসের মত আসলেই টাকা পাওয়া যায় কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায় নি। 

লেখক - মোঃ জাকারিয়া চৌধুরী
বিঃদ্রঃ - এই লেখাটি "মাসিক কম্পিউটার জগৎ" ম্যাগাজিনের "জুন ২০১০ ইং" সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে।
Read More
  • Share This:  
  •  Facebook
  •  Twitter
  •  Google+
  •  Stumble
  •  Digg
Newer Posts Older Posts Home

Popular Posts

  • ফ্রিল্যান্সার সাক্ষাৎকার: থ্রিডি ডিজাইনার
    আউটসোর্সিং এ থ্রিডি কাজের রয়েছে ব্যাপক সম্ভা বনা। যত দিন যাচ্ছে ভিডিও গেমস এবং থ্রিডি এনিমেটেড মুভিগুলো আরো বাস্তবসম্মত হয়ে উঠছে, যা খুব স...
  • পেওনার ডেবিট মাস্টারকার্ড
    বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং সাইট থেকে টাকা উত্তোলনের সহজ এবং ঝামেলামুক্ত পদ্ধতি হচ্ছে Payoneer সাইট কর্তৃক প্রদত্ত একটি ডেবিট মাস্টারকার...
  • প্রোগ্রামিং শুরু করার জন্য গাইডলাইন।
    নিজের ভাষা কম্পিউটারকে বুঝানোর জন্যই পোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর উৎপত্তি। এ পর্যন্ত কয়েক হাজার পোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের উৎপত্তি হয়েছে। বিশ...
  • ইংলিশ ভোকাবুলারি শেখার দূর্দান্ত ১০ টিপস
    ইংরেজিতে শব্দ আমাদের সবারই কম বেশি জানা আছে। তারপরেও আমরা কোন জটিল বাক্য গঠন করার সময় কিংবা ইংরেজিতে কথা বলার সময় এই শব্দ কম জানার জন্য অনে...
  • আউটসোর্সিং এ আলফা ডিজিটাল টিমের সফলতা
    বর্তমানে ওডেস্ক ( www.oDesk.com ) মার্কেটপ্লেসে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সররদের অবস্থান বেশ সন্তোষজনক। ওডেস্কে যে কয়জন ফ্রিল্যান্সার সফলতার সা...

Recent Posts

banner image

Categories

অনলাইন আয় আবিষ্কার উইন্ডোজ ১০ উইন্ডোজ ফোন উইন্ডোজ সফটওয়্যার এন্ড্রয়েড ফোন ওয়েবসাইট ডিজাইনিং ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট কম্পিউটার প্রোগ্রামিং কোয়ান্টাম কম্পিউটার গ্রাফিক্স ডিজাইন জাভা স্ক্রীপ্ট টিপস অ্যান্ড ট্রিকস ডাটা এন্ট্রি থিমস পাইথন প্রোগ্রামিং বই ব্লগস্পট সাইট ভিডিও এডিটিং মাইক্রোওয়ার্কারস মোবাইল ফোন রেন্ট-এ-কোডার লিনাক্স শিক্ষা সংক্রান্ত সংখ্যা পদ্ধতি সাক্ষাৎকার সি প্রোগ্রামিং হ্যাকিং

Blog Archive

Kategori

Kategori

Recent Comments

Featured Post

ডাউনলোড করে নিন অ্যাডোবি ফটোশপের সর্বশেষ ভার্সন “Adobe Photoshop CC” সম্পূর্ণ ফ্রি আজীবন মেয়াদসহ।

Formulir Kontak

Name

Email *

Message *

মোট পৃষ্ঠাদর্শন

Sparkline
  • Post Style
  • Feature
  • _Gadget
  • _Mobile
  • Pages
  • Categories
  • Buddypress
  • Forum
  • Home
  • About
  • Contact
  • Advertise
  • __DropDown 3
  • _ShortCodes
  • _SiteMap
  • _Error Page
  • Seo Services
  • Documentation
  • Download this template

Blog Archive

  • ▼  2015 ( 125 )
    • ▼  September ( 7 )
      • Lollipop Lockscreen Android L Premium [APK]
      • KK Launcher Prime Free Download
      • PicsPlay Pro 3.6.1 APK এখানে ! [LATEST]
      • Aurora 3D Text & Logo Maker (Portable Version)
      • CMD commands পরিচিতি
      • Slow Computer ফাস্ট করে নিন ১১টি টিপস দেখে।
      • ইংলিশ ভোকাবুলারি শেখার দূর্দান্ত ১০ টিপস
    • ►  August ( 34 )
    • ►  July ( 15 )
    • ►  June ( 44 )
    • ►  May ( 25 )

Recent

Comment

Label

  • অনলাইন আয়
  • আবিষ্কার
  • উইন্ডোজ ১০
  • উইন্ডোজ ফোন
  • উইন্ডোজ সফটওয়্যার
  • এন্ড্রয়েড ফোন
  • ওয়েবসাইট ডিজাইনিং
  • ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট
  • কম্পিউটার প্রোগ্রামিং
  • কোয়ান্টাম কম্পিউটার
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • জাভা স্ক্রীপ্ট
  • টিপস অ্যান্ড ট্রিকস
  • ডাটা এন্ট্রি
  • থিমস
  • পাইথন প্রোগ্রামিং
  • বই
  • ব্লগস্পট সাইট
  • ভিডিও এডিটিং
  • মাইক্রোওয়ার্কারস
  • মোবাইল ফোন
  • রেন্ট-এ-কোডার
  • লিনাক্স
  • শিক্ষা সংক্রান্ত
  • সংখ্যা পদ্ধতি
  • সাক্ষাৎকার
  • সি প্রোগ্রামিং
  • হ্যাকিং

Tags

অনলাইন আয় আবিষ্কার উইন্ডোজ ১০ উইন্ডোজ ফোন উইন্ডোজ সফটওয়্যার এন্ড্রয়েড ফোন ওয়েবসাইট ডিজাইনিং ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট কম্পিউটার প্রোগ্রামিং কোয়ান্টাম কম্পিউটার গ্রাফিক্স ডিজাইন জাভা স্ক্রীপ্ট টিপস অ্যান্ড ট্রিকস ডাটা এন্ট্রি থিমস পাইথন প্রোগ্রামিং বই ব্লগস্পট সাইট ভিডিও এডিটিং মাইক্রোওয়ার্কারস মোবাইল ফোন রেন্ট-এ-কোডার লিনাক্স শিক্ষা সংক্রান্ত সংখ্যা পদ্ধতি সাক্ষাৎকার সি প্রোগ্রামিং হ্যাকিং

Facebook

banner image

Flickr

banner image

Football

Popular Posts

  • ফ্রিল্যান্সার সাক্ষাৎকার: থ্রিডি ডিজাইনার
    ফ্রিল্যান্সার সাক্ষাৎকার: থ্রিডি ডিজাইনার
  • পেওনার ডেবিট মাস্টারকার্ড
    পেওনার ডেবিট মাস্টারকার্ড
  • প্রোগ্রামিং শুরু করার জন্য গাইডলাইন।
    প্রোগ্রামিং শুরু করার জন্য গাইডলাইন।

Sample Text

Copyright © Bdhuge | Technology Journey. | Powered by Blogger
Design by Hardeep Asrani | Blogger Theme by NewBloggerThemes.com | Distributed By blogger Templates