কম্পিউটারের গতি কমে যাওয়ার সমস্যায় অনেকেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। এ লেখায় থাকছে পার্সোনাল কম্পিউটারের গতি সমস্যার কয়েকটি সাধারণ সমাধান।
১. রিস্টার্ট করুন : বেশ কিছুক্ষণ চলার পর আপনার পার্সোনাল কম্পিউটারের গতি যদি কমে যায় তাহলে তা রিস্টার্ট করুন। বিভিন্ন প্রোগ্রাম কম্পিউটারের মেমোরিতে অসংখ্য ফাইল তৈরি করে। এ ফাইলগুলো কম্পিউটারের গতি কমিয়ে দেয়। রিস্টার্ট করলে সেই ফাইলগুলোর অনেকটাই মুছে যায় এবং কম্পিউটারে গতি সঞ্চারিত হয়।
২. আপডেট করুন : আপনার কম্পিউটারে আপডেটেড অপারেটিং সিস্টেম এবং বিভিন্ন সফটওয়্যারের আপডেটেড ভার্সন ব্যবহার করুন। এগুলোর কোনো একটি আপডেটেড না হলে কিংবা একাধিক সফটওয়্যারের মধ্যে কনফ্লিক্ট তৈরি হলে তা গতি কমিয়ে দিতে পারে। ইন্টারনেট সংযুক্ত কম্পিউটারে লাইসেন্স করা সফটওয়্যার থাকলে তা সহজেই আপডেট করা যায়।
৩. ব্যাকগ্রাউন্ড প্রোগ্রাম : কম্পিউটার চলার সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে কিছু প্রোগ্রাম স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে থাকে, যা অনেক ব্যবহারকারী বুঝতে পারেন না। এ প্রোগ্রামগুলো আপনার প্রয়োজন নাও হতে পারে। যদিও প্রতিটি প্রোগ্রামই মেমোরি দখল করে এবং কম্পিউটারের গতি একটু হলেও কমিয়ে দেয়। পিসিতে টাস্ক ম্যানেজারের মাধ্যমে এ সফটওয়্যারগুলোর তালিকা দেখতে পারেন। এ জন্য কি-বোর্ডে অল্টার+কন্ট্রোল+ডিলিট একত্রে চাপতে হবে। এরপর 'স্টার্ট টাস্ক ম্যানেজার'-এ যেতে হবে। এখানে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলো রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দিন। পরে যেন চালু না হয় সে জন্য স্টার্টআপ থেকেও এগুলো বন্ধ করে দিন।
৪. হার্ডডিস্ক খালি রাখুন : হার্ডডিস্কে স্থান কমে গেলে তা পিসির গতি কমিয়ে দিতে পারে। তাই হার্ডডিস্কের কমপক্ষে ১০ শতাংশ স্থান খালি রাখতে হবে। আপনার যদি কম্পিউটারে সিনেমা, গান, ছবি ইত্যাদি ফাইল বেশি পরিমাণে থাকে তাহলে তা একটি এক্সটার্নাল হার্ডডিস্কে সংরক্ষণ করুন।
৫. পুরনো হার্ডডিস্ক : সাধারণ হার্ডডিস্কের ভেতর ঘূর্ণায়মান অংশ থাকে। এটি দীর্ঘদিন ব্যবহারে ধীরগতির হয়ে যায়। এ ছাড়া পুরনো হার্ডডিস্কে ব্যাড সেক্টর পড়তে পারে এবং ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই স্ক্যানডিস্কের মতো প্রোগ্রাম চালিয়ে হার্ডডিস্ক স্ক্যান করে নিন। এতে যদি কোনো সমস্যা ধরা পড়ে তাহলে বুঝতে হবে হার্ডডিস্ক পরিবর্তনের সময় এসেছে। এ ছাড়া হার্ডডিস্ক ডিফ্র্যাগমেন্টের মাধ্যমেও তথ্যগুলো সাজিয়ে নেওয়া যায়, যা পিসির গতি কিছুটা হলেও বৃদ্ধি করবে।
৬. ব্রাউজার : কম্পিউটারের কাজ বলতে অনেকের কাছেই এখন ইন্টারনেট ও অনলাইনের কাজ বোঝায়। আর ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য ব্রাউজার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুরনো ব্রাউজার অনেক সময় ধীরগতির কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের জন্য দায়ী। তাই ফায়ারফক্স, ক্রোম বা সাফারি- যে ব্রাউজারই ব্যবহার করেন না কেন, তা আপডেটেড রাখা খুবই প্রয়োজনীয়। ওয়েব ব্রাউজের তথ্যগুলো কম্পিউটারে জমা হতে থাকে। এ ছাড়া রয়েছে কুকি ও সেভ করা বিভিন্ন ফাইলের বোঝা। কম্পিউটারের গতি ধীর হয়ে গেলে এগুলো ডিলিট করে দিন। এ জন্য ব্রাউজারের হিস্টোরিতে গিয়ে 'ক্লিয়ার ব্রাউজিং ডেটা' বা 'ক্লিয়ার রিসেন্ট হিস্টোরি' ক্লিক করুন। সেখান থেকেই এ ফাইলগুলো মুছে ফেলতে পারবেন।
ইনডিপেনডেন্ট অবলম্বনে
0 comments:
Post a Comment
প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত যানাতে ভুলবেন না । তবে এমন কিছু মন্তব্য করবেন না যাতে লেখকের মনে আঘাত করে ।